মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

উদ্যোগে এগিয়ে রোগী কল্যাণ সমিতি

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

উদ্যোগে এগিয়ে রোগী কল্যাণ সমিতি
শতাধিক রোগীকে সিসিইউতে রাখতে হয়। কিন্তু শয্যার অভাবে অনেক রোগী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কখনো মেঝেতে, কখনো বারান্দায় এবং কখনো ফ্লোরে পর্যন্ত মুমূর্ষু রোগীদের রেখে চিকিৎসাসেবা দিতে হচ্ছে। তবে এখন নতুন করে আরও ১৫টি শয্যা যুক্ত হওয়ায় এ সংকট কিছুটা হলেও কাটবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ

             

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) যোগ হয়েছে ১৫টি শয্যা। ইতিমধ্যে শয্যা সংযোজনের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে, স্থাপন করা হয়েছে দুটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য তৈরি করা হয়েছে পৃথক দুটি কক্ষ, কেনা হয়েছে প্রয়োজনীয় নানা চিকিৎসা উপকরণ। এর মাধ্যমে বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণ রোগী সিসিইউ সেবা পাবে। চমেক হাসপাতাল রোগীকল্যাণ সমিতির উদ্যোগে শয্যাগুলো বাড়ানো হচ্ছে। এ সপ্তাহেই পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার কথা। এর পর পরই আনুষ্ঠানিকভাবে চিকিৎসাসেবা শুরু করা হবে।  জানা যায়,  চমেক হাসপাতালে হৃদরোগ বিভাগে সিসিইউ চালু হয় ১৯৮৯ সালে। বর্তমানে সিসিইউতে ১৬টি শয্যা আছে। তবে তা রোগীর তুলনায় খুবই অপ্রতুল। কিন্তু সিসিইউতে প্রতিদিনই গড়ে ৪০ জন রোগী ভর্তি থাকেন। তাছাড়া হৃদরোগ বিভাগে নিয়মিত ভর্তি থাকেন আড়াইশ থেকে ৩শ রোগী।  এর মধ্যে শতাধিক রোগীকে সিসিইউতে রাখতে হয়। কিন্তু শয্যার অভাবে অনেক রোগী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

কখনো মেঝেতে, কখনো বারান্দায় এবং কখনো ফ্লোরে পর্যন্ত মুমূর্ষু রোগীদের রেখে চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে। তবে এখন নতুন করে আরও ১৫টি শয্যা যুক্ত হওয়ায় এ সংকট কিছুটা হলেও কাটবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।

চমেক হাসপাতাল রোগী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সমাজসেবা কর্মকর্তা অভিজিৎ সাহা বলেন, ‘হৃদরোগ বিভাগের সিসিইউতে নতুন করে ১৫টি শয্যা দেওয়া হচ্ছে। সমাজের বিত্তবান এবং মানবিক মানুষদের সহায়তায় এসব শয্যা যুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। নতুন শয্যার পাশাপাশি সিসিইউর এয়ার কন্ডিশনগুলো (এসি) মেরামত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সিসিইউর সব উপকরণ স্থাপন করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে পরীক্ষামূলক চালু করা হবে। এরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হবে।’ হৃদরোগ বিভাগের প্রধান প্রবীর কুমার দাশ বলেন, ‘হৃদরোগে আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের এক ঘণ্টার মধ্যে সিসিইউতে প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া গেলে রোগীর অবস্থা ভালো রাখা যায়। অন্যথায় দুর্ঘটনার সমুহ সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু আমাদের শয্যাসংখ্যা সীমিত। চাহিদার তুলনায় সিসিইউ শয্যা অপ্রতুল। এ জন্য অনেক রোগী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

রোগীকল্যাণ সমিতির উদ্যোগে ১৫টি সিসিইউ শয্যা যোগ হয়েছে। এটি একটি ভালো উদ্যোগ। এর মাধ্যমে আরও কিছু জটিল রোগী সিসিইউ সেবা পাবে। আশা করি, আগামীতে আরও শয্যা যোগ করা হবে।’

সর্বশেষ খবর