মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ফুটপাথ হকার ও ব্যবসায়ীর দখলে

শাহজাদা মিয়া আজাদ, রংপুর

ফুটপাথ হকার ও ব্যবসায়ীর দখলে

রংপুর নগরীর লালবাগে ফুটপাথ দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে দোকান

রংপুর নগরীর প্রধান সড়কের দুই পাশে নির্মিত ফুটপাথ কিছুতেই দখলমুক্ত করা যাচ্ছে না। দখলকারীদের দৌরাত্ম্য এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তাদের উচ্ছেদ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছে উচ্ছেদকারী দল। সিটি করপোরেশন ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার দখলকারীদের উচ্ছেদ করা হলেও আবারও তা দখল হয়ে গেছে। ফলে পথ চলতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। সড়ক দিয়ে চলচাল করতে গিয়ে নিত্যদিন দুর্ঘটনার শিকারও হন অনেকে। 

সিটি মেয়র শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু বলেন, চলতি বছরের মে পর্যন্ত ৫-৬ বার ফুটপাথ থেকে অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদ করা হয়। কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবার দখল হয়ে যায়। একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তিনি পদোন্নতি পেয়ে চলে গেছেন। নতুন ম্যাজিস্ট্রেট যোগ দিলে আবারও উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। রংপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে ১২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে রংপুর নগরীর ১৬ দশমিক ২৪ কিলোমিটার সড়ক ৬৫ ফুট প্রশস্ত করে চার লেনে উন্নীত করা হয়। এর মধ্যে মেডিকেল মোড় থেকে মডার্ন মোড় পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে নির্মাণ করা হয় ফুটপাথ। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ফুটপাথ চা দোকানি, বিভিন্ন পণ্যের ব্যবসায়ীর দখলে চলে যায়।

 

 

 মেডিকেল মোড়ে চা দোকানিরা ফুটপাথ দখল করে স্থায়ীভাবে দোকান গড়ে তুলেছেন। এ ছাড়া ফুটপাথের পাশের দোকানিরাও তাদের পণ্য ফুটপাথে সাজিয়ে রেখে পথচারীদের চলাচল বন্ধ করে দেয়। নগরীর গুপ্তপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত কলেজশিক্ষক রমজান আলী বলেন, ২০ মিনিটের রাস্তা। ফুটপাথ বন্ধ করে দেওয়ায় রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে পৌনে ১ ঘণ্টা সময় লাগে যেতে। বেশ কয়েক দিন অটোরিকশার ধাক্কাও খেয়েছি। 

রংপুর মহানগর নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাবলু বলেন, ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে সিটি মেয়র, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারকে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েও কাজ হচ্ছে না।

পুলিশ সুপার আবদুর রাজ্জাক বলেন, বেশ কয়েকবার নিজে উপস্থিত থেকে নগরীর ফুটপাথ ও সড়কের পাশের দোকানগুলো তুলে দিয়েছি। ধীরে ধীরে তা আবার দখল হয়ে যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর