মুখত্বকের পাশাপাশি দেহত্বকেরও সমান নজর রাখা উচিত। অনেক সময় বডি স্কিনে ডিহাইড্রেশন এবং সানবার্নের সমস্যা দেখা দেয়। এর যত্নে লোশনের ব্যবহার থাকলেও বেশির ভাগ লোশন একটু ক্রিমি টেক্সচার হওয়ায় নিয়মিত ব্যবহারে অনেকে অস্বস্তিবোধ করেন। সমস্যার সমাধানে বডি সেরাম বেশ কার্যকর।
বডি স্কিনের পাওয়ার হাউস
বডি সেরাম সাধারণত লাইট ওয়েট, ওয়াটারি টেক্সচারের হওয়ায় লোশনের চেয়ে বেশি এর জনপ্রিয়তা। ত্বকের ধরনভেদে ভিন্ন ভিন্ন উপাদানের বডি সেরাম ব্যবহার করা হয়। এটি দেহত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, হায়ালুরনিক অ্যাসিডসহ প্রায় সব প্রয়োজনীয় উপাদানের জোগান দিয়ে থাকে। তাই তো কসমোলজিস্টরা বডি সেরামকে দেহত্বকের পাওয়ার হাউস বলে থাকেন।
বডি সেরা উপকারীতা
বডি সেরাম শুধু একটি সমস্যার সমাধান করে না, এটি একসঙ্গে অনেক কাজ করে। ত্বককে গভীর থেকে সারাইয়ের পাশাপাশি স্কিনের টেক্সচারকে করে তোলে নজরকাড়া। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল। অনেক উপাদান থাকা সত্ত্বেও বেশ লাইটওয়েট হওয়ায় গরমের সময় ব্যবহার করা যায় কোনো অস্বস্তি ছাড়াই। তবে সবচেয়ে বড় সুবিধা, ত্বকের নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য সে অনুযায়ী সেরাম বেছে নেওয়া যায়। বডি সেরাম ত্বকে প্রতিরক্ষামূলক দেয়াল তৈরি হয়, যা প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা আটকে রাখে। ফলে কিছুদিন বডি সেরামের নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক তুলনামূলকভাবে বেশ পরিপুষ্ট, কোমল ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এ ছাড়া ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর করে ইলাস্টিসিটি বাড়াতে বডি সেরাম দারুণ সহায়ক। এমনকি অ্যান্টি-এজিংয়ের জন্য বিশেষভাবে তৈরি সেরামগুলো ব্যবহারেও স্কিনের ইলাস্টিসিটি বাড়ে এবং দূর হয় কুঁচকে যাওয়া ভাব। এর বাইরেও আছে এক্সফোলিয়েটিং বডি সেরাম। যা দেহত্বকের মৃতকোষ সারাইয়ে দারুণভাবে কাজ করে।
ধরন বুঝে বডি সেরাম
ত্বকের ধরন আর সমস্যা যাচাই করে বেছে নিতে হবে সেরাম। অনেকের বিভিন্ন উপাদানে অ্যালার্জি থাকে। সে ক্ষেত্রে সেরাম বাছাইয়ের সময় এতে ব্যবহৃত ইনগ্রেডিয়েন্টগুলোর তালিকা দেখে নেওয়া ভালো। ত্বকে মানানসই নয় এমন কোনো উপাদান থাকলে সেই সেরাম এড়িয়ে যাওয়াই মঙ্গল। কারণ, এতে হিতে বিপরীতও হতে পারে। ত্বক সেনসিটিভ হলে বেছে নিতে হবে ডারমাটোলজি টেস্টেড সেরামগুলো। এগুলোই নিরাপদ অপশন। এসব সেরাম তৈরির সময় ধাপে ধাপে পরীক্ষা করা হয় এবং দেহে কোনো ধরনের ক্ষতি যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করা হয়।
লেখা : লাইফস্টাইল ডেস্ক