শনিবার, ৮ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

বিজ্ঞানের নতুন ইতিহাস

বিজ্ঞানের নতুন ইতিহাস

সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে বিজ্ঞানে নতুন ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশি পদার্থবিজ্ঞানী জাহিদ হাসান। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নেতৃত্বে একদল গবেষক ৮৫ বছর পর আবিষ্কার করেছেন ভরহীন কণা ভাইল ফার্মিয়ন। ১৯২৯ সালে হারম্যান ভাইল নামক এক বিজ্ঞানী এমন একটি কণার অস্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন। এরপর পরীক্ষাগারে চলে ব্যাপক পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা। অবশেষে ৮৫ বছরের মাথায় বাংলাদেশি বিজ্ঞানী জাহিদ হাসানের নেতৃত্বে একদল পদার্থবিজ্ঞানীর নিরন্তর প্রচেষ্টায় সেই কণা বাস্তবে পরীক্ষাগারে শনাক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে বিজ্ঞান সাময়িকী 'সায়েন্স'-এর সাম্প্রতিক সংখ্যায়। এটা আবিষ্কারের পর কেবল তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞান পাল্টে যাবে না, বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে ইলেকট্রনিক ও কম্পিউটারের বাস্তব জগতে। জাহিদ হাসান বলেন, ভাইল ফার্মিয়নের অস্তিত্ব প্রমাণিত হওয়ায় দ্রুতগতির ও অধিকতর দক্ষ ইলেকট্রনিক্স যুগের সূচনা হবে। এই আবিষ্কার কাজে লাগিয়ে আরও কার্যকর নতুন প্রযুক্তির মোবাইল ফোন বাজারে এসে যাবে, যা ব্যবহারে তাপ সৃষ্টি হবে না। কারণ ভাইল ফার্মিয়ন কণার ভর নেই। এটি ইলেকট্রনের মতো পথ চলতে গিয়ে ছড়িয়ে পড়ে না। তৈরি হবে নতুন প্রযুক্তির কম্পিউটার ও বৈদ্যুতিক নানা সামগ্রী। জাহিদ হাসান ছোটবেলায় ঢাকার ধানমন্ডি গভ. বয়েজ স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। ঢাকা কলেজের প্রাক্তন এই ছাত্রের পিএইচডি স্টানফোর্ডে। এরপর শিক্ষকতা ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ায়। এখন প্রিন্সটনে গবেষণার পাশাপাশি শিক্ষকতা করছেন এই বাংলাদেশি পদার্থবিদ। এই পৃথিবী, যাবতীয় গ্রহ-নক্ষত্র, নদী-নালা, সমুদ্র, পর্বত, প্রাণিজগৎ, গাছপালা, মানুষ সব ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণার প্লি। মহাজগতের এসব বস্তুকণাকে বিজ্ঞানীরা দুটি ভাগে ভাগ করেন। একটি 'ফার্মিয়ন', অন্যটি 'বোসন', যা আবিষ্কার করেছিলেন আরেক বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু, তার নামেই 'বোসন' কণা। 'ফার্মিয়ন' কণার একটি উপদল হলো 'ভাইল ফার্মিয়ন'। ১৯২৯ সালে হারম্যান ভাইল নামের এক বিজ্ঞানী প্রথম জানিয়েছিলেন এ রকম একটা কণার অস্তিত্বের কথা। ৮৫ বছর পর বাংলাদেশি জাহিদ হাসান সেই কণাকে বাস্তবে পরীক্ষাগারে শনাক্ত করে দিয়েছেন। ১৯২৯ সাল থেকেই পদার্থবিজ্ঞানীরা চেষ্টা চালিয়ে গেছেন 'ভাইল ফার্মিয়ন'-এর অস্তিত্ব প্রমাণের। ৮৫ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর কল্যাণে সন্ধান মিলল সেই অধরা কণা ভাইল ফার্মিয়নের। জাহিদ হাসানের এ কৃতিত্বের ফলে বাংলাদেশিদের মেধা ও মনন আরও একবার আলোচনায় আসল বিশ্ব দরবারে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় আমরা যে এগিয়ে যাচ্ছি তা আবার প্রতীয়মান হলো।

 

 

সর্বশেষ খবর