বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিশ্বের ব্যয়বহুল প্রকল্প

তানিয়া তুষ্টি

বিশ্বের ব্যয়বহুল প্রকল্প

বিশ্বের বৈপ্লবিক পরিবর্তনের ফল হলো বর্তমান সময়ের উন্নয়ন ও অগ্রগতি। সেখানে মিলিত হয়েছে মানুষের মস্তিষ্কের ক্ষমতা এবং পার্থিব সম্পদের উৎস। পৃথিবীর বুকে আজ মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে ব্যয়বহুল সব প্রকল্প। একেকটি প্রকল্পের জন্য আকাশছোঁয়া ব্যয়ভার শুনে হয়তো অনেকের চোখ চড়কগাছও হতে পারে। সর্বোচ্চ ব্যয়ের এমন কিছু প্রকল্প নিয়ে আজকের রকমারি।

 

ইউএস ইন্টারস্টেট হাইওয়ে সিস্টেম

(৪৫৯ বিলিয়ন ডলার)

শিল্পায়ন ও নগরায়ণের যুগে ব্যয়বহুল স্থাপনা সময়ের দাবি। এক্ষেত্রে আপনার জানার আগ্রহ জন্মাতে পারে পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল নির্মাণ প্রকল্প সম্পর্কে। সে হিসেবে প্রথমেই আসবে ‘দ্য ইউএস ইন্টারস্টেট হাইওয়ে সিস্টেম’-এর কথা। আমেরিকার জরুরি মুহূর্তে সহায়তাকারী রাস্তা হিসেবেই এটি নির্মিত হয়। রাস্তাটি কখনই সাধারণ পরিবহন চলাচলের উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়নি। আমেরিকান এই প্রকল্পটি দাঁড় করাতে খরচ হয়েছে ৪৫৯ বিলিয়ন ডলার। মানব ইতিহাসে থাকা নির্মাণ ব্যয়ের যত রেকর্ড আছে তার মধ্যে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প। রাষ্ট্রপতি ডুয়াইট ডি আইজেন হাওয়ার প্রকল্পের উদ্যোগ নেন। তার উদ্দেশ্য ছিল, দেশের জরুরি অবস্থা জারি হলে যেন পদাতিক বাহিনীকে রাস্তাটি সহায়তা করতে পারে। তিনি জাতীয় প্রতিরক্ষার জন্য এই প্রকল্পকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। প্রকল্পটি যাত্রা শুরু করে ১৯৫৬ সালে। বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই প্রকল্পটি নতুন রুট তৈরি করে এবং পুরনো রুটগুলোকে আমেরিকান স্টেটগুলোর সঙ্গে আন্তসংযোগ বা ইন্টারলিঙ্কার হিসেবে কাজ করে। ১৯৭৪ সালে ইন্টারস্টেটের হাইওয়ে সিস্টেমের জন্য নেব্রাক্সা রাজ্যে প্রথম তার অভ্যন্তরীণ কাজগুলো শেষ করে। প্রকল্পটির শেষ কাজ হয় ১৯৯২ সালে কলারাডোতে কাজ করার মাধ্যমে। বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই প্রজেক্টটি আমেরিকাকে এর নির্মাণ ব্যয়ের চেয়ে অনেক বেশি ফিরিয়ে দিয়েছে। তবে হ্যারিকেন ক্যাটরিনা আঘাত হানার আগ পর্যন্ত তার কার্যকারিতা ছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগে রাস্তাটি কিছুটা জৌলুস হারিয়েছে।

 

ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন

(১৫০ বিলিয়ন ডলার)

বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যয়বহুল প্রকল্প হিসেবে খরচের খাতা খুলেছে দ্য ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন প্রকল্প। স্টেশনটি প্রতি সেকেন্ড পাঁচ মাইল বেগে ছুটছে। পৃথিবীর চারদিকে একবার ঘুরতে স্টেশনটি সময় নেয় ৯০ মিনিট। পৃথিবী থেকে এটি চারশো কিলোমিটার উপরে অবস্থিত। শুরুতে এই স্পেস স্টেশনের মাত্র তিনটি অংশ ছিল। সেখানে কোনো রকমে দুজন নভোচারী ঠাসাঠাসি করে বসতে পারতেন। পরে যোগ হয়েছে আরও ১২টি অংশ, গবেষণায় গিয়েছেন বহু দেশের নভোচারী। এটি একটি বহুজাতিক প্রকল্প হিসেবেই পরিচিত। মডুলার কক্ষপথ গবেষণা কেন্দ্রটি আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন হিসেবেও পরিচিত। এটি তৈরি করতে আনুমানিক ১৫০ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হয়েছে। স্টেশনটি নির্মাণে অংশীদারিত্ব রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, রাশিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জাপান, বেলজিয়াম, ইতালি, ডেনমার্ক, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড এবং সুইডেন। এই স্টেশনের ভবিষ্যৎ ভাগ্য শুনে যে কেউ হতাশ হবেন। তবে বাস্তব সত্য হলো— হিসাব অনুযায়ী ২০২০ সালে স্টেশনটি সাগরের মাঝে ভেঙে পড়বে। এটি হবে তার সেবা দানের ২৬ বছর পরের ঘটনা। স্টেশনটি তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত প্রধান যন্ত্রপাতি ছিল স্পেস শাটল এবং রাশিয়ান রকেট। এখানে ব্যবহৃত সব মডিউল পৃথিবী থেকে তৈরি করা হয়। তারপর মহাকাশের নির্ধারিত স্থানে একত্রিত করা হয়।

 

ক্যাসাগান ফিল্ড

(১১৬ বিলিয়ন ডলার)

পৃথিবীর তৃতীয় ব্যয়বহুল প্রকল্প হলো ক্যাসাগান তেল ক্ষেত্র। এটি কাজাখস্তান জোনের কাস্পিয়ান সাগরের তীরে অবস্থিত। ২০০০ সালে কাস্পিয়ান সাগরের উত্তরাংশে অবস্থিত ক্ষেত্রটি আবিষ্কার হয়। বিবেচনা করা হয় গত ৪০ বছরে আবিষ্কৃত যে কোনো তেল ক্ষেত্রের চেয়ে এটি বড়। ধারণা করা যায় ক্যাসাগান ফিল্ডে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের বৃহৎ ভাণ্ডার রয়েছে। তাই অপরিশোধিত তেল উত্তোলনে প্রয়োজন পড়ে। সেজন্য একটি বহুজাতিক  প্রকল্পের অধীনে এর কাজ শুরু হয়। ক্ষেত্রটির শুধু ফিক্সিং ব্যয় হয়েছে ১১৬ বিলিয়ন ডলার। এই প্রকল্পের আওতায় আছে শেল, এক্সন মোবিল, চীন জাতীয় পেট্রোলিয়াম করপোরেশন, ইনপেক্স কাজমুনিয়া গ্যাস, আজিপ কেসিও এবং শেল উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান। মূলত এটি কাস্পিয়ান সাগরে চালু করা একটি তেল নিষ্কাশন প্রকল্প হিসেবেই পরিচিত। কাজাখস্তান থেকে চীনে তেল সরবরাহের মূল উৎসও এটি। ২০১৮ সালের পর এটি প্রতিদিন ৯০ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। শীতে এখানে হিমাঙ্কের নিচে ৩৫-৪০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বিরাজ করে। ফলে বরফে পরিণত হওয়া অত্যন্ত গভীর সাগরের পানিতে উপস্থিতি ঘটে উচ্চ স্তরের হাইড্রোজেন সালফাইডের। এই প্রতিকূল অবস্থায় তেল উত্তোলন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।

 

কিং আবদুল্লাহ ইকোনমিক সিটি

(৮৬ বিলিয়ন)

