খুলনা মহানগরীর বয়রা ইসলামিয়া কলেজের পেছনে ক্ষুদের খালের অবস্থান। ’৯০-এর দশকে খালটি ৫০-৬০ ফুট প্রশস্ত থাকলেও বর্তমানে তা প্রায় ৬৭ ভাগ হ্রাস পেয়েছে। দখলে-দূষণে খালের অধিকাংশ জায়গা ভরাট হয়ে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে অঞ্চলজুড়ে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ভোগান্তি বাড়ে বাসিন্দাদের। একইভাবে নগরীর ময়ূর নদী, আড়ংঘাটা খাল, বাস্তুহারা, দুয়ানে খাল, কাদেরের খালসহ সংযুক্ত ২২ খালের প্রায় ১৪ হাজার বর্গমিটার জায়গা বেদখল হয়েছে। কোনো কোনো খালের অস্তিত্ব পর্যন্ত নেই। ‘ময়ূর নদী ও সংযুক্ত খালসমূহ রক্ষা’ বিষয়ে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, ২০০৯ সালে জলাবদ্ধতা নিরসনে খালগুলোকে দখলমুক্ত করতে কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু নানামুখী প্রতিবন্ধকতায় কিছুদিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় উচ্ছেদ অভিযান। কেসিসির সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক এমপি বলেন, প্রায় ৮ বছর আগে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ২২ খালের অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য জরিপ, অনুসন্ধান ও সুপারিশ করা হয়। কিন্তু সেসব সিদ্ধান্তের সিংহ ভাগই বাস্তবায়িত হয়নি।
দখল উচ্ছেদ কমিটির সদস্য খালিদ হোসেন বলেন, খালের আশপাশের জমির মালিকদের খাল ভরাট করে জায়গা বৃদ্ধির প্রবণতা আগের চেয়েও বেড়েছে। দখলমুক্ত অভিযান শুরুর পর সন্ত্রাসীদের গুলিতে উচ্ছেদ কমিটির আহ্বায়ক ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহীদ ইকবাল বিথার নিহত হলে কর্মকাণ্ড গতি হারায়।