মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

প্যারাডাইস পেপারস স্ক্যান্ডাল

র ণ ক ই ক রা ম

প্যারাডাইস পেপারস স্ক্যান্ডাল

বেশ কয়েক বছর আগে উইকিলিকসের তথ্য ফাঁস দুনিয়া কাঁপিয়ে দিয়েছিল। এরপর ২০১৬ সালে পানামা পেপারস বিস্ফোরণ ঘটে। সেই ধারাবাহিকতায় আবারও গোপন নথি প্রকাশের ঘটনা ঘটল। এবারের নথির নাম দেওয়া হয়েছে প্যারাডাইস পেপারস। নথি প্রকাশের পর সারা বিশ্বে রীতিমতো হৈচৈ পড়ে গেছে। এখানে ফাঁস হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর অনেক ব্যক্তির গোপন তথ্য। শতাধিক রাজনৈতিক নেতা ও হাইপ্রোফাইল মানুষের নাম রয়েছে এ তালিকায়। গোপন নথিতে উঠে এসেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মতো বাঘা বাঘা মানুষের গোপন তথ্য। আইসিআইজে, বিবিসি, গার্ডিয়ান ঘেঁটে রকমারির এ আয়োজন।

 

প্যারাডাইস পেপারস কী

প্যারাডাইস পেপারস বিশ্বের ২৫ হাজারেরও বেশি প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক লেনদেন ও মালিকানা-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যের এক বিশাল ডাটাবেজ। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক পৃথিবীর ১৮০টি দেশের ধনী, সুপরিচিত ও প্রভাবশালী ব্যক্তি। মূলত একটি ফার্মের এই নথিগুলো একসঙ্গে ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্যারাডাইস পেপারস’। নথিগুলো ওই ফার্মের ক্লায়েন্টদের গোপন বিনিয়োগ, অর্থ পাচারসহ কর ফাঁকির বিষয় প্রমাণ করে। বেশির ভাগ তথ্যই বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদের, যারা কর থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন ট্যাক্স হ্যাভেনে (কর দিতে হয় না কিংবা খুবই নিম্ন হারে কর দেওয়া যায় এমন দেশ) বিনিয়োগ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। তাই এই কেলেঙ্কারির নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্যারাডাইস পেপারস’।

প্যারাডাইস পেপারসে বলা হয়, করের হাত থেকে বাঁচতে দেশের বাইরের বিভিন্ন স্থানে অর্থ খাটিয়েছেন বিশ্বের ১৮০টি দেশের বিত্তশালীরা। কর দিতে হয় না বা নামমাত্র কর দিয়ে বিনিয়োগ করা যায় এমন স্থানগুলোই বেছে নিয়েছেন তারা। অনেকেই এসব লেনদেন করেছেন সবার চোখের আড়ালে। টাকা কামানোর জন্য এসব বিনিয়োগের সঙ্গে জড়িত চমকে দেওয়া কয়েকজনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। সামনে আরও নাম প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে। 

এসব নথি প্রথমে একটি জার্মান দৈনিকের হাতে আসে। পরে সেসব নথি ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টসের (আইসিআইজে) হাতে তুলে দেন তারা। এসব নথি পেয়েছে বিবিসি, গার্ডিয়ানসহ বিভিন্ন দেশের ১০০টি সংবাদমাধ্যম। ৫ নভেম্বর আইসিআইজে তাদের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

 ১ কোটি ৩৪ লাখ নথিপত্র নিয়ে তদন্ত করে খুঁজে বের করা হয়েছে কীভাবে শিল্পপতি ও রাজনীতিকরা বিদেশে টাকা সরিয়ে দেন। বিভিন্ন দ্বীপরাষ্ট্রে কোম্পানির জাল তৈরি করে কীভাবে কর ফাঁকি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, উঠে এসেছে সেসব নানা তথ্যও।

 

নথির উৎস এবং ফাঁসের ঘটনা

গত বছর ফাঁস হওয়া পানামা পেপারসের মতো এবারও এসব নথি প্রথমে আসে জার্মান দৈনিক সুইডয়চে সাইটংয়ের হাতে। পরে সেসব নথি ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টসের (আইসিআইজে) হাতে তুলে দেন তারা। ১ কোটি ৩৪ লাখ গোপন নথির এই ডাটাবেজে রয়েছে ১৪০০ গিগাবাইটেরও বেশি ডাটা। নথিগুলোর প্রায় ৬৮ লাখ এসেছে অফশোর আইনি সেবা সংস্থা অ্যাপলবাই এবং করপোরেট সেবা সংস্থা এস্টেরা থেকে। ২০১৬ সালে এস্টেরা আলাদা হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান দুটি একসঙ্গে অ্যাপলবাই নামে কর্মকাণ্ড চালাত। আরও ৬০ লাখ নথি ১৯টি আদালতের করপোরেট রেজিস্ট্রি থেকে বের করা হয়েছে। আদালতগুলোর বেশির ভাগই ক্যারিবীয় অঞ্চলের। বাকি অল্প কিছু নথি পাওয়া গেছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক আন্তর্জাতিক ট্রাস্ট এবং করপোরেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এশিয়া সিটি ট্রাস্ট থেকে। প্যারাডাইস পেপারসে ফাঁস করা নথিতে রয়েছে ১৯৫০ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত প্রায় ৭০ বছরের তথ্য।

