মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

অবশেষে আলোর মুখ দেখছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

অবশেষে আলোর মুখ দেখছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার

নানা শঙ্কা আর রাজনৈতিক দূরত্ব ছাপিয়ে অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে রাজশাহী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। নকশা চূড়ান্ত হওয়ার পর আহ্বান করা হয়েছে দরপত্র। গত ১৮ মে থেকে শহীদ মিনারটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। কংক্রিট এড়িয়ে সবুজ আবহ গড়ে তুলতে আলোচনা হয়েছে পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর সঙ্গেও। জেলা পরিষদ শহীদ মিনারটি নির্মাণে ব্যয় করছে প্রায় ৮ কোটি টাকা। রাজশাহীর সোনাদীঘি এলাকায় শহীদ মিনার নির্মাণ নিয়ে জেলা পরিষদ ও সিটি করপোরেশনের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে চলেছে টানাপোড়েন। দুই পক্ষই অনড় ছিল শহীদ মিনারটি নির্মাণে। অবশেষে ঢাকার আদলে সোনাদীঘি এলাকায় শহীদ মিনার নির্মাণ করতে যাচ্ছে জেলা পরিষদ। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল জানান, তাদের জায়গায় সিটি করপোরেশন শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু তারা আগেই উদ্যোগ নিয়েছিলেন শহীদ মিনার নির্মাণের। পরে এনিয়ে মন্ত্রণালয়ে দুই পক্ষের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় জেলা পরিষদ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি নির্মাণ করবে। এতে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৮ কোটি টাকা। এ অর্থ জেলা পরিষদ নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ করবে।

তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে শহীদ মিনার নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ করে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। নির্মাণকাজও শুরু হয়েছে। আগামী ৮ মাসের মধ্যে এর কাজ শেষ হবে। স্বাধীনতার এতদিন পর রাজশাহীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ায় খুশি বীর মুক্তিযোদ্ধারা। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাসিকের প্রথম মেয়র অ্যাডভোকেট আবদুল হাদী বলেন, দীর্ঘদিন পর হলেও সব জটিলতা দূর করে শেষ পর্যন্ত শহীদ মিনারের কাজ আলোর মুখ দেখছে। এতে খুশি তারা। মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রাহক ওয়ালীউর রহমান বাবুর মতে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দাবি রাজশাহীর মানুষের দীর্ঘদিনের। শহীদ মিনারটি যাতে কাজে আসে, সে উদ্যোগও নিতে হবে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের। গত চার বছরের বেশি সময় ধরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ থমকে আছে।

সর্বশেষ খবর