রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
বিবিসির চোখে

জীবনে একবার হলেও যে বই পড়া উচিত

সাইফ ইমন

জীবনে একবার হলেও যে বই পড়া উচিত

লেখকরা বলেন, একজন মানুষকে সবকিছু থেকে দূরে সরে যেতে বা পালাতে সাহায্য করে গল্প, উপন্যাস বা সাহিত্য। ইংরেজি ভাষায় যাকে বলা হয় ‘এস্কেপিজম’। এ পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অন্য যে কোনো শিল্পের চেয়ে সাহিত্যের ক্ষেত্রে তীব্র ও শক্তিশালী...

 

হারম্যান মেলভিলের ‘মোবি-ডিক (দ্য হোয়েল)’

হোয়েলিং শিপ ‘পিকোড’-এর ক্যাপ্টেন আহাব বিশালাকার হোয়াইট সাদা তিমির বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন...

 

হারম্যান মেলভিলের ৭২০ পৃষ্ঠার বই ‘মোবি-ডিক (দ্য হোয়েল)’। তালিকায় বইটির অবস্থান সবার শীর্ষে। কী আছে এ বইতে নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছা করছে! আমেরিকান লেখক হারম্যান মেলভিলের ১৮৫১ সালের উপন্যাস এটি। বইটি ইবনে ইসরাঈলের কাহিনিতে বর্ণিত হয়েছে। বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র আহাব। হোয়েলিং শিপ ‘পিকোড’-এর ক্যাপ্টেন।

উপন্যাসটিতে ভিলেন কোনো মানুষ নয়, একটি বিশালাকার হোয়াইট সাদা তিমি। এই তিমি ক্যাপ্টেন আহাবকে আক্রমণ করে হাঁটুর নিচ থেকে পায়ের অংশ নিয়ে যায়। ফলে তিমির বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। ৭২০ পৃষ্ঠার এ বইটি আমেরিকান লেখক মেলভিলের এক অনবদ্য সৃষ্টি। ক্যাপ্টেন আহাব পাগলের মতো সাগরে সেই তিমির অনুসন্ধান করে চলেন। উপন্যাসটি বর্ণিত হয়েছে ইসমায়েল নামের এক নাবিকের বয়ানে। এ সাহিত্যে অন্যতম জনপ্রিয় লাইনটি হলো : ‘আমাকে ইসমায়েল বলে ডাকুন।’ বইটি অদ্ভুত, পান্ডিত্যপূর্ণ, মজার, গভীর অর্থবহ এবং আমেরিকার অন্যতম জনপ্রিয় উপন্যাস হিসেবে বিবেচিত।  বড় কোনো শত্রুর মোকাবিলায় কীভাবে ধীরস্থির থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হয় তা এ বইটি পড়লে সহজেই বোঝা যায়।

 

জর্জ এলিয়টের অনবদ্য বই ‘মিডলমার্চ’

ইংরেজি ফিকশন লেখাগুলোর মধ্যে জর্জ এলিয়টের ‘মিডলমার্চ’ অনবদ্য। এটির অসম্ভব জনপ্রিয়তার পেছনে রয়েছে এর ধরন। ১৮৭৪ সালে এটির প্রথম অংশ সম্পূর্ণ প্রকাশ হয়েছিল এবং তারপরই ব্যাপকভাবে পাঠকপ্রিয়তা পায় বইটি। ইলিয়টের সপ্তম উপন্যাস হিসেবে এটি বেশ ঘটনাবহুল একটি উপন্যাস। এ উপন্যাসের গল্পের আড়াল থেকেও সমাজকে কটাক্ষ করে তার ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরিয়ে দেওয়ার অসামান্য গুণের জন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বইগুলোর মধ্যে আজও বিশেষভাবে বিবেচিত হয় মিডলমার্চ।

উপন্যাসের পরতে পরতে যেমন গুরুগম্ভীর ভাব রয়েছে, তেমনি হাস্যরসের ছোট ছোট উপাদানও পাঠকদের দারুণভাবে আকর্ষণ করে। মিস্টার ব্রুক, মিস নোবেল এ চরিত্রগুলোর কথা নিশ্চয় কেউ ভুলবে না কোনো দিন।

বিখ্যাত ভার্জিনিয়া উলফ বলেছিলেন, মিডলমার্চ উপন্যাসটি কয়েকটি ইংরেজি সেরা উপন্যাসের মধ্যে একটি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য লেখা।  এ বইটি এলিয়টের মাস্টারপিস হিসেবে বিবেচিত।

 

 

চার্লস ডিকেন্সের ‘ব্লিক হাউস’

১৮১২ সালে জন্মগ্রহণ করেন ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক চার্লস ডিকেন্স। চার্লস ডিকেন্সের ‘ব্লিক হাউস’ বইটি তাঁকে এনে দিয়েছে বিশ্বব্যাপী মর্যাদা। ৯২৮ পৃষ্ঠার ‘ব্লিক হাউস’ বইটি জার্নডাইস পরিবারের গল্পকে ঘিরে লেখা হয়েছে।

যাদের জীবনের লক্ষ্য থাকে  উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পদ পাওয়া। এভাবেই কাহিনি এগিয়ে যায়। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন বারবার ব্যর্থতার মুখে পড়ে। কারণ জার্নডাইস অ্যান্ড জার্নডাইস মামলাটি দীর্ঘকাল ধরে আইনি মারপ্যাঁচের মধ্যে চলতে থাকে। এমনকি মামলাটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে চলতে থাকে। পরবর্তীতে অবস্থা এমন হয় যে, মামলাটির বিষয়বস্তু এখন বেঁচে থাকা উত্তরাধিকারদের কেউ কিছু বুঝতে পারে না।

ডিকেন্স এ বইটিতে আদালতে যে একটি মামলা কয়েক দশক ধরে চলতে পারে তা দেখিয়েছেন।  উপন্যাসটিতে রয়েছে অসংখ্য চরিত্র এবং বেশ কয়েকটি পার্শ্ব কাহিনিও রয়েছে।

 

 

 

হানিয়া ইয়ানাগিহারার ‘অ্যা লিটল লাইফ’

বইটির কাহিনি চলমান হয়েছে জুডের গল্পের ওপর ভিত্তি করেই। উপন্যাসের চিত্রপট এগিয়ে যায় জুডের দুর্ভোগ ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয় ঘিরে...

চার বন্ধুর জীবনের গল্প নিয়ে হানিয়া ইয়ানাগিহারার অনবদ্য উপন্যাস ‘আ লিটল লাইফ’। ৭৩৬ পৃষ্ঠার এ বইটি ম্যান বুকার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল। তবে সে বছর ‘এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব সেভেন কিলিংস’ উপন্যাসের জন্য ম্যান বুকার পুরস্কার পান জ্যামাইকার লেখক মারলন জেমস। শুরুতেই বলেছি আ লিটল লাইফ উপন্যাসটি গড়ে উঠেছে চার বন্ধুর জীবনের গল্পকে ঘিরে। কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করে চার বন্ধু অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে নিউইয়র্ক সিটিতে যায়। তারা হলো জেবি, উইলিয়াম, ম্যালকম ও জুড।

এ চার বন্ধু চার রকম চরিত্রের মানুষ। জেবি হলেন শিল্পী, উইলিয়াম একজন উচ্চাকাক্সক্ষী অভিনেতা, ম্যালকম একজন স্থপতি তবে জুড অন্যদের চেয়ে আলাদা, নিজেকে ক্ষতি করতে চাওয়া একজন আইনজীবী। জুডের রয়েছে একটি রহস্যময় অতীত। বইটির কাহিনি চলমান হয়েছে জুডের গল্পের ওপর ভিত্তি করেই। উপন্যাসের চিত্রপট যতই এগিয়ে যায় জুডের দুর্ভোগ ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি ততই প্রকাশ পেতে থাকে।  উপন্যাসটি মারাত্মক কষ্টের এবং মন খারাপ করে দেওয়ার মতো।

 

স্টিফেন কিংয়ের হরর ফ্যান্টাসি ‘দ্য স্ট্যান্ড’

স্টিফেন কিংকে বলা হয় হরর কাহিনির কিং।

নিয়মিত লেখালেখি শুরুর এক দশক পার হতে না হতেই ছোট ও বড় পর্দায় কিংয়ের কাহিনি রূপান্তরের হিড়িক পড়ে। ১৯৮০ সালের মে মাসে মুক্তি পায় তাঁর শাইনিং ছবিটি। ১৯৯৪ সালে তাঁর দ্য স্ট্যান্ড (১৯৭৮) অবলম্বনে আসে নতুন একটি মিনি সিরিজ। এটি খুবই জনপ্রিয় হয়। এ বইটি হলো একটি পোস্ট-অ্যাপোক্যালিপটিক হরর-ফ্যান্টাসি ঘরানার বই।

যেখানে বায়োলজিক্যাল ওয়ারফেয়ার বা জৈব যুদ্ধের জন্য বিভিন্ন অসুখ-বিসুখের দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবাণু নিয়ে গবেষণা করার কথা বলা হয়। দুর্ঘটনাক্রমে সেই জীবাণুগুলো একদিন একটি সুরক্ষিত গবেষণাগার থেকে বের হয়ে যায়। ফলে সৃষ্ট মহামারীতে বিশ্বের ৯৯%-এরও বেশি মানুষ মারা যায়। বইটির একটি চমকপ্রদ দিক হচ্ছে এর দুটি বিকল্প সমাপ্তি রয়েছে। ১৯৭৮ সালে প্রথম প্রকাশিত ৮০০-পৃষ্ঠার মূল সংস্করণে সমাপ্তি ছিল এক রকম আবার ১৯৯১ সালের  সংস্করণে সমাপ্তি আরেক রকম।

 

 

 

মিগুয়েল ডি সার্ভান্তেসের ‘ডন কিয়োটে’

মিগুয়েল ডি সার্ভান্তেসের ‘ডন কিয়োটে’ ৯৭৬ পৃষ্ঠা উপন্যাস। মিগুয়েল ডি সার্ভান্তেসের লেখা অমর সাহিত্যকর্ম সপ্তদশ শতকে লেখা এ বইটি। একেই বলা হয় প্রথম আধুনিক উপন্যাস।

সে সঙ্গে স্পেনীয় ভাষায় রচিত সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ হিসেবে অভিহিত করা হয় ডন কিয়োটেকে। বইটি দুটি খন্ডে সমাপ্ত করা হয়েছে। প্রথম খন্ডে এ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র আলন্সো কিহানো (যদিও এই নাম বইয়ের শেষের দিকে দেওয়া হয়) হলেন একজন হিদাল্গো (নিম্ন স্পেনীয় অভিজাত সম্প্রদায়ের সদস্য)। তার বয়স ৫০ বছরের মতো।

তিনি লা মাঞ্চার একটি নামহীন স্থানে তার ভাইয়ের মেয়ে ও গৃহপরিচারিকা এবং একজন বালককে নিয়ে বাস করে। যদিও কিহানো যুক্তিবাদী মানুষ, তিনি খুতখুতে, গরম মেজাজি ও কম রসবোধের অধিকারী। প্রকাশের ১০ বছর পর দ্বিতীয় খন্ড প্রকাশিত হয়।  এই প্রভাবশালী সাহিত্যকে প্রায়শই প্রথম আধুনিক উপন্যাস হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

 

 

 

ফস্টার ওয়ালেসের ‘ইনফিনিট জেস্ট’

ডেভিড ফস্টার ওয়ালেস ছিলেন একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোট গল্প লেখক এবং ইংরেজির প্রভাষক। ফিকশন এবং নন-ফিকশন উভয় ধরনের লেখাতেই ফস্টার ওয়ালেস ছিলেন সিদ্ধহস্ত। তাঁর লেখা ইনফিনিট জেস্ট বইটি ইংরেজি ভাষার সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ১০০ বইয়ের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। 

‘ইনফিনিট জেস্ট’ ১০৭৯ পৃষ্ঠার বই।

ডেভিড ফস্টার ওয়ালেসের এ মহাকাব্যটি অদূর ভবিষ্যতের ডিস্টোপিয়াকে ঘিরে লেখা হয়েছে যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকো এই তিন দেশ উত্তর আমেরিকান জাতিগত সংস্থার অন্তর্ভুক্ত হয়।

ডিস্টোপিয়া হলো সাহিত্যের একটি শাখা। যেখানে এমন একটি কাল্পনিক রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামো নিয়ে কথা বলা হয়, যেখানে কেবল দুর্ভোগ আর অবিচারের রাজত্ব। মূল গল্পটি শুরু হয় একটি টেনিস একাডেমি এবং মাদকাসক্ত নিরাময় সংস্থাকে কেন্দ্র করে। এ বইটি নিয়ে চলচ্চিত্র  তৈরি হয়েছে।

 

 

লিও টলস্টয়ের বিখ্যাত ‘ওয়ার অ্যান্ড পিস’

পৃথিবীর অন্যতম প্রভাবশালী সাহিত্যিক লিও টলস্টয়, বেঁচে থাকতেই যাকে অভিহিত করা হতো দ্বিতীয় জার হিসেবে। লিও টলস্টয়ের একটি ্অনবদ্য সৃষ্টি ‘ওয়ার অ্যান্ড পিস’। এটি এমন একটি বই যাকে ঠিক উপন্যাসও বলা যায় না, কারণ চরিত্র ও ঘটনাসমূহ বাস্তব। আবার ঠিক ইতিহাসও বলা যায় না, কারণ ঐতিহাসিক বইয়ের সব গুণ তাতে নেই।

