মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

কারখানা প্রাঙ্গণে ফুলের বাগান

আফজাল, টঙ্গী

কারখানা প্রাঙ্গণে ফুলের বাগান

ভোরের আলো ফুটেছে। সূর্যের কিরণ এসে পড়েছে বাগানের প্রতিটি গাছের পাতায়। বিচিত্র প্রজাতির বিভিন্ন গাছের প্রতিটি পাতায় জমে থাকা শিশির বিন্দু সূর্যের আলোয় যেন মুক্তার মতো ঝলমল করে উঠেছে। সারা রাত শিশির সিক্ত হয়ে ভোরের আলো পেতেই মেলে ধরেছে তাদের সৌন্দর্য। সুন্দর সাজানো-গোছানো বাগানে খেলা করছে প্রজাপতির দল। চারদিকে বিচিত্র রকমের দেশি-বিদেশি ফুল, ফল ও ঔষধি গাছ। কেউ কেউ একটু থেমে দুই চোখ ভরে সৌন্দর্য উপভোগ করছেন, কেউবা আবার মুঠোফোনে বাগানের সৌন্দর্য ফ্রেমবন্দি করছেন। এমনই নান্দনিক দৃশ্য চোখে পড়ে টঙ্গী নিউ মেঘনা টেক্সটাইলস মিলস প্রাঙ্গণে। কারখানায় ঢুকতেই এমন মোহনীয় দৃশ্য চোখে পড়ে। এখানে নানা প্রজাতির ফুলের মধ্যে গোলাপ, গাঁদা, পাতাবাহার, জবা, তুলসীসহ বিভিন্ন ফুল ও ঔষধি গাছ দিয়েও সৌন্দর্যমন্ডিত করা হয়েছে পুরো কারখানার চারপাশ। অল্প সময়ে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল, ফল ও ঔষধি গাছের সমাবেশ কারখানা প্রাঙ্গণের সৌন্দর্যকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। এখানকার শ্রমিক কর্মকর্তা কর্মচারী বাগান নিয়ে উচ্ছ্বসিত। ঠিক এ রকমই মেঘনা টেক্সটাইলস মিলস লি., টঙ্গী মিল গেট আবুল খায়ের গ্রুপের ওয়্যার হাউস প্রাঙ্গণে, অ্যামট্রানেট গ্রুপের ব্রাভো অ্যাপারেলস ম্যানুফেকচার লিমিটেডসহ বিভিন্ন কলকারখানায় দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগানের পরিচ্ছন্ন পরিবেশ পাল্টে দিয়েছে কারখানার চিত্র। টঙ্গী সরকারি কলেজ অ্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়, টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গালর্স কলেজ, টঙ্গী সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি, টঙ্গী সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস গাজীপুর, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস গাজীপুরসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও নান্দনিক দৃশ্য চোখে পড়ার মতো। টঙ্গী নিউ মেঘনা টেক্সটাইলস মিলস-এর চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ জাহিদ আল মামুন বলেন, কীভাবে এটিকে আরও নান্দনিক করা যায়, সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। দিন দিন কারখানার চেহারা পাল্টে যাচ্ছে। কারখানার চারদিকে ফুলের আভাস আর তার হৃদয়গ্রাহী সুবাস যে কাউকে বিমোহিত করে। এ বিষয়ে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সালাউদ্দিন বলেন, ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিক মালিকানায় হস্তান্তর করা ৯টি মিলের মধ্যে ১টি হলো নিউ মেঘনা টেক্সটাইলস মিলস। সব কটি মিল বন্ধ হলেও  নিউ মেঘনা টেক্সটাইলস মিলস এখনো সচল রয়েছে। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে এখনো টিকে রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি। কারখানার শেয়ার হোল্ডারদের লভ্যাংশ পরিশোধ, শ্রমিক কর্মচারীদের সুযোগসুবিধা প্রদান করে আসছে। সেই সঙ্গে কারখানায় পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং চারদিকে বিচিত্র রকমের দেশি-বিদেশি ফুল ও ফলগাছের নান্দনিক দৃশ্য চোখে পড়ার মতো। 

সর্বশেষ খবর