গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্থানে ফুটপাথ দখল করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য কাঁচাবাজার। স্থানীয় থানা পুলিশের সহযোগিতায় দখলকারীরা ফুটপাথে দোকান বসিয়ে লাখ লাখ টাকা চাঁদা তুলছে। এতে করে সাধারণ মানুষের চলাচলে সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা। বাড়ছে যানজট। এমনকি মহাসড়কের পাশে ফুটপাথে বসা ব্যবসায়ীরা রয়েছেন মৃত্যুঝঁ্ুকিতে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাইনবোর্ড ভুসির মিল পর্যন্ত মহাসড়কের পাশে ফুটপাথ দখল করে দুই শতাধিক দোকান বসেছে। দিনে দোকানপ্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা ভাড়া এবং থানা পুলিশের জন্য ৫০ টাকা আদায় করছে মোহাম্মদ আলী নামে এক ব্যক্তি তার ভাগিনা সুলতানের মাধ্যমে। কাঁচামাল ব্যবসায়ী রফিক, কুদ্দুসসহ বেশ কয়েকজন বলেন, ভাই এখানে দোকান করলে মোহাম্মদ আলীকে ২০০ এবং পুলিশের জন্য ৫০ টাকাসহ আরও অনেককে টাকা দিতে হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী জয়নাল খন্দকার বলেন, মোহাম্মদ আলী সিটি করপোরেশন থেকে ইজারা নিয়েই দোকান বসিয়ে টাকা তুলছেন। এদিকে টঙ্গী হোসেন মার্কেট এলাকায় টাকা তুলছেন ইকবাল, কালাম ও মোটা জাকির। টঙ্গী চেরাগআলী সিরামিক মার্কেট এলাকায় ইসহাক এন্টারপ্রাইজ, এস এ ইলেকট্রনিক্স, নিউ ঊষা জুয়েলার্স, আর এস এন্টারপ্রাইজসহ বিভিন্ন দোকান মালিক তাদের দোকানের সামনে ফুটপাথ দখল করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দোকান বসিয়ে টাকা আদায় করছে। ইসহাক এন্টারপ্রাইজের মালিক ইদ্রিস আলী বলেন, এসব দোকান থেকে টাকা নিচ্ছে পুলিশ, সিটি করপোরেশনের লোকজন। আর আমার দোকানের সামনে বসায় আমি প্রতিদিন ৫০ টাকা নিচ্ছি। এ বিষয়ে সিরামিক মার্কেটের সেক্রেটারি রাশেদ উদ্দিন মামুন বলেন, কতিপয় ব্যবসায়ী নিজ নিজ দোকানের সামনে ফুটপাথে দোকান বসিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। অপরদিকে টঙ্গী স্টেশনরোড এলাকায় টাকা তুলছেন জাকির, কামাড়পাড়া সড়কে শাহ আলমের লোকজন, টঙ্গী বাজার, পূবাইল মীরের বাজার এলাকায় ফুটপাথ দখল করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন দখলকারীরা। এ ব্যাপারে গাজীপুর সিটি মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) আসাদুর রহমান কিরণ বলেন, পূর্বের ন্যায় আমরা বাজার ইজারা দিয়েছি। মহাসড়কের পাশে কোনো ফুটপাথ ইজারা দেওয়া হয়নি। ইতিমধ্যে ফুটপাথের স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়েছে।ডাস্টবিনের বাণিজ্যিক ব্যবহার!
পরিচ্ছন্ন রাজধানী গড়তে সিটি করপোরেশন নগরীর বিভিন্ন স্পটে ডাস্টবিন বসিয়েছে। কিন্তু এসব ডাস্টবিন ময়লা-আবর্জনা ফেলার পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছে নানা কাজে। সম্প্রতি নগরীর বিভিন্ন স্পটে দেখা যায়, ফুটপাথের দোকানিরা তাদের পণ্যসামগ্রী বিক্রির জন্য ব্যবহার করছেন এ ডাস্টবিনগুলো।