বৃহস্পতিবার, ৪ জুন, ২০১৫ ০০:০০ টা

যমজ ভূমিকম্প [২০১৭]

যমজ ভূমিকম্প [২০১৭]

আশ্চর্যজনকভাবে সত্য যে জাপানের বিজ্ঞানীরা ২০১৭ সালে যমজ ভূমিকম্পের আশঙ্কা করছেন। সে অনুযায়ী নিরাপত্তা বিষয়ক কাজও শুরু করেছেন তারা। জাপানের রায়কুস ইউনিভার্সিটির এমিরেটস প্রফেসর ড. মাসাকি কিমুরা এই যমজ ভূমিকম্প নিয়ে বেশ কয়েকবছর ধরে গবেষণা করে আসছেন। এই ভূমিকম্পবিদ ধারণা করছেন ৯ বা তারও বেশি মাত্রার দুটি ভূমিকম্প ২০১৭ সাল নাগাদ জাপান কাঁপিয়ে তুলবে। এতে দুলে উঠতে পারে পুরো বিশ্ব। গোটা পৃথিবী এই দুটি যমজ ভূমিকম্পের প্রভাবে প্রকম্পিত হলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।

২০১১ সালে তোহোকু ভূমিকম্প বিজ্ঞানীদের ধারণা সত্যি করেছে। তাই ২০১৭ সালের যমজ ভূমিকম্প নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা। তোহোকু ভূমিকম্পটি উত্তরপূর্ব সমুদ্র উপকূল থেকে ৩৭২ কিলোমিটার দূরে সংগঠিত হলেও এর ভয়ানক প্রভাব পড়ে তোহোকুতে। এর সঙ্গে সুনামি যোগ হওয়াতে সব হিসাব উল্টে যায়। ধ্বংসযজ্ঞ হয় আরও মর্মান্তিক। ৩০ ফুট উঁচু সুনামির ঢেউয়ে তলিয়ে যায় সব। ভেঙে চুরমার হয় বাড়িঘর, রাস্তা যা এসেছে সুনামির যাত্রাপথে। ড. কিমুরা এই সুনামির আশঙ্কা চার বছর আগে থেকে করে আসলেও তথ্য-প্রমাণের দুর্বলতার কারণে তা শক্তিশালীভাবে প্রকাশ পায়নি। কিন্তু ২০১৭ সালে যমজ ভূমিকম্পের আগাম বার্তা দেওয়ার পর তার কথায় গুরুত্ব দিচ্ছেন সবাই। এর সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করে অনেকেই একমত হয়েছেন। তার 'আর্থকোয়্যাক আই' গবেষণাপত্রে এই ভূমিকম্প নিয়ে ভয়াবহ ধ্বংসের সম্ভাব্যতা ফুটে উঠেছে।

সম্প্রতি নেপালে একাধিক ৭ থেকে ৭.৫ বা তারও বেশি মাত্রার ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার পর তার পূর্বাভাস আরও শক্ত ভিত্তি পায়। কিমুরা জানান, লিজু দ্বীপ হতে পারে যমজ ভূমিকম্পের কেন্দ্র। এতে সারা পৃথিবী কেঁপে উঠতে পারে।

 

সর্বশেষ খবর