মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

ফের দখলমুক্ত হলো মেয়র আনিসুল হক সড়ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফের দখলমুক্ত হলো মেয়র আনিসুল হক সড়ক

ফের দখলমুক্ত হলো মেয়র আনিসুল হক সড়ক। দূর হয়েছে এ সড়কে চলাচলরত মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি। ডিএমপির ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগ ঘোষণাও দিয়েছে, কর্মদিবসগুলোতে মেয়র আনিসুল হক সড়কটি ভোর ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শতভাগ পরিষ্কার রাখার। এ জন্য একজন সার্জেন্ট ও তিনজন কনস্টেবল এ সড়কে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। 

গতকাল আনিসুল হক সড়কে ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ডের ধারণ ক্ষমতা ৭০০-৮০০, কিন্তু ট্রাক আসে প্রায় ৪ হাজার। এখানে কিছু গ্যারেজ ছিল, যেখানে ট্রাক ঠিক করত, কিছু নষ্ট ট্রাক এখানে পড়ে থাকত এবং অনেক ট্রাক এখানে রেখে দেওয়া হতো। এসব কারণে এ রাস্তায় কেউ আসতে চাইত না।

তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যা ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ট্রাফিক কম থাকে। ট্রাক মালিক সমিতির অনুরোধে রাতে আমরা এ সময় এখানে ট্রাক থাকার সুযোগ দেব। শুক্র ও শনিবার সড়কে গাড়ির চাপ কম থাকে, তাই এক লেনে এ ছুটির দিনে আমরা ট্রাক থাকার সুযোগ করে দেব। সাতরাস্তা থেকে রেললাইন পর্যন্ত সড়কে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বহু বছরের ট্রাক স্ট্যান্ডটি ২০১৫ সালের ২৯ নভেম্বর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উচ্ছেদ করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনিসুল হক। তবে তার মৃত্যুর পর ফের দখলদারদের হাতে চলে যায় সড়কটি। তবুও একটু সময় বাঁচাতে এ সড়ক হয়েই জাতীয় নাক-কান-গলা ইনস্টিটিউট, সংবাদপত্র ভবন, ছাপাখানা, প্রধান কার্যালয়সহ বহু সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী এবং সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে যাতায়াত করতেন। অথচ এ রাস্তায়ই রয়েছে এসেনসিয়াল ড্রাগসের মতো কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান। পাশেই রয়েছে বিজি প্রেস ও বিসিকসহ আরও ৯টি কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নজমুল হোসেন নভেল বলেন, গত সপ্তাহ থেকেই এ রাস্তাটি পরিষ্কার থাকায় আমি ১৫ মিনিটে ফার্মগেট থেকে গুলশান অফিসে চলে যেতে পারছি। এমন ফাঁকা আগে দেখিনি। তেজগাঁও ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার স্নেহাশীষ কুমার দাস বলেন, গত ২০/২৫ দিন ধরে এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। মালিক সমিতির নেতাদের নিয়ে আসছিলাম। তারাও ইতিবাচক মতামত দিয়েছেন। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক আমাদের বিশেষ দৃষ্টিতে থাকবে। বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ডভ্যান চালক শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. মনির তালুকদার প্রতিবেদককে বলেন, আমরা জায়গার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছি, টিএনটির জায়গা আমাদের দিয়ে দিলে ইনশা আল্লাহ এ সমস্যা থাকবে না। আর আমরা ট্রাফিক পুলিশকে সবসময় সহায়তা করি এবং করব।

সর্বশেষ খবর