আইনি সংস্থা অ্যাপলবাইয়ের সদর দফতর বারমুডায়। ১৮৯০-এর দশক থেকে বিশ্বব্যাপী কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। এই কোম্পানি বিদেশের বিচারব্যবস্থায় কম বা শূন্য কর হারে কাজ করতে তাদের গ্রাহকদের সাহায্য করে থাকে। তাই বর্তমানে এটি হয়ে উঠেছে অফশোর আইনি সেবাদানকারী বিশ্বের সবচেয়ে বড় দশ প্রতিষ্ঠানের একটি।

 

পানামা বনাম প্যারাডাইস

২০১৬ সালের এপ্রিলে কর ফাঁকির তথ্য ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন ফেলেছিল পানামা পেপারস। পানামা পেপারসের মতো এবারও প্যারাডাইস পেপারস নামে অর্থ কেলেঙ্কারির তথ্য ফাঁস করেছে একই জার্মান দৈনিক। দুই তথ্য ফাঁসের তুলনা করছেন? চলুন দেখে নেওয়া যাক প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে পানামা পেপারস বনাম প্যারাডাইস পেপারস—

পানামা পেপারসে ফাঁস হওয়া নথির সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৫ লাখ। এদিক দিয়ে প্যারাডাইস পেপারসের আকার বড়। কেননা এতে নথি আছে ১ কোটি ৩৪ লাখের বেশি। কিন্তু ডাটাবেজের আকারের হিসেবে প্যারাডাইস পেপারসের তুলনায় পানামা পেপারস অনেক বড়। প্যারাডাইস পেপারসের ডাটা ১৪০০ গিগাবাইট এবং পানামার ডাটা ২৬০০ গিগাবাইট।

প্যারাডাইসের তথ্য অনুসন্ধান ও ফাঁসের কাজে যুক্ত সাংবাদিকের সংখ্যা (৩৮১) পানামা পেপারসের (৩৭৬) চেয়ে বেশি। তবে মিডিয়া পার্টনার ও সংশ্লিষ্ট দেশের হিসেবে পানামা পেপারসের সঙ্গে যুক্ত ছিল ৭৬টি দেশের একশরও বেশি মিডিয়া পার্টনার। আর প্যারাডাইস পেপারসে আইসিআইজে এখন পর্যন্ত ৬৭টি দেশের ৯৬টি মিডিয়া পার্টনারকে যুক্ত করেছে।

 

সব তথ্য রাঘব বোয়ালদের

প্যারাডাইস পেপারসে ১৪ জন বর্তমান ও সাবেক রাষ্ট্রপ্রধানসহ বিশ্বের কমপক্ষে ৪৭টি দেশের ১২৭ জন রাজনীতিক এবং সরকারি কর্মকর্তার সম্পদ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের দলিল রয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার প্রকাশিত ওই নথিতে উঠে এসেছে ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ সব রাঘব-বোয়ালের নাম।

এ নামগুলো ছাড়াও আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মরিসিও ম্যাকরি, আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিগমুন্ড গানলেগসন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট ও আবুধাবির আমির খলিফা জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো প্রসেনকো, ব্রাজিলের কৃষিমন্ত্রী বেলাইরো বোরগেস ম্যাগি, উগান্ডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্যাম কাহাম্বা কুতেসা, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক চ্যান্সেলর আলফ্রেড গুসেনবাউয়ার, কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী পল মার্টিন, ব্রায়ান মুলরোনে, জন ক্রেটিয়েন, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজ, কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস, লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট এলেন জনসন সারলেফ, জর্ডানের রানী নুর আল-হুসেইন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন, বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার লুইস রস জুনিয়র, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের শ্যালক ডেং জিয়াগুই, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘনিষ্ঠ তিন বন্ধু আরকাদি রটেনবার্গ, বরিস রটেনবার্গ ও সার্গেই রলডুজিন, ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাবা ইয়েন ক্যামেরন, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফ বিন আবদুল আজিজসহ শতাধিক ব্যক্তির নাম।

 

রানী এলিজাবেথের বিদেশে বিনিয়োগের তথ্য

কর ফাঁকি দিতে বিদেশে বিনিয়োগের অভিযোগ উঠেছে ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের বিরুদ্ধে। বার্তা সংস্থা এপির খবরে জানানো হয়, ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব জার্নালিস্টসের হাতে যেসব তথ্য এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ কেম্যান আইল্যান্ড ও বারমুডায় ১০ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করেছেন। ২০০৪ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে অর্থসংক্রান্ত রানীর ব্যক্তিগত ম্যানেজার ডাচি অব ল্যাংকেস্টারে এই অর্থ বিনিয়োগ করেন। ব্রাইট হাউস নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানেও তার বিনিয়োগের তথ্য রয়েছে।

ডাচি অব ল্যাংকেস্টারের কাছে ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রচুর সম্পদ গচ্ছিত রয়েছে। রানীর জন্য সম্পদ বৃদ্ধি করা তার দায়িত্ব। এক বিবৃতিতে তারা ব্রিটেনের বাইরে বিনিয়োগের কথা স্বীকার করেছেন। তবে তাদের দাবি, আইন মেনেই বিনিয়োগ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা বিনিয়োগ নিয়ে অনেক কাজ করি। এর মধ্যে দেশের বাইরেও কিছু বিনিয়োগ রয়েছে। আমাদের সব বিনিয়োগ নিরীক্ষিত ও আইনসম্মত।’ ব্রিটেনে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রচুর সম্পদ রয়েছে। এসব থেকে যা আয় হয় তার জন্য কর পরিশোধ করা হয়। রানীর যেসব সম্পদ তার মধ্যে রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ি, মূল্যবান চিত্রকর্ম ও গয়না। আইনগতভাবে টেমস নদীর প্রচুর রাজহাঁসেরও মালিক রানী নিজে। নতুন করে তৈরি হওয়া এই বিতর্ক থেকে ব্রিটেনের রাজতন্ত্র বিলোপ করে পুরোপুরি প্রজাতন্ত্র ঘোষণার পক্ষে ফের জোর দাবি উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

প্রশ্নবিদ্ধ ট্রুডো

প্যারাডাইস পেপারসে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও। তার নির্বাচনে আর্থিকভাবে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন স্টেফান ব্রনফম্যান। নির্বাচনের সময় মাত্র দুই ঘণ্টায় ট্রুডোকে আড়াই লাখ ডলার তহবিল এনে দিয়েছিলেন ব্রনফম্যান। গোপন নথিতে দেখা যাচ্ছে, সেই ব্রনফম্যান ও তার প্রতিষ্ঠান কেম্যান আইল্যান্ডে প্রায় ছয় কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছেন। অথচ ট্রুডো বার বারই ‘অফশোর’ বিনিয়োগের বিপক্ষে নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন। অনেকের দাবি, ব্রনফম্যানের নামের আড়ালে এই বিনিয়োগ স্বয়ং ট্রুডোর নয়তো? না হলেও কিন্তু দায় এড়াতে পারবেন না জাস্টিন।

 

ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাশিয়া কানেকশন ফের আলোচনায়

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সঙ্গে গোপন যোগসাজশের অভিযোগ উঠেছিল। এবার সেই অভিযোগকে আরও বেগবান করে তুলল প্যারাডাইস পেপারস।

কথিত আছে নব্বইয়ের দশকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছিলেন উইলবার রস। এর প্রতিদান হিসেবেই নাকি তাকে বাণিজ্য সচিবের দায়িত্ব দেন ট্রাম্প। এই নিয়োগ নিয়েও অনেক বিতর্ক হয়েছে। ফাঁস হওয়া গোপন নথিতে দেখা গেছে, রস এমন এক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত, যারা রাশিয়ান সংস্থাকে তেল ও গ্যাস শিপিং করে। এর মাধ্যমে এক বছরেই উইলবার রস মিলিয়ন ডলার আয় করেন। তবে কথা হচ্ছে, যে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে উইলবার রস জড়িত, তার অংশীদার ভ্লাদিমির পুতিনের জামাই এবং আরও দুজন ব্যক্তি। এরা প্রত্যেকেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত। শুধু রস নন, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা গ্যারি কন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন ও অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানচিনও অন্য দেশে বিনিয়োগের সঙ্গে জড়িত বলে জানা যায় গোপন নথিতে। শুধু তাই নয়, এসব নথিতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। ১ কোটি ৩৪ লাখ নথির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নথি ৩১ হাজার ১৮০টি। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, এখনো অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানের কর ফাঁকি ও গোপন বিনিয়োগের তথ্য ফাঁস হওয়া বাকি রয়েছে। দ্রুতই হয়তো সব সামনে চলে আসবে।

 

৭১৪ ভারতীয়

আর্থিক কেলেঙ্কারির নতুন নথিতে উঠে এসেছে ৭১৪ ভারতীয়র নাম। পানামা পেপারস ফাঁসের ১৮ মাস পরই নতুন করে এই আর্থিক কেলেঙ্কারির তথ্য ফাঁস হলো। সম্পদ গোপন রেখে কর ফাঁকি দেওয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা ১৮০ দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ১৯। ভারতীয় একটি কোম্পানি বিশ্বব্যাপী অ্যাপলবাইর মক্কেলদের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। ইন্ডিয়া টুডের খবর অনুযায়ী, ভারতের মোট ৭১৪ জনের নাম রয়েছে এই প্যারাডাইস পেপারসে। গণমাধ্যমে প্রকাশ করা তালিকায় রয়েছেন বলিউড মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন, বলিউড তারকা সঞ্জয় দত্তের স্ত্রী মান্যতা দত্ত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়ন্ত সিং, করপোরেট লবিস্ট নিরা রাডিয়া ও ফোর্টিস এসকোটস হার্ট ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান অশোক শেঠসহ বেশ কিছু সেলিব্রেটি ও নেতা-মন্ত্রীর নাম।

 

সর্বশেষ খবর