বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

ফেসিয়াল হেয়ারের সমস্যা

কোমল ও মসৃণ ত্বকের স্বপ্ন দেখছেন, অথচ ফেসিয়াল হেয়ার সমস্যার অন্তরায়, তা তো হতে পারে না! মসৃণ ত্বকের প্রাথমিক শর্ত হলো- ফেশিয়াল হেয়ার- অর্থাৎ অবাঞ্ছিত লোমমুক্ত ত্বক। কোনোরকম ব্যথা-বেদনা ছাড়াই ঘরে বসে দূর করতে পারবেন ফেসিয়াল হেয়ার।

 

কীভাবে দূর করবেন ফেসিয়াল হেয়ার?

শেভিং, ফেসিয়াল হেয়ার বা মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার দ্রুততম উপায়। এতে ব্যথা-বেদনাও এড়ানো সম্ভব। তবে সেক্ষেত্রে নিয়মিত (দুই-তিন দিন অন্তর) শেভ করতে হবে। শেভ করার জন্য বডি রেজরের পরিবর্তে ফেশিয়াল রেজর ব্যবহার করুন। এটি অপেক্ষাকৃত সূক্ষ্ম লোমের জন্য বিশেষভাবে বানানো হয়। ফলে ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে, এর ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি জেনেই তা করা উচিত।

 

হোম-মেড ওয়্যাক্সের ব্যবহার ফেশিয়াল হেয়ার থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায়। একটা ডিমের সাদা অংশ ফেটিয়ে নিন। এতে সামান্য কর্নফ্লাওয়ার মেশাতে পারেন। টিস্যু পেপার ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। এবার ব্রাশের সাহায্যে মুখে এই মিশ্রণ লাগিয়ে ওপরে টিস্যু পেপার রাখুন। এভাবে টিস্যু পেপারের দুটি স্তর তৈরি করুন। মুখ পুরো শুকিয়ে গেলে দেখবেন, ত্বকে টান টান অনুভব করছেন। এ অবস্থায় হেয়ার গ্রোথের বিপরীতে টিস্যু পেপার টেনে তুলুন। এটি অনেকাংশে ওয়্যাক্সিংয়ের মতো হলেও ব্যথা পাওয়ার আশঙ্কা অনেকটা কম।

 

ফেসিয়াল হেয়ার দূর করার জন্য এখন বিউটি ক্লিনিকেই লেজার ট্রিটমেন্ট করানো হয়। বলা হয় এতে লোম চিরতরে দূর করা সম্ভব।  যদিও তা পুরোপুরি সত্য নয়। লেজার হেয়ার ট্রিটমেন্টে বেশকিছু সিটিং নেওয়া প্রয়োজন। রাতারাতি এক্ষেত্রে কোনো ফল আশা করবেন না। তাছাড়া এতে লোমের গ্রোথ অনেকটাই কমে আসে ঠিকই, তবে পুরোপুরি লোমমুক্ত হবেন কিনা, তা নির্ভর করছে পদ্ধতির ওপর। হেয়ার ফলিকল পুরোপুরি নষ্ট না হলে লোম পুনরায় ফিরে আসতে পারে।

 

মুখের অবাঞ্ছিত চুল তুলে ফেলতে ফেশিয়াল ব্লিচ সেরা। এটি করলে ফেশিয়াল হেয়ার থাকে না বললেই চলে। ব্লিচ করতে মাত্র ১৫ মিনিট সময় লাগে এবং এটি যন্ত্রণামুক্ত। কীভাবে এটি ব্যবহার করবেন তা জানতে প্যাকের ওপরে থাকা নির্দেশনাবলি পড়ে নিন। তবে অতিরিক্ত ব্লিচিং ত্বকের ক্ষতি করে, বিশেষত যাদের ত্বক সংবেদনশীল।

 

ফেসিয়াল হেয়ার কমাতে পরিচর্যা

♦  সামান্য বেসন, হলুদের গুঁড়া আর সরিষার তেল একসঙ্গে নিয়ে একটি উপটান বানিয়ে নিন। তারপর মুখের চুলের ওপর লাগান। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে তুলে ফেলুন। এই পদ্ধতিটি নিয়মিত ব্যবহারে ফেশিয়াল হেয়ার বা মুখের অবাঞ্ছিত লোম অনেকটা কমে আসবে।

♦  সারা রাত ডাল ভিজিয়ে রাখুন। সকালে কাঁচা আলুর সঙ্গে ডাল বেটে ফেলুন। এর সঙ্গে লেবুর রস, হলুদ আর মধু মিশান। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি মুখে লোম গজানোর প্রবণতা কমিয়ে আনে।

♦  লেবুর রসের সঙ্গে ১ চামচ বার্লি গুঁড়া অথবা দুধ মিশিয়ে নিন। তারপর মুখে লাগিয়ে ২০-২৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। লেবুর রসের কারণে লোমের রঙে পরিবর্তন আসবেই। ধীরে ধীরে দেখতে পাবেন লোমের রং আপনার গায়ের রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে।

 

লেখা : নূরজাহান জেবিন

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর