গুপ্তধনের কথা উঠলেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে দুর্লভ রত্ন পাথর, সোনা, হীরা, নগদ অর্থমুদ্রার সম্ভার। মাটির নিচে, সমুদ্রতলে এই অমূল্য সম্পদগুলো লুকিয়ে রেখেছিল তার মালিক। সময়ের পরিক্রমায় আজ এগুলো উন্মুক্ত সম্পদ! গুপ্তধনের জন্য মরিয়া যারা তারাই ছোটে এর পেছনে। তাদের বলা হয় গুপ্তধন শিকারি। তাদের জন্য পৃথিবীর নানা প্রান্তে লোকচক্ষুর অন্তরালে রয়েছে গুপ্তধন। বহু গুপ্তধনের কথা মানুষ পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে জেনে এসেছে যা এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিছু কিছু গুপ্তধনের খোঁজ পেয়ে অনেকে আবার হেসেছেন তৃপ্তির হাসি। তবে গুপ্তধনের মোহ এমনই যা কখনই কাটে না। কৌতূহল থাকে আজীবন।
দুর্লভ সম্পদের পাহাড়
১ হাজার বছরের পুরনো
ইংল্যান্ডের বাকিংহামশায়ার এলাকার একটি খামারের মাটি খুঁড়তে গিয়ে পাওয়া যায় গুপ্তধন। গুপ্তধন শিকারি দল মাটির ২ ফুট নিচে প্রায় ১ হাজার বছরের পুরনো প্রচুর ধাতব মুদ্রা খুঁজে পায়। প্রাচীন এসব মুদ্রার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১৫ লাখ মার্কিন ডলার। একটি বালতির মধ্যে একসঙ্গে প্রায় ৫ হাজার মুদ্রা ছিল। এগুলোর মধ্যে ১১ শতকের রাজার ছবি সংবলিত মুদ্রাও ছিল।
ভারতের ১৭ টন রুপার গুপ্তধন
ভারতে ২০০ বছরের পুরনো পুরি মঠে ৮৫ কোটি রুপি মূল্যমানের ১৭ টন রুপার গুপ্তধন পাওয়া যায়। আশ্চর্যের বিষয় হলো, পুরির এ পরিত্যক্ত মঠের পাশ দিয়ে জগন্নাথ মন্দিরে হাজার হাজার লোক যাতায়াত করলেও কারও চোখেই পড়েনি মূল্যবান এ সম্পদ। ধেনকানালে বরুন বড়াল নামের এক ব্যক্তি প্রায় ৩৫ কেজি ওজনের একটি রুপার খণ্ড বিক্রি করার চেষ্টা চালালে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে পুলিশ তাকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে বরুন বড়াল জানায়, সে এ রুপার খণ্ড জগন্নাথ মন্দিরের ডান দিকে অবস্থিত ইমার মঠ থেকে চুরি করেছে। পরে পুলিশ তার এ তথ্যের ভিত্তিতে ২০০ বছরের পুরনো ইমার মঠে যায় তল্লাশি করতে। তারা এ মঠে ৩৫ থেকে ৪০ কেজি ওজনের ৫২২টি রুপার খণ্ড পায়। যার ওজন প্রায় ১৭ টন। বর্তমান বাজার দরে এ রুপার মূল্য ৮৫ কোটি রুপি। রুপার খণ্ডগুলো একটি তালাবদ্ধ কক্ষে চারটি কাঠের বাক্সে পাওয়া যায়।
সাগরতলে গুপ্তধন