ব্যয়বহুল প্রকল্পের তালিকায় চার নম্বর অবস্থানে আছে কিং আবদুল্লাহ ইকোনমিক সিটি প্রকল্প। এই সিটির মোট আয়তন ৬৬.৮ বর্গ মাইল। লোহিত সাগরের তীরে গড়ে ওঠা প্রকল্পের দূরত্ব হবে জেদ্দা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার। এখন পর্যন্ত প্রকল্পটি নির্মাণাধীন। নির্মাণ শেষে এর ব্যয়মূল্য দাঁড়াবে ৮৬ বিলিয়ন ডলার। মক্কা থেকে কিং আবদুল্লাহ ইকোনমিক সিটির দূরত্ব হবে মাত্র এক ঘণ্টার পথ। সৌদি আরবের মতো জায়গায় এমন একটি প্রকল্পের আত্মপ্রকাশ মানেই বৈদেশিক পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণে কার্যকরী ভূমিকা রাখা। মূলত এটি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে তৈরি করা হচ্ছে। এই সিটিতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে বিনোদনকেন্দ্র, উচ্চ মানের হোটেল, জাঁকজমক ভিলা, তাৎপর্যমণ্ডিত বিশ্ববিদ্যালয়, কেন্দ্রীয় ব্যবসায়িক হাব এবং একটি বৃহৎ বিমানবন্দর। এখানে যারা বসবাস করবেন তাদের জন্য আছে কেনাকাটা, নামাজ, ও বিনোদনের সুব্যবস্থা। শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নত পরিবেশে গবেষণার সুযোগ থাকবে। প্রকল্পের আওতায় সমুদ্র তীরে গড়ে উঠবে ১২০টি হোটেল। কিং আবদুল্লাহ ইকোনমিক সিটি প্রকল্পটি নির্মাণ করছে আন্তর্জাতিক রিয়েল এস্টেট গ্রুপ এমার প্রোপার্টিজ। তারা বিশ্বের উচ্চতম ভবন বুর্জ আল খলিফা, দুবাইয়ের নির্মাণ কোম্পানি। কিং আবদুল্লাহ ইকোনমিক সিটিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সরবরাহ করবে বিশ্বখ্যাত অন্য একটি কোম্পানি এরিকসন।

 

কানসাই ইন্টারন্যাশনাল

এয়ারপোর্ট (২৯ বিলিয়ন)

জাপানের কানসাই শহরের সমুদ্রের বুকে একটি কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে গড়ে তোলা হয়েছে বিস্ময়কর কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটি বিশ্বের অষ্টম ব্যয়বহুল প্রকল্প। শুধু ভবন নির্মাণে ব্যয় করছে ২৯ বিলিয়ন ডলার। কৃত্রিম দ্বীপের ওপর গড়ে উঠায় এখানে ভূমিকম্প ও সামুদ্রিক ঢেউয়ের আঘাত সাধারণ ভূমির তুলনায় অর্ধেক ক্ষতি করতে সক্ষম। বিমানবন্দরটি পানির মধ্যে নির্মাণের অন্যতম কারণ হলো প্রাকৃতিক দূষণ এড়ানো। বিমানবন্দরটি নির্মাণে এমন ধাতু এবং যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়েছে যাতে সেগুলো পানিতে ডুবে যাওয়া রোধ করতে পারে। বিশাল আকৃতির এই বিমানবন্দরটি যেমন পরিবেশবান্ধব তেমনি সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ কারণে ২০১২ সালে বিমানবন্দরটিতে দ্বিতীয় টার্মিনাল যুক্ত করা হয়।

 

চ্যানেল টানেল

(২২.৪ বিলিয়ন)

সাগরের তলদেশ দিয়ে বিস্তৃত দীর্ঘ ৫০.৫ কিলোমিটার পাতাল রেল সুড়ঙ্গের নাম চ্যানেল টানেলে। এটি যুক্তরাজ্যের ফোকস্টোনকে ফ্রান্সের কোকুয়েলসকে সংযুক্ত করেছে। এর স্প্যান বসানো হয়েছে ইংল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূল এবং ফ্রান্সের উত্তর উপকূল বরাবর। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক যোগাযোগ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এটি তৈরি করা হয়। বিশ্বের ব্যয়বহুল প্রকল্প তালিকায় দ্য চ্যানেল টানেল প্রকল্প আছে ১০ নম্বরে। এই প্রকল্প নির্মাণে ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের ১৫টি কোম্পানির ২২.৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে। চ্যানেলটির পরিচালনা ভার রয়েছে আর্থিক গ্রুপ ইউরোটানেলের ওপর। নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা এবং আবহাওয়াজনিত কারণে পূর্ব নির্ধারিত ব্যয়ে পরিবর্তন এনে আরও বাড়ানো হয়। ১৯৮৮ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ১৯৯৪ সালে ফাংশনাল কাজ শেষ করে।

