রবিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

বিশ্বের বৃহত্তম চিড়িয়াখানা

সাইফ ইমন

বিশ্বের বৃহত্তম চিড়িয়াখানা

খ্রিস্টপূর্ব ৩ হাজার ৫০০ অব্দে প্রাচীন মিসরে চিড়িয়াখানার অস্তিত্ব ছিল। খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকে চীনে চিড়িয়াখানার প্রমাণ পাওয়া যায়। ১২০৪ সালে ইংল্যান্ডে প্রথম চিড়িয়াখানা গড়ে ওঠে। সাধারণত বন্যপ্রাণী বন্দি অবস্থায় সংরক্ষণ ও গবেষণার জন্য যেখানে রাখা হয় তাকে চিড়িয়াখানা বলা হয়ে থাকে। পৃথিবীর প্রায় সব বড় শহরেই চিড়িয়াখানা আছে। বিভিন্ন চিড়িয়াখানা এখন সাফারি প্রকল্প চালু করেছে। বিনোদন ও তথ্য সংগ্রহের জন্য চিড়িয়াখানার গুরুত্ব অনেক। প্রাণীসংখ্যার ভিত্তিতে পৃথিবীর বৃহত্তম কিছু চিড়িয়াখানা নিয়ে আজকের রকমারি...

 

বার্লিন জ্যুওলজিক্যাল গার্ডেন

প্রাণীর প্রকার এবং বৈচিত্র্যময়তার ওপর নির্ভর করে অনেক চিড়িয়াখানা পরিণত হয় মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে।

বার্লিন জ্যুওলজিক্যাল গার্ডেন প্রাণীর সংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীর বড় চিড়িয়াখানাগুলোর মধ্যে একটি। প্রাণীবৈচিত্র্যে ভরপুর এই জ্যুওলজিক্যাল গার্ডেন। এখানে প্রতিবছর প্রচুর লোকের সমাগম ঘটে। বার্লিন জ্যুওলজিক্যাল গার্ডেন প্রাণী গবেষণা কেন্দ্রের জন্য অতুলনীয়। এ চিড়িয়াখানায় সর্বমোট ১ হাজার ৩৮০ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। আর প্রাণীর সংখ্যা ২০১৭ সালে ২০ হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে। তাছাড়া পৃথিবীর বৃহত্তম অ্যাকুয়্যারিয়ামের মর্যাদাও বার্লিন চিড়িয়াখানারই। এর অ্যাকুয়্যারিয়ামে ৫৬২ প্রজাতির মাছ রয়েছে। গোটা ইউরোপ থেকে এই চিড়িয়াখানায় প্রতিবছর ৩৫-৪০ লক্ষাধিক মানুষ ঘুরতে আসে।

 

হেনরি ডোরলি চিড়িয়াখানা

বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত চিড়িয়াখানা আমেরিকার হেনরি ডোরলি চিড়িয়াখানা। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় অষ্টাদশ শতকের শেষের দিকে। এখানে প্রচুর বৈচিত্র্যময় পশুপাখির আবাস। পশুপাখির সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে এর অবস্থান তৃতীয়। একই সঙ্গে এটি বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন চিড়িয়াখানাগুলোর মধ্যেও একটি। নেব্রাস্কায় অবস্থিত এ চিড়িয়াখানাটিতে ১৭ হাজার প্রাণীর বাসস্থান। এটি পরিচিত এর বিশাল জিওডেসিক ডোম আর পৃথিবীর বৃহত্তম ইনডোর মরুভূমির জন্য। হেনরি ডোরলি চিড়িয়াখানায় মোট ৯৬২ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। আরও আছে বিলুপ্ত প্রজাতির প্রাণীর সমাহার। এখানে সৃষ্টি করা কৃত্রিম মরুভূমি গবেষণার জন্যও বিখ্যাত।

 

বেইজিং চিড়িয়াখানা

জায়ান্ট পান্ডা রয়েছে এমন চিড়িয়াখানা পৃথিবীতে খুব কম। এদিক থেকে বিশ্বের অল্প কিছু চিড়িয়াখানার মধ্যে বেইজিং চিড়িয়াখানা একটি যেখানে জায়ান্ট পান্ডা আছে। প্রতিবছর ৬০ লক্ষাধিক মানুষ একবার করে ঘুরে যায় বেইজিং চিড়িয়াখানায়। এখানে হাজার খানেক প্রজাতির ১৪ হাজার ৫০০টি প্রাণীর বাস রয়েছে। বিশালাকার চীনা স্যালামান্ডার, জায়ান্ট পান্ডা আর দক্ষিণ চীনের এক বিরল প্রজাতির বাঘ রয়েছে এ চিড়িয়াখানায়। এগুলো এই চিড়িয়াখানার মূল আকর্ষণ। ২২০ একর জমিতে নির্মিত এ চিড়িয়াখানাটি আয়তনের দিক থেকেও পৃথিবী বিখ্যাত। এর আসল সৌন্দর্য এর পরিকল্পিত ও সুসজ্জিত পার্কগুলো। এই চিড়িয়াখানার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করা হয় ১৯০৬ সালে। আরও একটি বিশেষ দিক এই যে, এর দর্শনার্থীর সংখ্যা পৃথিবীর যে কোনো চিড়িয়াখানার চেয়ে বেশি।

