ঠিক কী কারণে পার্থ বোনের কঙ্কাল নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন এ প্রশ্নের যেমন উত্তর পাওয়া যাচ্ছিল না তেমনি বাবার আত্মহনন, কুকুরের শোকে দেবযানীর স্বেচ্ছা অনশনে মৃত্যু, ঘরে বন্দিত্বগ্রহণ সব ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে। কিন্তু রবিনসন স্ট্রিটের কঙ্কাল রহস্যের সমাধান করেছে পুলিশ এমনটি বলা হচ্ছে। রহস্যের মূল চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে পার্থ-দেবযানীর কৈশোরে। ১৯৮৯ অবসরের পর বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন অরবিন্দ দে ও তার পরিবার। কিন্তু রবিনসন স্ট্রিটের বাড়িতে ঢুকতে পারেননি তারা। গোটা বাড়িতেই ভাড়াটে বসিয়ে রেখেছিলেন অরবিন্দের ভাই অরুণ দে। সল্টলেকের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতে হয় তাদের। কৈশোর বয়সের এই ঘটনা মারাত্মক প্রভাব ফেলে দুই ভাইবোনের মনে। কাকা ও তার সঙ্গে থাকা ঠাকুমাকে ঘৃণা করতে শুরু করে তারা। ৯২-তে প্রথমে বাড়ির গ্রাউন্ড ফ্লোরে ঢুকতে পারে অরবিন্দ দে-র পরিবার। ৯৫ সালে দেবযানী মিউজিক স্কুল খুলতে চাইলেও কাকার আপত্তিতে তা সম্ভব হয়নি। সবমিলিয়ে কাকা ও ঠাকুমার প্রতি ঘৃণা চরমে পৌঁছায় দুজনের। ২০১৩-তে ঠাকুমার মৃত্যুর পর বাবা ও কাকার মধ্যে সম্পর্ক ভালো হতে শুরু করে। যা মেনে নিতে পারেননি পার্থ-দেবযানী। বাবার সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। দেবযানী মারা যাওয়ার পরও যে কারণে বাবাকে জানাননি পার্থ।