মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

অনিরাপদ পানিতে স্বাস্থ্যঝুঁকি

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

অনিরাপদ পানিতে স্বাস্থ্যঝুঁকি

খুলনা নগরীতে নিয়মনীতি ছাড়াই চলছে অনুমোদনহীন প্লাস্টিকের জারে (২০ লিটার) অনিরাপদ পানির রমরমা ব্যবসা। নগরজুড়ে বিশুদ্ধ পানির সংকট ও তদারকি প্রতিষ্ঠানের উদাসীনতায় দুই ডজনের বেশি প্রতিষ্ঠান ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) নিবন্ধন ও পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই। এমনকি প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও অত্যাধুনিক ল্যাবের ব্যবস্থা নেই।

জানা যায়, সুপেয় পানি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মান যাচাইয়ে শর্ত হিসেবে বিএসটিআইর পক্ষ থেকে রয়েছে ৩০ ধরনের পরীক্ষা পদ্ধতি। বিশুদ্ধ পানি বাজারজাতকরণের অনুমোদনের পর কারখানায় রসায়নবিদ, কর্মীর সুস্বাস্থ্যের সনদ ও ল্যাব থাকার কথা। কিন্তু অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলো যেনতেনভাবে কারখানায় উৎপাদিত পানি বিভিন্ন বাসাবাড়ি, দোকান-হোটেল, সরকারি-বেসরকারি অফিসে সরবরাহ করছে। নগরবাসী এসব পানি টাকা দিয়ে কিনে বিশুদ্ধ মনে করে পান করছে। কিন্তু পানি উৎপাদনে বিএসটিআই অর্পিত কোনো মান বজায় রাখা হচ্ছে কি না জানেন না কেউ।

খুলনা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, জারের পানি বিশুদ্ধ কি না, কোথাকার পানি কোথায় তৈরি হয় সে বিষয়ে অনেকেই খোঁজ নেয় না। অনেক কারখানা বোতলের গায়ে নকল স্টিকার লাগিয়ে বিক্রি করে। বিশুদ্ধ পানির নামে নোংরা পানি পান করলে ডায়রিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, জারের গায়ে ‘দেশ পানি’র ঠিকানা গল্লামারি লেখা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে রেলওয়ে মার্কেট গলিতে। সঠিক কাগজপত্র না থাকায় প্রতিষ্ঠানটিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার অধিদফতর। একইভাবে অস্বাস্থ্যকর পানি বাজারজাত করায় দৌলতপুর পাবলা এলাকায় অকসি ড্রিংকিং ও বটিয়াঘাটা মুহাম্মদনগর এলাকায় মাসাফি ড্রিংকিং ওয়াটার নামের দুই প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে র‌্যাব। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, খুলনা জেলা সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম জানান, অনেক প্রতিষ্ঠানের জারের গায়ে লেভেল যে ঠিকানা দেওয়া থাকে বাস্তবে তা পাওয়া যায় না। বিএসটিআইর অনুমোদনও নেই অনেক প্রতিষ্ঠানের। এসব ভুয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকা সংগ্রহ করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর