শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

কারও নজর নেই বাংলাবাজারের উন্নয়নে

রাহাত খান, বরিশাল

কারও নজর নেই বাংলাবাজারের উন্নয়নে

কয়েকদিন আগের কথা। মোটরসাইকেল নিয়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব আবুল খায়ের (ছদ্মনাম) এসেছিলেন বরিশাল নগরীর বাংলাবাজারে পরিবারের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী কিনতে। বাজার শুরুর আগেই তার প্রকৃতির ডাক আসে। বাংলাবাজারে কোনো টয়লেট নেই। টয়লেট খুঁজতে গিয়ে তিনি চাপ সামলাতে না পেরে প্যান্ট পরিহিত অবস্থায়ই মলত্যাগ করেন। লজ্জায় তিনি কাউকে কিছু বলতে পারলেন না। কিন্তু বাজারের কিছু ব্যবসায়ী বিষয়টি খেয়াল করে তাকে বাজারসংলগ্ন জামে মসজিদের টয়লেটে নিয়ে যান। ওই বাড়ির একজন তাকে একটি লুঙ্গি এনে দেন। পরে তিনি মসজিদে টয়লেট সারেন এবং লুঙ্গি পরে পরিবারের জন্য নিত্যপণ্য কিনে বাসায় চলে যান। এভাবে আবুল খায়েরের মতো প্রতিনিয়ত বাংলাবাজারে এসে প্রকৃতির ডাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ক্রেতারা। শুধু ক্রেতাই নন, বাংলাবাজারের ৩০০ ব্যবসায়ী প্রতিনিয়ত প্রকৃতির প্রয়োজন সারতে গিয়ে বিপাকে পড়েন বাজারে টয়লেট না থাকায়। বাজারের মুদি ব্যবসায়ী বিপু মিস্ত্রি জানান, সাবেক মেয়র প্রয়াত শওকত হোসেন হিরণের মেয়াদের শেষদিকে পুরনো বাংলাবাজার ভেঙে নতুন করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। কিন্তু তার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি বাংলাবাজার সম্পূর্ণ শেষ করে যেতে পারেননি। পরবর্তীতে মেয়র আহসান হাবিব কামালের কাছে অসম্পূর্ণ বাংলাবাজারের বাকি উন্নয়ন কাজ করার আবেদন-নিবেদন করা হলেও কাজ কিছুই হয়নি। বাজারের আরেক ব্যবসায়ী তছলিম হাওলাদার বলেন, ঐতিহ্যবাহী বাংলাবাজার থেকে প্রতি বছর মোটা অঙ্কের রাজস্ব পায় সরকার। কিন্তু এত বড় পুরনো বাজারের উন্নয়নে তাদের উদ্যোগ নেই। বাজারে একটি টয়লেট বা বাথরুম নেই। এ কারণে বাজার সব সময় নোংরা-অপরিচ্ছন্ন হয়ে থাকছে। বাংলাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আকরাম হোসেন বলেন, বাংলাবাজারে একটি টয়লেট বা বাথরুমের ব্যবস্থা হয়নি। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তিনি অবিলম্বে বাংলাবাজারে একটি টয়লেট করতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

বরিশাল সিটি করপোরশেনের (বিসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, বাংলাবাজারে একটি টয়লেট প্রয়োজন— এটা অনস্বীকার্য। তিনি নিজে এ বিষয়ে উদ্যোগী হয়ে জনস্বার্থে দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন।

 

সর্বশেষ খবর