মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে রংপুর সিটি করপোরেশনের বাসিন্দারা। সর্বত্র মশার উৎপাতে কোথাও দুদণ্ড স্বস্তিতে থাকার উপায় নেই। দিনের বেলাতেও কর্মক্ষেত্রে কয়েল জ্বালিয়ে বা স্প্রে করে কাজ করতে হচ্ছে। মশার অভয়ারণ্যে বসবাস করছে নগরবাসী। মশা নিয়ে নগরবাসী যখন অতিষ্ঠ, তখন মশা নিধনের ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেই সিটি করপোরেশনের।
আবর্জনা ফেলার নির্ধারিত স্থান না থাকায় নগরীর যেখানে-সেখানে আবর্জনা স্তূপ করে রাখায় মশার বিস্তার ঘটছে। নিয়মিত পরিষ্কার হয় না নগরীর নর্দমা ও জলাশয়গুলো। ফলে এসব স্থান মশা উৎপাদনের খামারে পরিণত হয়েছে। নগরীর পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খাল শ্যামাসুন্দরী খালটি গত বছর ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। খালটি এখন মশার দখলে। খালটিতে কী পরিমাণ মশার বাস সেটা খালের পাশের বাসিন্দারাই জানেন।
সচেতন নাগরিক কমিটি রংপুর জেলা শাখার সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মলয় কিশোর ভট্টাচার্য বলেন, পুরো নগরী আবর্জনার স্তূপে ঢাকা। সড়কের দুধারে আবর্জনা স্তূপ করে রাখায় পচা দুর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি সেখানে মশা জন্ম নিচ্ছে। রংপুর সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিজু বলেন, নিয়মিত নর্দমা পরিষ্কার করা হয় না এমন ঢালাও অভিযোগ ঠিক নয়। নর্দমাগুলো পরিষ্কার করা হলেও বাসাবাড়ির আশপাশ এলাকা অপরিষ্কার, অপরিচ্ছন্ন। তিনি জানান, দুই মাস আগে ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে চারটিতে মশানাশক ওষুধ স্প্রে করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ওষুধ না থাকায় অন্য ওয়ার্ডে স্প্রে করা সম্ভব হচ্ছে না।