বুধবার, ১৯ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

হুমায়ূন বচন...

হুমায়ূনের লেখনীর সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব ছিল চরিত্রগুলোর মুখ থেকে বের হওয়া অসাধারণ সব উক্তি। এই উক্তিগুলোয় অদ্ভুত সারল্যে উঠে এসেছে গভীর জীবনবোধ। চলুন এমনই কিছু উক্তিতে চোখ বুলানো যাক...

 

♦ যে জিনিস চোখের সামনে থাকে তাকে আমরা ভুলে যাই। যে ভালোবাসা সব সময় আমাদের ঘিরে রাখে তার কথা আমাদের মনে থাকে না... মনে থাকে হঠাৎ আসা ভালোবাসার কথা।

 

♦ পৃথিবীর সব মেয়েদের ভেতর অলৌকিক একটা ক্ষমতা থাকে। কোনো পুরুষ তার প্রেমে পড়লে মেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তা বুঝতে পারে। এই ক্ষমতা পুরুষদের নেই। তাদের কানের কাছে মুখ নিয়ে কোনো মেয়ে যদি বলে, ‘শোন আমার প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে। আমি মরে যাচ্ছি।’ তারপরেও পুরুষ মানুষ বোঝে না। সে ভাবে মেয়েটা বোধহয় এপেন্ডিসাইটিসের ব্যথায় মরে যাচ্ছে!

 

♦ মানব জাতির স্বভাব হচ্ছে সে সত্যের চেয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিরাপদ মনে করে...

 

♦ গভীর প্রেম মানুষকে পুতুল বানিয়ে দেয়। প্রেমিক  প্রেমিকার হাতের পুতুল হন কিংবা প্রেমিকা হয় প্রেমিকের পুতুল। দুজন এক সঙ্গে কখনো পুতুল হয় না। কে পুতুল হবে আর কে হবে সূত্রধর তা নির্ভর করে মানসিক ক্ষমতার ওপর। মানসিক ক্ষমতা যার বেশি তার হাতেই পুতুলের সুতা।

 

♦ জীবনে কখনো কাউকে

বিশ্বাস করতে যেও না। কারণ, যাকেই তুমি বিশ্বাস করবে সেই তোমাকে ঠকাবে। সবাই তোমাকে কষ্ট দিবে, তোমাকে শুধু এমন একজনকে খুঁজে নিতে হবে যার দেওয়া কষ্ট তুমি সহ্য করতে পারবে...

 

♦ জীবনটা আসলেই অনেক সুন্দর! এত বেশি সুন্দর যে, মাঝে মাঝে অসহ্য লাগে।

 

♦ মিথ্যা বলা মানে আত্মার ক্ষয়। জন্মের সময় মানুষ বিশাল এক আত্মা নিয়ে পৃথিবীতে আসে। মিথ্যা বলতে যখন শুরু করে তখন আত্মার ক্ষয় হতে থাকে। বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায়, আত্মার পুরোটাই ক্ষয় হয়ে গেছে।

 

♦ হারিয়ে যাওয়া মানুষ ফিরে আসলে সে আর আগের মতো থাকে না। কেমন জানি অচেনা অজানা হয়ে যায়। সবই হয়তো ঠিক থাকে- কিন্তু কী যেন নাই। কী যেন নাই..

♦ ভালোবাসাবাসির ব্যাপারটা হাততালির মতো। দুটা হাত লাগে। এক হাতে তালি বাজে না। অর্থাৎ একজনের ভালোবাসায় হয় না...

♦ মানুষ যখন মৃত্যুর দিকে এগোতে থাকে তখন সে ব্যাকুল হয়ে পেছনে তাকায়। আমার মনে হয় তাই হয়েছে। সারাক্ষণই শৈশবের কথা মনে পড়ে। কী অপূর্ব সময়ই না কাটিয়েছি!

 

♦ তুমি দশটি সত্য এর মাঝে একটি মিথ্যা মিশিয়ে দাও, সেই মিথ্যাটিও সত্য হয়ে যাবে। কিন্তু তুমি দশটি মিথ্যার মাঝে একটি সত্য মিশাও- সত্য সত্যই থেকে যাবে। সেটি আর মিথ্যা হবে না। সত্য আসলেই সুন্দর।

 

♦ গাধা এক ধরনের আদরের ডাক। অপরিচিত বা অর্ধ-পরিচিতদের গাধা বলা যাবে না। বললে মেরে তক্তা বানিয়ে দেবে। প্রিয় বন্ধুদেরই গাধা বলা যায়। এতে প্রিয় বন্ধুরা রাগ করে না বরং খুশি হয়।

 

♦ মিথ্যা বলা মানে আত্মার ক্ষয়।

জন্মের সময় মানুষ বিশাল এক আত্মা নিয়ে পৃথিবীতে আসে। মিথ্যা বলতে যখন শুরু করে তখন আত্মার ক্ষয় হতে থাকে। বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায়, আত্মার

পুরোটাই ক্ষয় হয়ে গেছে।

 

♦ আমাদের মধ্যে সম্মান

করা এবং অসম্মান করার দুটি প্রবণতাই প্রবলভাবে আছে। কাউকে পায়ের নিচে চেপে ধরতে আমাদের ভালো লাগে, আবার মাথায় নিয়ে নাচানাচি করতেও

ভালো লাগে।

 

♦ চাঁদের বিশালতা

মানুষের মাঝেও আছে, চাঁদ এক জীবনে বারবার ফিরে আসে...ঠিক তেমন মানুষ প্রিয় বা অপ্রিয় যেই হোক, একবার চলে গেলে আবার

ফিরে আসে..

 

♦ নারীদেরকে সৃষ্টিকর্তা পূর্ণতা দিয়েই পাঠিয়েছেন। শুধু পূর্ণতাই না অতিরিক্ত দিয়ে দিয়েছেন। তাই তো আমরা ‘অপূর্ণ পুরুষ’ পূর্ণ হতে এই নারীদেরই প্রয়োজন হয়।

 

♦ যে স্বপ্ন দেখতে জানে, সে তা পূর্ণও করতে পারে। আমরা মনে হয় স্বপ্ন দেখাই ভুলে গেছি...আর যেটুকুই বা দেখি তা নিজেরাই বিশ্বাস করতে চাই না...তাই পূর্ণও করতে পারি না।

 

♦ এ জগতে সবচে সুখী হচ্ছে সে, যে কিছুই জানে না। জগতের প্যাঁচ বেশি বুঝলেই জীবন জটিল হয়ে যায়।

 

♦ আমার হারিয়ে ফেলার কেউ নেই। কাজেই খুঁজে পাওয়ারও কেউ নেই। আমি মাঝে মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলি, আবার খুঁজে পাই...

 

সর্বশেষ খবর