৩০০ বছর আগে সোনা ও বহুমূল্য রত্নবোঝাই ডুবে যাওয়া স্পেনীয় রণতরির খোঁজ পায় কলম্বিয়া। আধুনিক মানব সভ্যতার ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় গুপ্তধনের সন্ধান। আজ থেকে ৩০০ বছর আগে ব্রিটিশদের আক্রমণে ডুবে যায় স্পেনের স্যান হোসে রণতরি। কলম্বিয়ার ক্যারিবিয়ান উপকূলে জাহাজটি ডুবেছিল ১৭০৮ সালের জুনে। স্পেনের মার্কিন ঔপনিবেশিকরা স্পেনের তৎকালীন স্পেনের রাজ পঞ্চম ফিলিপকে ওই রণতরিতে পাঠাচ্ছিলেন প্রচুর উপঢৌকন। সোনা, হীরা, নানাবিধ রত্ন, রুপাবোঝাই জাহাজ। কলম্বিয়ার ক্যারিবিয়ান উপকূলে ব্রিটিশদের আক্রমণে ডুবে স্যান হোসে। মাত্র ৬০০ জাহাজকর্মীকে উদ্ধার করা গেছে।
বাকিদের খোঁজ মেলেনি। এরপর থেকেই স্পেন ও কলম্বিয়া স্যান হোসের খোঁজ শুরু করা হয়।
কঙ্কাল সরাতেই গুপ্তধন
প্রায় সাড়ে ৩ হাজার বছরের পুরনো গুপ্তধনের খোঁজ মিলেছে গ্রিসে। দেশটির পেলোপনিসাস অঞ্চলের একটি প্রাচীন কফিনেই পাওয়া গেছে এ গুপ্তধন। প্রচুর হীরা, মুক্তা, হাতির দাঁতের কাজ করা গয়না, নানা বহুমূল্য রত্নে ঠাসা ছিল প্রাচীন কফিনটিতে। গ্রিসের পেলোপনিসাস অঞ্চলের মাটির তলায় বহু প্রাচীন সামগ্রীর খোঁজ আগেও মিলেছে বহুবার। একদল মার্কিন প্রত্নতাত্ত্বিক মাটি খুঁড়তে গিয়ে একটি শক্ত কিছু দেখতে পান। আরেকটু খুঁড়তেই বুঝতে পারেন, একটি প্রাচীন কফিন। ধারণা করা হয়, প্রাচীন গ্রিসের কোনো এক যোদ্ধার কবর এটি।
আটলান্টিকের গুপ্তধন
আটলান্টিকের তলদেশ থেকে ১৭১৫ সালের স্পেনের এক জাহাজ বহরের ভগ্নাবশেষ থেকে প্রায় ১ মিলিয়ন ডলার মূল্যমানের স্বর্ণমুদ্রা ও শিল্পকর্ম উদ্ধার করেছে স্মিথ পরিবার। প্রাপ্ত গুপ্তধনের মধ্যে ৫১টি স্বর্ণমুদ্রা ও ৪০ ফুট লম্বা স্বর্ণের তৈরি একটি চেইন রয়েছে।
ফ্লোরিডার উপকূলবর্তী শহর মিয়ামি থেকে ২১০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের ১৫ ফুট নিচে এ ভগ্নাবশেষের সন্ধান পাওয়া যায়। স্পেনের পুরনো নথিপত্র ঘেঁটে জানা যায়, জাহাজগুলো বর্তমানে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ পণ্য পরিবহন করছিল। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৭৫ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণের সম্পদ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
বাদশা সুলেমানের সোনার খনি
বাদশা সুলেমান। পবিত্র কোরআনের বর্ণনা মতে, তিনি ছিলেন একজন নবী এবং প্রতাপশালী বাদশা। হিব্রু বাইবেল অনুসারে, তিনি ছিলেন ইসরায়েলের প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ একজন রাজা। বাইবেলে রয়েছে সুলেমান বাদশার সোনার খনির কথা। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ বিভাগের বিশেষজ্ঞরা সাম্প্রতিক এক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বলেছেন, সেই সোনার খনি খুঁজে পাওয়া গেছে।