এই না উপন্যাস, না ইতিহাসের বইতেই টলস্টয় আঁকলেন একটি জাতির একটু একটু করে বদলে যাওয়া, লড়াই করার ইতিহাস। নিজ দেশের জনতাকে বীরমাল্য দেওয়া, নিজ ভূমির মর্যাদা বিষয়ে সদা সচেতন টলস্টয় আবার কোনো অর্থেই কিন্তু সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদী নন। ‘ওয়ার অ্যান্ড পিস’ ১২৯৬ পৃষ্ঠার বই।

এ বইটি রাশিয়ার নেপোলিয়ন যুগকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্র এবং হোম ফ্রন্টের মধ্যে তিনটি কুখ্যাত চরিত্রকে ঘিরে গল্প এগিয়ে যায়। এরা হলো- পেরে বেজুখভ, যিনি নিজের উত্তরাধিকারের জন্য লড়াই করছেন; প্রিন্স আন্দ্রেই বলকনস্কি, যিনি যুদ্ধ করতে তাঁর পরিবারকে ছেড়ে চলে এসেছেন; এবং নাতাশা রোস্তভ, একজন অভিজাত সুন্দরী  মেয়ে।

 

 

অ্যা সুইটেবল বয়

যেখানে তুলে ধরা হয়েছে চারটি একান্নবর্তী পরিবারের ১৮ মাসের গল্প...

নেটফ্লিক্স সিরিজ ‘অ্যা সুইটেবল বয়’ বিক্রম শেঠের উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করেই নির্মিত। পরিচালক মীরা নায়ার ‘অ্যা সুইটেবল বয়’ সিরিজটি তৈরি করেন। এতে চারটি পরিবারের কাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে, যারা দেশ ভাগ এবং স্বাধীনতার পর ভারতে বসবাস করতে শুরু করে। বিক্রম শেঠের ‘নেমসেক’ উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে সিরিজটি।

যেখানে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন টাবু, ঈশান খাত্তার ও তানিয়া মানিকতালা। চমকপ্রদ হলো- এ সিরিজটিতে ৪৮ বছর বয়সী টাবুর প্রেমিকের চরিত্রে পাওয়া যাবে ২৪ বছরের ঈশানকে।

বিক্রম শেঠের মূল বইটি ১৫০৪ পৃষ্ঠার। শেঠের বিশাল উপন্যাসটি ১৯৫০-এর দশকের গোড়ার দিকে, স্বাধীনতা-উত্তর, ভারতবর্ষ বিভাজনের পরের প্রেক্ষাপট নিয়ে লেখা হয়েছে। যেখানে চারটি একান্নবর্তী  পরিবারের ১৮ মাসের গল্প তুলে ধরা হয়।

 

 

ইন সার্চ অব লস্ট টাইম

এটি এখন পর্যন্ত দীর্ঘতম উপন্যাস হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেয়েছে...

‘ইন সার্চ অব লস্ট টাইম’ একটি উপন্যাস হলেও মোট সাতটি খন্ড রয়েছে এতে। মার্সেল প্রস্টের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাহিত্যকর্ম ছিল এটি। শুধু আকারের দিক থেকেই দীর্ঘতম উপন্যাস হিসেবে নয়, এর প্লটটিও জনপ্রিয় উপন্যাস হতে একে সাহায্য করেছিল। এর প্রতিটি অধ্যায় পর্বভিত্তিক অংশগুলো অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ইংরেজিতে এটি জনপ্রিয়তার পেছনে দুজন অনুবাদকের কথা আলাদা করে বলতেই হয়। স্কট মনক্রিপ এবং টেরেন্স কিল মার্টিন এ উপন্যাসটিকে সারা দুনিয়ার সামনে নতুনভাবে উপস্থাপন করেন। এরপরই উপন্যাসটি সারা বিশ্বে তুমুল আলোচনার ঝড় তোলে।

১৯০৯ সালের সামাজিক প্রতিচ্ছবি দিয়ে উপন্যাসটি শুরু হয়। তার পুরো উপন্যাসটি বিভিন্ন সময়ের ছোট ছোট চিত্রগুলো যেমন তুলে এনেছে তেমনি উপন্যাসের শেষ তিন অংশ সময়কে অতিক্রম করে ও পেছনে চলে আসা যে আকাক্সক্ষা  ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সেটা অনবদ্য।

সর্বশেষ খবর