সোমবার, ২২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

পঞ্চপাণ্ডবের উত্তরসূরি কারা?

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ওয়ানডে ছাড়া টেস্ট ও টি-২০ ক্রিকেটে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স গড়পড়তা নয়, যাচ্ছেতাই। ২০০৭ সালের পর ওয়ানডে ক্রিকেটে একটু একটু করে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে টাইগাররা। এখন নিয়মিত ছোট-বড় প্রতিপক্ষ দলগুলোকে হারাচ্ছে। সাদা পোশাকের টেস্ট ও রঙিন পোশাকে টি-২০ ক্রিকেট ছাড়া ৫০ ওভারের ম্যাচে বাংলাদেশ শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজেদের তৈরি করে নিয়েছে। সাফল্যের কারিগর বলা হয় পাঁচ ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে। সবাই এখন ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে। মাশরাফি ছাড়া যদিও সাকিব, তামিম, মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহরা এখনো খেলছেন। তবে আর কতদিন খেলবেন? এটাই এখন ক্রিকেটপাড়ায় সবচেয়ে প্রশ্ন। পাঁচ ক্রিকেটারকে ডাকা হয় ‘পঞ্চপা-ব’। ক্রিকেট বিশ্লেষকরা খুঁজছেন পাঁচ ক্রিকেটারের অবসরের পর কারা তাদের জায়গা পূরণ করে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে টেনে নিয়ে যাবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও কোচ খালেদ মাহমুদ ভবিষ্যতের ভরসা খুঁজে পাচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয় ও শরিফুল ইসলামের ওপর। তিনি বলেন, ‘মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহরা কিন্তু একদিনে আজকের জায়গায় আসেনি। অনেক দিন খেলার পর আস্থার প্রতীক হয়েছেন। তারা অবসরে গেলে অবশ্যই শূন্য হবে তাদের জায়গা। তাদের জায়গা পূরণ করতে পারেন নাজমুল শান্ত, লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয়। তাদেরও সময় দিতে হবে। আশা করি তারা ভালো খেলবেন।’

মাহমুদ এ তিন ক্রিকেটারকে ভবিষ্যতের কান্ডারি ভাবছেন। তাদের ক্যারিয়ার খুব দীর্ঘ সময়ের নয়। মাশরাফি ২০০৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দেশকে সার্ভিস দিয়েছেন। সাকিব, মুশফিক, তামিম ২০০৬ সাল থেকে এবং মাহমুদুল্লাহ ২০০৭ সাল থেকে খেলছেন। সাকিব তিন ফরম্যাটেই খেলছেন। মুশফিক ও তামিম টেস্ট ও ওয়ানডে খেলছেন। মাহমুদুল্লাহ শুধু টি-২০ খেলছেন। সদ্য সমাপ্ত টি-২০ বিশ্বকাপে সাকিব ও মাহমুদুল্লাহ খেলেছেন। তামিম ওয়ানডে অধিনায়ক হলেও ফিটনেসের অজুহাতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে সুযোগ পাননি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সেখানে কি খেলার সুযোগ পাবেন বাঁ হাতি ওপেনার তামিম? মাহমুদ বলেন, ‘আমি ঠিক বলতে পারব না। এটা টিম ম্যানেজমেন্টের বিষয়। তারা সিদ্ধান্ত নেবেন, কাদের খেলাবেন।’ টি-২০ বিশ্বকাপে ওপেনাররা শতভাগ ব্যর্থ। তানজিদ তামিম, সৌম্য সরকার, লিটনদের ব্যর্থতায় আলোচনায় কেন্দ্রবিন্দুতে দেশসেরা ওপেনার তামিম। সৌম্য ২০১৫ সাল থেকে খেলছেন। কিন্তু নিয়মিত হতে পারছেন না। লিটনও ২০১৫ সাল থেকে খেলছেন। মাঝে মধ্যেই ছন্দ হারিয়ে ফেলছেন। নাজমুল ২০১৭ সাল থেকে খেলে এখন তিন ফরম্যাটেই টাইগার অধিনায়ক। তামিমের পরিবর্তে তানজিদকে নিলেও আস্থাশীল হতে পারেননি এখনো। এদের বাইরে অমিত সম্ভাবনা নিয়ে এসেছেন তাওহিদ হৃদয়। টি-২০ বিশ্বকাপে শুরুর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে না পারলেও ব্যাটিংয়ে দলের সেরা পারফর্মার ছিলেন। টি-২০ ও ওয়ানডেতে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করছেন। মিডল অর্ডারে তাকেই ভবিষ্যৎ কান্ডারি হিসেবে দেখছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।

ব্যাটিং নিয়ে ধুঁকলেই টাইগারদের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠছে পেস বোলিং বিভাগ। শরিফুল, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম সাকিব, হাসান মাহমুদরা দারুণ বোলিং করছেন। বিশেষ করে যুব বিশ্বকাপজয়ী দুই পেসার শরিফুল ও তানজিম দারুণ বোলিং করেছেন। সদ্য সমাপ্ত টি-২০ বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে ছিলেন তানজিম।        

 

সর্বশেষ খবর