তাদের মতে, সৌদি আরবের দক্ষিণ অংশে মাহদ আদ দাহার বা সোনার সূতিকাগার নামে যে বিরাট সোনার খনিটি আছে সেটাই সুলেমান বাদশার সোনার খনি। মিথ বলে, বাদশা হিরাম ও বাদশা সুলেমান ওদির থেকে তাল তাল সোনা নিয়ে এসেছিলেন জেরুজালেমে। বাইবেলের বিবরণ অনুসারে সেই সোনার পরিমাণ হবে প্রায় ৩১ মেট্রিক টন অর্থাৎ সেকালে পৃথিবীতে যত সোনা ছিল তার অর্ধেক।
চীনের প্রাচীন মুদ্রা
চীনের উত্তরাঞ্চলে অভ্যন্তরীণ মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে চীনা প্রত্নতত্ত্ববিদরা প্রাচীন মুদ্রা পাওয়া যায়। যার মোট ওজন ৩.৫ টন। এ গুপ্তধন পাওয়া গেছে হোলোচাইদেনে (বর্তমানের ওর্দোস শহর) প্রাচীন দুর্গের জায়গায় খনন কাজের সময়। মুদ্রাগুলোর বেশির ভাগই ‘হোজইউয়ান’ ধরনের। চীনে যার প্রচলন ছিল হান বংশের রাজত্বকালে।
সেখানেই খনন করে খুঁজে পাওয়া গেছে শতাধিক ছাঁচ, যা মুদ্রা ঢালাইয়ের জন্য ব্যবহৃত হতো।
কোথা থেকে আসে গুপ্তধন
পৃথিবীতে দামি রত্নপাথরের খোঁজ প্রাচীনকাল থেকেই ছিল। যুগে যুগে মানুষ দামি রত্নসামগ্রী সংগ্রহ করেছে। মৃত্যুর আগে সেগুলো নিরাপদ জায়গায় সংরক্ষণের চেষ্টা করেছে। কেউ কেউ জীবদ্দশাতেই সম্পদ নিরাপদ রাখার জন্য লোকচক্ষুর অন্তরালে লুকিয়েছে। কিন্তু পৃথিবীতে এত দামি ও দুর্লভ রত্নপাথর এলো কোথা থেকে?
বিজ্ঞানীদের কাছে এ নিয়ে নানা মতভেদ রয়েছে। কেউ বলছিলেন, এই রত্ন নিয়ে এসেছিল বিশাল বিশাল গ্রহাণু। কোটি কোটি বছর আগে। এই গ্রহাণুগুলো পৃথিবীকে সজোরে ধাক্কা মেরে তাদের শরীর থেকে ঝরিয়ে দিয়ে গিয়েছিল এই রত্ন। আবার কেউ কেউ বলছিলেন, তা নিয়ে এসেছিল বড় বড় উল্কারা। এখন এটা মানা হয় যে, সব গুপ্তধন এসেছিল পৃথিবীর জন্মের (প্রায় ৪০০ কোটি বছর আগে) ২০ কোটি বছর পরে। ওই বড় বড় উল্কারা সজোরে ছুটে এসে ধাক্কা মেরেছিল পৃথিবীকে। ওই ধাক্কায় উল্কাগুলোর শরীর থেকে ঝরে পড়েছিল এই দুর্লভ সোনা, রত্ন, মণি। কলকাতার ‘ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স’-এর বিশিষ্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানী সন্দীপ চক্রবর্তী বলেছেন, ৪০০ কোটি বছর আগে যখন পৃথিবীর জন্ম হচ্ছে অগ্নিগর্ভ, জমাট বাঁধা ঘন গ্যাসের মেঘ থেকে তখন ওই প্রচণ্ড তাপে লোহা গলে যায়। তার তরল স্রোত চলে যায় পৃথিবীর একেবারে অন্দরে। যাকে বলে, ‘আর্থস কোর’। তারই সঙ্গে পৃথিবীর বুকে ঢুকে যায় প্রচুর পরিমাণে সোনা, প্লাটিনাম, টাংস্টেন, নানা রকমের রত্ন, মণি ও মানিক। এগুলোই গুপ্তধন। যুগে যুগে মানুষ খনি থেকে এগুলো সংগ্রহ করেছে। বিলাস জীবনের সঙ্গী করেছে।
গুপ্তধন খুঁজবেন?
আটলান্টিকের তলদেশ থেকে প্রায় ১ মিলিয়ন ডলার মূল্যমানের স্বর্ণমুদ্রা খুঁজে পায় স্মিথ পরিবার
গুপ্তধনের খোঁজে অনেকেই জীবন বাজি রাখেন। গুপ্তধন শিকারিদের কাছে এটি এক নেশা। রত্নপাথর সংগ্রহকারী মূলত গুপ্তধনের খোঁজে দেশ-বিদেশ ছুটে বেড়ান। পর্বত পাড়ি দেন, সমুদ্র জয় করেন। বিরূপ আবহাওয়া মাড়িয়ে তারা গহিন বন, পর্বত গভীর এমনকি সমুদ্রতল থেকে তুলে আনেন দুর্লভ রত্ন পাথর, বিভিন্ন সময়ের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এগুলোর অর্থ মূল্য অস্বাভাবিক রকম বেশি হয়ে থাকে। বিশ্বজুড়ে বহু স্থান রয়েছে যেখানে গুপ্তধন মিলতে পারে এমন সম্ভাবনা নিয়ে ছুটে যান গুপ্তধন শিকারির দল। তেমনই একটি জায়গা ক্যালিফোর্নিয়া। এখানে পাথরের নিচে মিলতে পারে দামি রত্নপাথর। ‘থান্ডার এগস’ খোঁজার জন্য গুপ্তধন শিকারিদের প্রথম পছন্দ মেক্সিকো। এখানকার মাটি স্ক্যানিং করে এই সম্ভাবনা আরও বেড়েছে। মেক্সিকোর রকওন্ড স্টেট পার্ক তো গুপ্তধন শিকারিদের কাছে বিলিয়ন ডলার ক্রেডিট কার্ডের চেয়েও লোভনীয়। ওরাগনের নেভাদা আর লেকভিউ অঞ্চলেও গুপ্তধনের খোঁজ চলে প্রায় সারা বছর। এই অঞ্চলের আশপাশের ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পদ মিলতে পারে সে আশায় ছুটছে গুপ্তধন শিকারির দল। নিউ মেক্সিকো আর কানসাসও গুপ্তধনের সম্ভাব্য প্রাপ্তিস্থান। এ অঞ্চলে এমন মিথ প্রচলিত যে, ভিনগ্রহীর দল আকাশ থেকে এখানে বিশেষ সময়ে গুপ্তধন ফেলে থাকে। শুধু সৌভাগ্যবান গুপ্তধন শিকারির চোখেই সেগুলো ধরা দেয়। উত্তর ক্যারোলিনাতেও অনেকে ছোটেন গুপ্তধনের খোঁজে। দক্ষিণ ডাকোটাও গুপ্তধন শিকারির পছন্দের জায়গা।
গুপ্তধন শিকারিদের প্রধান লক্ষ্য কাঁচা সোনা। কাঁচা সোনার খোঁজ পৃথিবীর অন্যতম দামি গুপ্তধনের সম্ভার হতে পারে।
আলেকজান্ডারের গুপ্তধন
প্রাচীন মেসিডোনিয়া ও গ্রিসের সম্রাট আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ায় অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি ৩২৩ খ্রিস্টপূর্বে প্রাচীন ব্যাবিলন তথা বর্তমান ইরাকে মারা যান। এবার ইসরায়েলে মিলেছে আলেকজান্ডারের গুপ্তধন। দেশটির উত্তরে গালিল অঞ্চলের একটি পর্বতের ফাটলে দুই হাজার ৩০০ বছর আগের আলেকজান্ডারের সময়কার প্রাচীন মুদ্রা এবং অলংকার খুঁজে পায় পর্বতারোহীরা। গুপ্তধনের মধ্যে আছে দুটি রৌপ্যমুদ্রা, কয়েকটি আংটি, চুড়ি, কানের দুলসহ কয়েকটি রুপার