সাবমেরিন ক্যাবল, যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফোনকল, মেসেজসহ তথ্য আদান-প্রদানের ৯৯ শতাংশই সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু নানা কারণে সমুদ্র তলদেশের ক্যাবল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনা ছাড়াও ভবিষ্যতে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা সমুদ্র তলদেশীয় ক্যাবলকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে। ইউরোপীয় কমিশন জানায়, সাবমেরিন ক্যাবল নির্ভরতা যথেষ্ট হয়েছে, বিকল্প নিয়ে ভাবতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্যাটেলাইট নির্ভর ইন্টারনেট দেওয়ার জন্য ৬৮০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ইইউ। সংস্থাটির শিল্প বিভাগের প্রধান থিয়েরি ব্রেটনের মতে, নতুন কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা দেবে। যা ক্যাবলের বিকল্প উৎস হবে ও বিশ্বজুড়ে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ ও নিরাপদ তথ্য আদান-প্রদান নিশ্চিত করবে। আশা করা হচ্ছে, আগামী বছর প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
এর অর্থায়নে আছে ইইউ, ইইউভুক্ত দেশ ও ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি। থাকবে বেসরকারি বিনিয়োগও। ইলন মাস্কের স্টারলিংক স্যাটেলাইটের জোয়ারের মধ্যে এ মহাপরিকল্পনা নেওয়া হলো।জাতিসংঘের স্পেস অবজেক্টের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ প্রায় সাড়ে সাত হাজার স্যাটেলাইট স্থাপন করা হয়েছে।
সাবমেরিন ক্যাবল নিখুঁত ব্যবস্থা নয়। বিশ্বজুড়ে স্থাপিত এই ক্যাবলের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৩ লাখ কিলোমিটার, যা দিয়ে চাঁদকে তিনবার মুড়ে ফেলা যাবে।