মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

সিলেটে অযত্নে-অবহেলায় সাত ফোয়ারা

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেটে অযত্নে-অবহেলায় সাত ফোয়ারা

সিলেট নগরীর হুমায়ূন রশীদ চত্বরে অযন্তে পড়ে ধাকা বিকল ফোয়ারা

অযত্ন-অবহেলায় সিলেট নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সাতটি ফোয়ারা বিকল অবস্থায় পড়ে আছে। সিটি করপোরেশনের দায়িত্বহীনতায় জৌলুস হারিয়ে আবর্জনার ভাগাড় আর ঝোপ-ঝাড়ে পরিণত হয়েছে ফোয়ারাগুলো। কোনো নজরদারি না থাকায় ইতিমধ্যে ফোয়ারাগুলোর মোটর ও যন্ত্রপাতি চুরি হয়ে গেছে। ফোয়ারাগুলো সচল করতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার প্রয়োজন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

চারদলীয় জোট সরকারের আমলে নগরীর হুমায়ূন রশীদ চত্বর, কুমারপাড়া পয়েন্ট, শাহী ঈদগাহ পয়েন্ট, শাহী ঈদগাহ পুকুরের মধ্যখান, নাইওরপুল পয়েন্ট, বন্দরবাজার হকার্স পয়েন্ট ও ক্বিনব্রিজের নিচে সুরমা নদীর তীরে দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারা স্থাপন করা হয়। ফোয়ারার চারপাশে এসএস স্টিলের বেষ্টনী দিয়ে লাইটিংয়েরও ব্যবস্থা রাখা হয়। হকার্স পয়েন্টের ফোয়ারা বন্ধ করে সেখানে এখন টাইম টাওয়ার নির্মাণের কাজ চলছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০০৬ সালে এক কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নগরীতে চারটি ফোয়ারা নির্মাণ করে জেলা পরিষদ। বাকি তিনটি ফোয়ারা নির্মাণে সিটি করপোরেশনের ব্যয় হয় আরও প্রায় কোটি টাকা। উদ্বোধনের পর জেলা পরিষদ তাদের চারটি ফোয়ারাও সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করে। ফোয়ারাগুলো একসময় নগরীর সৌন্দর্যের অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকলেও সংস্কারের অভাবে এখন তা জঞ্জালে পরিণত হয়েছে। সরেজমিনে হুমায়ূন রশীদ চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, ঝোপ-ঝাড়ে ঘিরে আছে অচল ফোয়ারা। ভেঙে পড়েছে চত্বরের একাংশ। এসএস স্টিল বেষ্টনীরও অংশবিশেষ চুরি হয়ে গেছে। বন্দরবাজার হকার্স পয়েন্টের ফোয়ারাটি বন্ধ করে সেখানে টাইম টাওয়ার (ঘড়িঘর) নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশন। এ ছাড়া নগরীর বাকি ফোয়ারাগুলোর অবস্থাও প্রায় একই। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে একসময়ের নজরকাড়া ফোয়ারাগুলো এখন সৌন্দর্য ও শোভা হারিয়ে চরম অযত্ন-অবহেলার নীরব সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, জনবলের অভাবে ফোয়ারাগুলো ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব হয়নি। ঈদসহ বিভিন্ন দিবসে ফোয়ারাগুলো চালু করা হয়।

সর্বশেষ খবর