মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

রামপুরা-বাড্ডা সড়কে নানা জঞ্জাল

মানিক মুনতাসির

রামপুরা-বাড্ডা সড়কে নানা জঞ্জাল

রামপুরা-বাড্ডা সড়কের দুই পাশের দুই লেন দখল করে দোকানপাট বসিয়ে রীতিমতো মার্কেট বানানো হয়েছে। ফুটপাথে হাঁটার জায়গা নেই। প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। শুধু তাই নয়, এ সড়কের বিভিন্ন অংশে উন্নয়ন কাজের নামে বছরের পর বছর চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। রামপুরা থেকে চৌধুরীপাড়া পর্যন্ত রাস্তার পাশে পানির লাইনের কাজ হচ্ছে দীর্ঘদিন। সারা রাস্তায় খোলা ড্রেন আর বড় গর্তের মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে সাধারণ মানুষ। গত প্রায় চার বছর ধরে রাস্তা উন্নয়নের কাজ চলছে। রাস্তার মাঝখানে কিংবা ডান-বাম পাশে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে অনবরত।

এ ছাড়া ড্রেনের ময়লা উঠিয়ে রাস্তার পাশে রাখা হচ্ছে দিনের পর দিন। সেই ময়লা বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে গড়িয়ে পড়ছে ময়লার ড্রেনে। তুলনা করলে হয়তো রাজধানীর সবচেয়ে খারাপ রাস্তা হিসেবে চিহ্নিত হবে এ সড়কটি। রাজধানীর অন্য কোথাও যানজট না থাকলেও এ সড়কে যানজট লেগে থাকে। এমনকি গভীর রাতে কিংবা ভোর বেলায়ও মেরুল-বাড্ডা আর রামুপরা ব্রিজ এলাকায় যানজট থাকে। ছুটির দিনেও যানজট থেকে মুক্তি পান না এ সড়ক ব্যবহারকারীরা।

নর্দা বাসস্ট্যান্ড থেকে নতুনবাজার পর্যন্ত ফুটপাথে শুধুই দোকান। এরপর উত্তর বাড্ডা হয়ে, মধ্য বাড্ডা, মেরুল বাড্ডা, রামপুরা বিটিভি এলাকা এমনকি মালিবাগ চৌধুরীপাড়া পর্যন্ত সড়কের দুই পাশের দুই লেন দখল করেছে দোকানপাট। এর মধ্যে কাপড়-চোপড়, খাবারের দোকান সবচেয়ে বেশি। কোনো জায়গায় স্থায়ী দোকানও বসানো হয়েছে রাস্তার ওপর। মধ্য বাড্ডা, উত্তর বাড্ডায় রাস্তার এক লেন দখল করে চেয়ার-টেবিল পেতে ফাস্টফুডের দোকান বসেছে। সড়কটিকে রাজধানীর সড়ক বলে মনে হয় না। রোদ হলে ধুলাবালিতে চলা দায় আর বৃষ্টির কাদাপানিতে একাকার। সেই সঙ্গে ড্রেনের ময়লা এসে যুক্ত করে আরেক ভোগান্তি। সামান্য বৃষ্টি হলে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে নর্দা পর্যন্ত রামপুরামুখী রাস্তায় এক লেন পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে এক লেনে চলে বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি, ট্রাক ও অন্য লেনে চলে সিএনজি অটোরিকশা আর রিকশা। এ রাস্তায় ফুটপাথ বলে অবশিষ্ট কিছু নেই। মানুষের হেঁটে চলারও উপায় নেই। শুধু তাই নয়, তিন-চার মাস আগে ওয়াসার লাইনের কাজ করতে এ রোডের উভয় পাশের সড়কদ্বীপ সংলগ্ন লেনে বসানো হয় ভূর্গস্থ সার্ভিস লাইন। সে সময় মালিবাগ থেকে কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত রাস্তাটি খোঁড়া হয়। কাজ শেষে মাটিও ফেলা হয়। কিন্তু এরপর পিচ ঢালাই দেওয়া হয়নি। ফলে টানা বৃষ্টিতে ধুয়ে গেছে খোঁড়া অংশের মাটি। ফলে পুরো রাস্তা এখন খান্দাখন্দে ভরা। বিশেষ করে নতুন বাজার থেকে মধ্য বাড্ডা পর্যন্ত এ অংশের অবস্থা এতই খারাপ যে বাসেও বসে থাকা দায়। ১০ বা ১২ হাত পর পর প্রায় হাঁটু পরিমাণ গর্ত। এদিকে সড়কের দুই পাশে পড়ে আছে অসংখ্য নষ্ট বাস ও হিউম্যান হলার। মধ্য বাড্ডা থেকে মেরুল বাড্ডায় নির্মাণরত ইউলুপের জন্য বিকল্প রাস্তা করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও ভোগান্তি কমেনি। রামপুরা ব্রিজ ও বাজারের অংশটিতে মাছের বাজার আর বাঁশের হাটের ভোগান্তি। মাছ বিক্রেতাদের ফেলা পানি সারাবছর রাস্তায় জমে থাকে। বাঁশের হাটে তো রাস্তা বন্ধ করেই লোড আনলোড করা হয়।

সর্বশেষ খবর