মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

গাজীপুরে পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন

আফজাল, টঙ্গী

গাজীপুরে পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন

গাজীপুরে শ্রমিক ও পরিবেশবান্ধব শিল্প-কারখানা নির্মাণে আগ্রহী শিল্প উদ্যোক্তারা। বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে এমন উদ্যোগ নিচ্ছেন শিল্প মালিকরা। বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী কাজের পরিবেশ, শ্রমিক আইনকানুন, পরিবেশ দূষণমুক্ত, শ্রমিকদের নিরাপত্তা, চিকিৎসা ব্যবস্থা, বেতন-ভাতাসহ সব সুবিধা প্রদান ও সরকারি নিয়মনীতি মেনে নির্মাণ হচ্ছে শিল্প-কারখানা। ইতিমধ্যে অনেক কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিক ও পরিবেশবান্ধব কারখানা নির্মাণ করেছেন। আবার অনেক কারখানা মালিক নির্মাণ প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছেন। শিল্প মালিকরাও এসব কারখানা নির্মাণে চাইছে সরকারি সব সহযোগিতা। বর্তমানে শ্রমিক ও পরিবেশবান্ধব কারখানা ব্যতীত কোনো প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে চাইছে না বিদেশি ক্রেতারা। যার ফলে ছোট ছোট কারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে শ্রমিক ও পরিবেশবান্ধব কারখানা। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিসিক নর্দার্ন করপোরেশন, টাম্পাকো ফয়েলস লি., টঙ্গী-মেঘনা রোডে পিনাকি গ্রুপ, অ্যামট্রানেট গ্রুপ, গাজীপুরা সাতাইশ এলাকায় এলউসাইন গ্রুপ, রাজনগর এলাকায় মণ্ডল গ্রুপ, টঙ্গীর বাদাম এলাকায় এননটেক্স গ্রুপ, গাজীপুরের বাইপাস এলাকায় ভিয়েলাটেক্স গ্রুপের ইকো কুটুর ও ইকো ফ্যাব, গাজীপুরের মাওনা এলাকায় নর্দার্ন গ্রুপের তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ লি., প্রবৃদ্ধি এ্যাপারেলস লিমিটেডসহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে এবং নির্মাণাধীন রয়েছে বেশকিছু পরিবেশবান্ধব কারখানা। এননটেক্সের শ্রমিক পারভিন ও  সোহেল বলেন, এখানে কাজের পরিবেশ, কারখানার মাঝপথে বিশাল সড়ক, চলাচলে সুবিধা, থাকা, চিকিৎসা ব্যবস্থায় মনেই হয় না দেশি একটি কারখানায় কাজ করছি। প্রতিটি কারখানা এমন হওয়াই উচিত বলে মনে করেন তিনি।

বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে পরিবেশবান্ধব কারখানা। কারখানাগুলোতে হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করছে, কাজের পরিবেশ, শ্রম আইন, পরিবেশ দূষণমুক্ত, শ্রমিকদের নিরাপত্তা, চিকিৎসা ব্যবস্থা, বেতন-ভাতাসহ সব সুবিধা প্রদানে বিদেশি ক্রেতারা মুগ্ধ। গ্রিন ফ্যাক্টরি নির্মাণে যেসব শিল্প উদ্যোক্তা রয়েছে তাদের সরকারি সব সহযোগিতা প্রয়োজন। কারণ এসব কারখানায় কাজ করে শ্রমিকরা বেকারত্ব দূর করে উন্নয়ন দেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখছে।

এলউসাইন গ্রুপের পরিচালক শ্যামল রায় বলেন, বাজারে যে প্রতিযোগিতা তাতে টিকে থাকাই মুশকিল। বিদেশি ক্রেতাদের ইচ্ছানুযায়ী কাজ করতে গিয়ে অনেক বেগ পেতে হয়। ইতিমধ্যে ছোট ছোট অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। গাজীপুরা সাতাইশ এলাকার ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বলেন, সাতাইশ রাজনগর এলাকায় ছায়াকুঞ্জ আবাসিক প্রকল্পের জায়গায় মণ্ডল গ্রুপ, সিভিও ফ্যাশন, টাউজার ল্যান্ডসহ বেশকিছু কারখানা মালিক নির্মাণ করছেন পরিবেশবান্ধব কারখানা। এখানে যাতায়াত, মনোরম পরিবেশসহ রয়েছে সব ধরনের সুবিধা।

সর্বশেষ খবর