গয়না। এই অঞ্চলে এই প্রথম আলেকজান্ডারের সময়কালের কোনো নিদর্শন পাওয়া গেল। প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা, প্রাচীন কোনো যুদ্ধের সময় উদ্বাস্তুরা এই মুদ্রা ও অলংকার পাহাড়ে লুকিয়ে রেখেছিল। আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পর থেকে শুরু হওয়া অস্থিরতার সময় এই মূলব্যান সম্পদগুলো ওই এলাকার অধিবাসীরা ভালো সময়ের অপেক্ষায় লুকিয়ে রেখেছিলেন। এর আগে ভূমধ্যসাগরে ইসরায়েলের সীমানার মধ্যে প্রায় দুই হাজার প্রাচীন স্বর্ণমুদ্রা খুঁজে পেয়েছিলেন ডুবুরিরা। স্বর্ণমুদ্রাগুলো ফাতেমি খিলাফত আমলের (৯০৯-১১৭১ খ্রিস্টাব্দ)। ফাতেমি খলিফারা মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা শাসন করতেন। অর্থাৎ স্বর্ণমুদ্রাগুলো প্রায় এক হাজার বছরের পুরনো।
ভাগ্যবান দম্পতি
স্বর্ণশিকারিদের কাছে ক্যালিফোর্নিয়া সোনাররাজ্য বলে পরিচিত। সেই খ্যাতিটাই যেন কাজে লেগে গেল এই ভাগ্যবান দম্পতির। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার এক দম্পতি সেখানেই পেলেন গুপ্তধনের দেখা। ২০১৩ সালে পাওয়া ওই সোনার মুদ্রাগুলোর বর্তমান মূল্য আনুমানিক ১ কোটি মার্কিন ডলার। ১৮৪৭ থেকে ১৮৯৪ সালের মধ্যে তৈরি ১৪২৭টি সোনার মুদ্রা। ধারণা করা হয়, এই মুদ্রাগুলো কখনো ব্যবহৃত হয়নি এবং একদম নতুন অবস্থায় রয়েছে। অজ্ঞাতনামা ওই দম্পতি ২০১৩ সালের এপ্রিলে হাঁটতে গিয়ে একটি গাছের নিচে ধাবত পাত্রের ভিতর মুদ্রাগুলোর খোঁজ পান। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটি সম্ভবত মাটির নিচ থেকে পাওয়া সর্ববৃহৎ গুপ্তধন। স্বর্ণমুদ্রাগুলো ওই দম্পতি তাদের অধিকারে থাকা একটি জমিতে খুঁজে পান।
অমূল্য প্রাপ্তি
>> পৃথিবীর সবচেয়ে দামি গুপ্তধন ব্যাকট্রিয়ান গোল্ড। প্রাচীন মিসরে মৃত ফারাওদের শরীরে ও কবরে এই সোনা দিয়ে দেওয়া হতো। তিলিয়া তেপেতে এই দুর্লভ সোনার গুপ্তধনের খোঁজ মেলে।
>> ২০১৫ সালেই খোঁজ মেলে সিজারিয়া সুনকেন গুপ্তধনের। ইসরায়েলের সিজারিয়া ন্যাশনাল পার্কের কাছে এক শিশুর খেলনা পড়ে যায় সমুদ্রতীরে। সেই খেলনা উদ্ধার করতে গিয়ে ডুবুরির দল এই গুপ্তধনের খোঁজ পায়।
>> ১৯৮৫ সালের ঘটনা। পোল্যান্ডের একটি বাড়ি ভেঙে ফেলার সময় সে বাড়ির ভিত্তির নিচেই দেখা মেলে সোর্দা গুপ্তধনের। এর বর্তমান বাজার মূল্য ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার