বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

১৩ বিলিয়ন বছর আগে অতিকায় ব্ল্যাকহোল!

টেকনোলজি ডেস্ক

১৩ বিলিয়ন বছর আগে অতিকায় ব্ল্যাকহোল!
গ্যালাক্সিটি অতি প্রাচীন একটি গ্যালাক্সি যা সম্ভবত বিগ ব্যাং তথা মহাবিস্ফোরণের অন্তত ৫৭ কোটি বছর পর সৃষ্ট। নতুন আবিষ্কার হওয়া ব্ল্যাকহোলটির বয়স ১৩ বিলিয়ন তথা ১ হাজার ৩০০ কোটি বছরেরও বেশি এবং এটাকে আমাদের সূর্যের ভরের ৯ কোটি গুণ বেশি বলে অনুমান করা হচ্ছে

পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে ১৫ লাখ কিলোমিটার দূরে নিঃসঙ্গ প্রহরীর মতো মহাবিশ্বের দিকে নজর রাখছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (জেডব্লিউএসটি)। সম্প্রতি জেমস ওয়েবের মাধ্যমে আরও একটি বিস্ময়কর আবিষ্কার করেছেন মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।

নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে একটি সক্রিয় অতিকায় ব্ল্যাকহোল তথা কৃষ্ণ গহ্বর ধরা পড়েছে। মহাবিশ্বের সবচেয়ে দূরবর্তী ও গভীরে অবস্থিত ‘সুপার ম্যাসিভ’-এ ব্ল্যাকহোলের ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। সাম্প্রতিককালে ওই ব্ল্যাকহোলের কথা প্রথম জানায় মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।

মহাবিশ্বের সবচেয়ে রহস্যে মোড়ানো জায়গা ব্ল্যাকহোল। এ ব্ল্যাকহোলটির অবস্থান সিইইআরএস ১০১৯ নামে এক গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের ভিতরে। গ্যালাক্সিটি অতি প্রাচীন একটি গ্যালাক্সি যা সম্ভবত বিগ ব্যাং তথা মহাবিস্ফোরণের অন্তত ৫৭ কোটি বছর পর সৃষ্ট। নতুন আবিষ্কার হওয়া ব্ল্যাকহোলটির বয়স ১৩ বিলিয়ন তথা ১ হাজার ৩০০ কোটি বছরেরও বেশি এবং এটাকে আমাদের সূর্যের ভরের ৯ কোটি গুণ বেশি বলে অনুমান করা হচ্ছে। সুপার ম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল একটি স্বতন্ত্র ধরনের ব্ল্যাকহোল, যা গ্যালাক্সির কেন্দ্রে অংশে অবস্থান করে। এই সুপার ম্যাসিভ বা অতিকায় ব্ল্যাকহোলগুলো অবিশ্বাস্য ভরযুক্ত হয়, যা আমাদের সূর্যের ভরের লাখ লাখ গুণ বেশি। সিইইআরএস ১০১৯-এর মধ্যে আবিষ্কৃত ব্ল্যাকহোলটির সঙ্গে আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে অবস্থিত ব্ল্যাকহোলের কিছু মিল রয়েছে। যার ভর প্রায় ৪৬ লাখ সৌর ভর।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের বিজ্ঞানী রেবেকা লারসন এ আবিষ্কারের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ ব্ল্যাকহোলকে তিনি আমাদের মিল্কিওয়ে ছায়াপথের কাছাকাছি ব্ল্যাকহোলের সঙ্গে তুলনা করে উৎসাহ প্রকাশ করেন। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ, নাসা, ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) ও কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সির (সিএসএ) যৌথ উদ্যোগে নির্মিত এক বিশেষ টেলিস্কোপ। এটি মহাবিশ্ব সম্পর্কে জানা ও বোঝার ক্ষেত্রে এক বিপ্লবী প্রচেষ্টা। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ফ্রেঞ্চ গায়ানা থেকে এটাকে মহাকাশে পাঠানো হয়। পৃথিবী থেকে ১৬ লাখ মাইল দূরে দ্বিতীয় ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট (এল-২) নামে একটি কক্ষপথে স্থাপন করা হয়।

সর্বশেষ খবর