শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

কান্দিখাল পাড়ের উচ্ছেদ শেষ হবে কবে?

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

কান্দিখাল পাড়ের উচ্ছেদ শেষ হবে কবে?

কান্দিখাল। কুমিল্লা নগরীর পানি অপসারণের প্রধান খাল। তিন বছরেও শেষ হয়নি কান্দিখাল পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজ। কান্দিখাল পাড়ের উচ্ছেদের তালিকা হয় ২০২১ সালের শেষ দিকে। কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের আগস্টে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর খাল সম্প্রসারণ করার কথা। তবে প্রায় তিন বছরেও উচ্ছেদের কাজ শেষ করতে পারেনি কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক)। নগরবাসীর অভিমত, এ খালের পাড় যেন পুনর্দখল না হয়। খাল সম্প্রসারণ না করলে আগামী বর্ষায় আবারও নগরবাসীকে জলাবদ্ধতায় হাবুডুবু খেতে হবে। কুমিল্লা নগরীর প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড়। কান্দিখালের নামে কান্দিরপাড়। ২০২১ সালে তৎকালীন মেয়র কান্দিখাল দখলকারী চার সরকারি প্রতিষ্ঠান, ৩৬ জন ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম, দখলি জমির পরিমাণ প্রকাশ করেন। তবে হেটেল সালাহ উদ্দিন থেকে টমছমব্রিজ পর্যন্ত দখলের হিসাব এখনো কষা হয়নি। কান্দিখাল নগরীর উত্তর চর্থার নওয়াববাড়ী চৌমুহনী থেকে নোয়াগাঁও চৌমুহনী হয়ে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার পুরাতন ডাকাতিয়া নদীতে মিশেছে। প্রায় ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ খালের সিএস নকশা অনুযায়ী কোনো কোনো স্থানের প্রস্থ ৪৫ ফুট থেকে ৯৫ ফুট পর্যন্ত। এ ছাড়া নগরীর মনোহরপুর থেকে কান্দিরপাড় পর্যন্ত এ খালের শাখা রয়েছে। দখলদারদের কবলে পড়ে কান্দিখালটি প্রায় ৮ ফুট থেকে ২৫ ফুট প্রস্থের ড্রেনে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া নগরীর টমছম ব্রিজ মোড়ে ৭৯ ফুট ও নোয়াগাঁও মোড়ে ৯৫ ফুটের খালের প্রস্থ নেমে এসেছে ১৫-২০ ফুটে।

কুমিল্লা কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর মাসউদ বলেন, শুষ্ক মৌসুমে তেমন তৎপরতা দেখা যায় না, তবে বর্ষায় যখন দুই পাড় পানিতে টইটম্বুর তখন ভাসমান কিছু ময়লা পরিষ্কার করতে দেখা যায়। খনন, দুই পাড় দখলমুক্ত করা প্রয়োজন। এতে আসছে বর্ষায় আবারও বৃষ্টিতে তলিয়ে যাবে নগরী। সঠিক পরিকল্পনা করলে খালটির তলদেশে সহজে পানি প্রবাহের জন্য ঢালাই ও ওপর দিয়ে কালভার্ট নির্মাণ করে জনগণের হাঁটার ব্যবস্থা করা যেত। এতে জলাবদ্ধতা দূরীকরণের পাশাপাশি যাতায়াত সমস্যাও নিরসন হতো।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন, সমস্যার সমাধানে কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক হতে হবে। লোক দেখানো কিছু কাজ নগরবাসীকে স্থায়ী স্বস্তি দিতে পারবে না। দখল উচ্ছেদ শেষে খালটি দ্রুত খনন ও সম্প্রসারণ জরুরি। কুমিল্লা সিটি কাপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র হাবিবুর আল-আমিন সাদী বলেন, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধিসহ সরকারি চার প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা অবৈধ স্থাপনার তালিকা তৈরি করেন। অবৈধ স্থাপনা করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নোটিশও করা হয়েছিলো। অবৈধ স্থাপনার অধিকাংশ উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি।

সর্বশেষ খবর