শীত মানেই জম্পেশ ঘোরাঘুরি আর আড্ডা। সাইট সিয়িং, সমুদ্রস্নান, পাহাড় ট্রেকিং সব মিলিয়ে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাওয়া। যদিও ওমিক্রনের কারণে ভ্রমণপিপাসুদের ভ্রমণে বাড়তি সতর্কতা জারি রয়েছে। তাই ভ্রমণকালে মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধিও। আর পাশাপাশি ত্বক ও চুলের বাড়তি যত্ন তো আছেই!

সানস্ক্রিন : সমুদ্রে বেড়াতে গেলে তো বটেই, পাহাড়ে বেড়াতে গেলেও সানস্ক্রিন মাস্ট। শুধু মুখে নয়, পিঠে ও ঘাড়ে, বিশেষ করে হাতে সানস্ক্রিন লাগান। কেননা ঘোরাঘুরির সময় এসব অংশে রোদের থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কম হবে। রোদে বেরোনোর ২০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ক্রিম লাগান। ত্বক বেশি সেনসেটিভ হলে বা সানবার্ন বেশি হলে এসপিএফ সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সমুদ্রে নামার আগে ওয়াটারপ্রুফ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। ভ্রমণে হ্যাট বা ছাতা ব্যবহার করতে ভুলবেন না। বেড়ানো শেষে বাড়িতে ফিরে সানট্যানের ভাব কমাতে ২ টেবিল চামচ দইয়ের সঙ্গে ১ চিমটি হলুদ মিশিয়ে মুখে এবং শরীরের খোলা অংশে লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

হেয়ার টনিক : বেড়াতে গিয়ে সব সময় স্কার্ফ বা ওড়না ব্যবহার করা ভালো। এতে ধুলোময়লা থেকে চুল রক্ষা পাবে। শ্যাম্পু করার আগে চুল ভালো করে আঁচড়ে নিন। চুলের জট তো ছাড়াবেই সঙ্গে সঙ্গে ময়লাও পরিষ্কার হবে। মরা কোষ ঝড়ে পড়বে। ভালোভাবে মাথা ধুবেন যেন মাথার স্ক্যাল্পে জমে থাকা ধুলোময়লা ধুয়ে যায়।

পায়ের যত্ন : সারা দিন বাইরে ঘোরা মানেই পায়ের ওপর অত্যাচার। পা ও গোড়ালির ত্বক নরম রাখার জন্য আগে পায়ে অয়েল ম্যাসাজ করুন। এতে পায়ের ত্বক নরম থাকবে। গোসলের সময় পা বিশেষ করে গোড়ালি লুফা দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করবেন। গোসলে মাইল্ড সোপ ব্যবহার করুন। এরপর ময়েশ্চারাইজার লোশন লাগান। রাতে ঘুমানোর আগে নারিশিং ক্রিম ব্যবহার করুন।

স্বাস্থ্যবিধির ক্ষেত্রে : ভ্রমণে যেখানেই যান, মাস্ক ব্যবহার বন্ধ করা যাবে না। এমনকি জনবহুল জায়গাতেও নয়। ঘন ঘন হাত ধুতে হবে বা স্যানিটাইজ করতে হবে। একইসঙ্গে যেখানে থাকবেন সেখানকার বিছানা-বালিশ স্যানিটাইজের ব্যবস্থা করা। বাইরের খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে অনটাইম প্লেটে ব্যবহার করুন।

লেখা : নূরজাহান জেবিন