অনেকে ইনস্টাগ্রামের যুগে সৌন্দর্যের অবাস্তব মাপকাঠিকে ধ্রুব সত্য বলে মেনে নিচ্ছেন। ‘ইনস্টাগ্রাম’ উপযোগী ত্বক পেতে ভরসা করেন বিউটি প্রডাক্ট আর একগাদা মেকআপের ওপর। যা মোটেও উপকারী নয়। কেননা, আপনার ন্যাচারাল স্কিন টেক্সচারকে একটু প্রাণখুলে বাঁচতে দিন। আসল কথা হলো, ত্বকের সুস্থতা। হেলদি স্কিনেও কিন্তু পোরস, স্পটস বা দাগ থাকে। তা নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগা অনর্থক। তাই বলে মেকআপ করা যে খারাপ, তাও বলছি না। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলতে অল্পবিস্তর মেকআপই যথেষ্ট। শুধু একটা রিস্ট্রেন্ট থাকা জরুরি।
► মেকআপে মাল্টিপারপাস প্রসাধনী ব্যবহার করুন। মেকআপ ব্যাগে একটা টিন্টেড লুজ পাউডার, একটা ব্লাশ বা লিপস্টিক, একটা মাসকারা, একটা লিপবাম আর একটা কাজল বা আই পেনসিল থাকলেই কাজ হয়ে যায়।
► মেকআপ করতে যে সবসময় মেকআপ প্রসাধনীই ব্যবহার করতে হবে, এমনটা নয়। মাঝে মাঝে ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত প্রসাধনীতেও কাজ সারতে পারেন। দিনের বেলা ত্বকের ন্যাচারাল লং লাস্টিং গ্লো ধরে রাখতে চাইলে কয়েক ফোঁটা টিন্টেড এসপিএফযুক্ত ন্যাচারাল ফেশিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। মেকআপের প্রয়োজন হবে না। ত্বকও পুষ্টি পাবে।
► যদি মেকআপ করতেই হয়, তাহলে আগে ত্বককে উপযোগী করে নিন। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল দেখাবে, বেশি মেকআপের দরকার নেই।
► মেকআপ করা যেমন জরুরি, তেমনি রোজ মেকআপ তুলে না ফেললে কিন্তু কোনো রুটিনই ত্বকের উপকার করতে পারবে না। তাই মেকআপ তুলতে অন্তত দুবার মুখ পরিষ্কার করুন। প্রথমে মেকআপ রিমুভার বা অলিভ অয়েল দিয়ে চোখ ও ঠোঁটের জেদি মেকআপ তুলে নিন। টিস্যু পেপার দিয়ে মেকআপ ভালো করে মুছে নিন। এরপর ক্লিনজার দিয়ে দুবার মুখ ধুয়ে নিন।
তথ্যসূত্র : স্কিনকেয়ার থটস