 

বিগ ডিগ

(২৩.১ বিলিয়ন ডলার)

বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল নির্মাণ প্রকল্পের তালিকায় থাকা মার্কিন প্রকল্প দ্য বিগ ডিগ। খরচের হিসেবে এটি ৯ নম্বরে আছে। আনুমানিক ২৩.১ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পে বোস্টনের কয়েকটি প্রধান হাইওয়ে পুনর্বহালের পরিকল্পনা রয়েছে। আই-৯৩ রুট দিয়ে শহরের ঠিক মাঝ বরাবর যাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। যুগোপযোগী এই প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দশ বছর পরে শেষ হয়। এতে খরচ বেড়ে যায় ধারণার চেয়ে কয়েক মিলিয়ন ডলার বেশি। ব্যয়বহুল প্রজেক্ট হিসেবে এর অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক সমস্যাগুলো ছিল নাড়া দেওয়ার মতো।

 

সংডো ইন্টারন্যাশনাল

বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট (৪০ বিলিয়ন)

সর্বাধিক খরচের দিক থেকে সংডো তালিকার ৬ নম্বরে অবস্থান করছে। ইনচিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে গড়ে ওঠা ৪০ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পটির উদ্যোক্তা দক্ষিণ কোরিয়া। তারা সিউলের সমুদ্র থেকে উদ্ধারকৃত জমিতে এই প্রকল্পটি নির্মাণ করেছে। নির্মাণ শেষে বিশ্বের মধ্যে এটিই হবে একমাত্র স্মার্ট সিটি। ব্যবহার করা হবে সর্বোচ্চ প্রযুক্তি। এ ছাড়াও এই মডেলটি উপস্থাপন করার জন্য কোরিয়া হবে পৃথিবীর প্রথম দেশ। অন্যান্য শহরের ল্যান্ডমার্ক হিসেবে কিছু মডেল এবং একটি কেন্দ্রীয় পার্ক থাকবে।

 

দুবাইল্যান্ড

(৭৬ বিলিয়ন ডলার)

দুবাইল্যান্ড হলো বিশ্বের পঞ্চম ব্যয়বহুল প্রকল্প। এটি আরবীয় লোকাচার বিশেষ এক হাজার এক রাত্রির গল্পের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৬ বিলিয়ন ডলার। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে এটি বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিনোদন সুবিধাসম্পন্ন কেন্দ্রে পরিণত হবে। একটি ডিজনি থিম পার্ক, আইম্যাক্স থিয়েটার এবং অন্যান্য অনেক আকর্ষণ রয়েছে প্রকল্পের পরিকল্পনায়। প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য ব্যবসা ও দুবাইয়ের বড় ধরনের একটি আকর্ষণীয় কেন্দ্রের মালিক হওয়া।

 

ক্যালিফোর্নিয়া হাইস্পিড রেল

(৩৩ বিলিয়ন ডলার)

ব্যয়বহুল প্রকল্পের সপ্তম স্থানে আছে ক্যালিফোর্নিয়া হাইস্পিড রেল। এর মূল্যব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ বিলিয়ন ডলার। প্রকল্পের একটি পর্যায়ের কাজ শেষ হবে ২০২৯ সালে। এরই মধ্যে প্রকল্পটি মূল বাজেট অতিক্রম করেছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো, আমেরিকার বড় শহরগুলোর সঙ্গে হাইস্পিড রেলের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করা। ওবামার সরকারের একটি বড় ধরনের উদ্যোগ ছিল এটি। মার্সেড থেকে বাকেরসফিল্ড, সান ফ্রান্সিসকো থেকে লস এঞ্জেলেসকে যুক্ত করবে এই রেল। সংযোগ ঘটানো রেলটির ঘণ্টায় গতি থাকবে ২২০ মাইল।

সর্বশেষ খবর