বৃহস্পতিবার, ৪ জুন, ২০১৫ ০০:০০ টা

দাবানলে জ্বলবে পৃথিবী [২০১৫-২০৫০]

দাবানলে জ্বলবে পৃথিবী [২০১৫-২০৫০]

অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্রে দাবানল নতুন কিছু নয়। প্রতি বছরেই ছোট-বড় দাবানলের কবলে পড়ছে বনাঞ্চল ও শহর। মারা যাচ্ছে মানুষ, পশু পাখি। পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে নগর। রাস্তাঘাট, বাড়ি, রাস্তা সব দাবানলের খাবারে পরিণত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে ২০৫০ সালের মধ্যে বড় ধরনের দাবানলের আশঙ্কা করা হচ্ছে। হার্ভাড স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড এপ্লাইড সায়েন্সের পরিবেশ বিজ্ঞানীরা ২০৫০ সালের মধ্যে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়ার উপযুক্ত শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে দাবানল ছড়িয়ে পড়ার সিজন এখন আরও প্রসারিত হয়েছে। তিন সপ্তাহ সময়ের মধ্যে ধোঁয়াটে আবহাওয়া বিরাজ করছে গত কয়েকবছর ধরে। সম্প্রতি ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে এবং ফরেস্ট সার্ভিস এক হয়ে এ নিয়ে গবেষণা শেষ করেছে। ১৯৯৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ঘটা দাবানলগুলো কিন্তু বিপজ্জনক ভবিষ্যতের কথাই বলছে। বৈশ্বিক আবহাওয়া পরিবর্তনের কথা তুলে বিজ্ঞানীরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেই দাবানল বাড়ার শঙ্কা বেড়েছে। পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি দাবানলের সংখ্যা বাড়ার পেছনের অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে। দাবানল নিয়ে বহু বছর ধরে কাজ করে আসছেন ড. লোরেটা মিকলি। এই সিনিয়র গবেষক তার তৈরি প্রতিবেদনে লিখেছেন, ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের দাবানল হতে পারে যা পৃথিবী এখনো দেখেনি। তার মানে দাঁড়াচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দাবানল অদূর ভবিষ্যতেই ঘটতে যাচ্ছে। তার প্রতিবেদনে আরও দেখানো হয়েছে, গরম যত বাড়বে দাবানল বৃদ্ধির আশঙ্কা তত বাড়বে। বেড়াতে আসা পর্যটকদের 'ক্যাম্প ফায়ার' থেকে দাবানলের সূচনা বন্ধে কাজ করে যাচ্ছে ফরেস্ট সার্ভিস বিভাগ। কিন্তু এতে কতটুকু কাজ হবে তা বলা মুশকিল। পৃথিবীতে প্রতিবছর ৩০ থেকে ৫০ হাজার দাবানল সৃষ্টি হওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়ে থাকে। এতগুলো দাবানল একত্র হলে পৃথিবী স্রেফ এক আগুনের কুণ্ডলী হয়ে উঠবে।

 

 

সর্বশেষ খবর