ম্যাগাথ্রাস্ট বা ভূস্তরে মহাচাপ ভূমিকম্পের জন্য চিলিকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে কয়েক বছর ধরেই। ২০১৪ সালে এপ্রিলে চিলিয়ান ভূমিকম্প ৮.৫ বা তারও বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রমাণ রেখে গেছে। ২০১৪ সালে ১ এপ্রিল ৮.২ মাত্রার ভূমিকম্প ঘটে। চিলির উত্তর-পূর্ব উপকূল থেকে মাত্র ৯৭ কিলোমিটার দূরে এর কেন্দ্র ছিল। এতে ভূমিধস ঘটে, প্রাণহানি ঘটে। এই ভূমিকম্প একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থ বহন করে। এত কাছে ভূমিকম্পের কেন্দ্র হওয়ায় বিশেষজ্ঞরা হিসাব কষে দেখেছেন অদূর ভবিষ্যতে এর চেয়ে বড় মাত্রার ভূমিকম্প চিলির অভ্যন্তরেই ঘটতে পারে। একটি সাবডাকসান জোনে এই ভূমিকম্পটি হওয়ায় দেখা গেছে একটি টেকটোনিক প্লেট যেটাকে বলা হচ্ছে নাজকা প্লেট চাপ দিচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকান প্লেটটিকে। এতে প্রমাণ হয় এখানে একটি মহাচাপ তৈরি হচ্ছে। এর ফলে খুব বড় মাত্রার ভূমিকম্পের জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত হচ্ছে সেখানে। এই ভূমিকম্পের সুদূরপ্রসারী ধ্বংসযজ্ঞ চলতে পারে। প্যাসিফিকে এই ভূমিকম্পের চাপ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই অঞ্চলের আগ্নেয়গিরি এতে সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। আগ্নেয়গিরি সক্রিয় হলে দুলে উঠতে পারে আরও বড় অঞ্চল। প্যাসিফিকে প্রায় ৭৫ শতাংশ সরাসরি প্রভাব পড়বে এই ভূমিকম্পের। যখন একটি টেকটোনিক প্লেট অন্য একটি টেকটোনিক প্লেটের ওপর দিয়ে সরে আসে তখন ফল্ট লাইনে যে চাপের সৃষ্টি হয় তা থেকে ভূমিকম্পের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই এতে মাটির ওপরিতলে রীতিমতো প্রলয় ঘটতে শুরু করবে। এই চাপ যতক্ষণ স্তিমিত না হবে ভূমিকম্প থেমে থেমে চলতেই থাকবে। এই ভয়াবহ ভূমিকম্প বা 'ম্যাগাথ্রাস্ট আর্থকোয়াক' ২০১৫ থেকে ২০৬৫ সালের ভেতরেই সংঘটিত হতে পারে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১৪ সালের ভূমিকম্পটি মহাচাপ ভূমিকম্পের সূচনা করে গেছে। ৫০ বছরের ভেতরেই এটি আরও ভয়ানক রূপে ফিরে আসতে পারে।