 

ন্যাশনাল জ্যুওলজিক্যাল গার্ডেন

আকারের দিক থেকে বিশাল ন্যাশনাল জ্যুওলজিক্যাল গার্ডেন অব সাউথ আফ্রিকা। তাই বিশ্বের বৃহত্তম চিড়িয়াখানাগুলোর মধ্যে অন্যতম মনে করা হয় একে। এটি আফ্রিকা মহাদেশের বৃহত্তম। ২১০ একর জমির ওপর অবস্থিত এ চিড়িয়াখানাটিতে আছে ৯ হাজারের অধিক প্রাণীর আবাস। ১৮৯৯ সালে এই চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন চিড়িয়াখানা হিসেবেও সুখ্যাতি রয়েছে এই ন্যাশনাল জ্যুওলজিক্যাল গার্ডেন অব সাউথ আফ্রিকার। কৃত্রিম আফ্রিকান সাবানা, বিশাল বিশাল কয়েকটি পক্ষীশালা আর ক্যাবলওয়ের ব্যবস্থাই এ চিড়িয়াখানার মূল আকর্ষণ। তাছাড়া চিড়িয়াখানার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে একটি ছোট নদী যা এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে।

 

মস্কো চিড়িয়াখানা

মস্কো চিড়িয়াখানা রাশিয়ার সবচেয়ে বড় চিড়িয়াখানা। অষ্টাদশ শতকে এই চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। গোটা রাশিয়া থেকে প্রতিবছর এখানে প্রচর লোকসমাগম হয়ে থাকে। সবচেয়ে বেশি মানুষ এসেছিল ২০১৮ সালে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপের সময়। তখন নতুন করে এই চিড়িয়াখানা সাজানো হয়েছিল বিশ্ববাসীর জন্য। অবশ্য এর আগে ১৯৯০ সালে এ চিড়িয়াখানার বড় ধরনের সংস্কার কাজ করা হয়। সে সময় যুক্ত করা হয় একটি অ্যাকুয়্যারিয়াম। ৫৪ একর আয়তনের চিড়িয়াখানাটিতে রয়েছে বিশ্বের নানা রকম প্রাণীর সমাহার। এই চিড়িয়াখানার একটি বিশেষ দিক হলো- এখানে রয়েছে পদব্রজে চলার ব্রিজ। দর্শনার্থীরা হেঁটে চলার সময় ওপর থেকে প্রাণীগুলোকে দেখতে পারে। প্রায় হাজারখানেক প্রজাতির ৮ হাজার প্রাণীর বাসস্থান মস্কো চিড়িয়াখানা। এখানে বছরে ২ লক্ষাধিক দর্শনার্থীর আগমন ঘটে।

 

লন্ডন চিড়িয়াখানা

কিছু বিরল প্রজাতির পাখি, সরীসৃপ আর আর্কটিক নেকড়ের জন্য বিখ্যাত লন্ডন চিড়িয়াখানা। এই চিড়িয়াখানা বেশ পুরনো এবং এতে ইতিহাসের ছোঁয়া রয়েছে। জানলে অবাক হতে হয়, এই চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৮২৮ সালে। শুরুর সময়ে এই চিড়িয়াখানা বিভিন্ন বিচিত্র প্রাণীর আবাসস্থল ছিল এবং বহু প্রখ্যাত জীববিজ্ঞানী ও গবেষকরা এখানে বসবাসকারী প্রজাতিদের ওপর নিয়মিত গবেষণা সম্পন্ন করেছেন এবং এখনো করে যাচ্ছেন। যা বিশ্ব জীববৈচিত্র্য উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে। প্রাথমিকভাবে কেবল বৈজ্ঞানিক গবেষণার খাতিরে নির্মিত হলেও চিড়িয়াখানাটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় ১৮৪৭ সালে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লন্ডনের চিড়িয়াখানা বিশ্বের এক অন্যতম বিখ্যাত চিড়িয়াখানা হয়ে উঠেছে। এটিই প্রথম চিড়িয়াখানা যেখানে প্রথম সরীসৃপ আবাসস্থল, প্রকাশ্য  অ্যাকুয়্যারিয়াম, কীট-পতঙ্গের আবাসস্থল প্রবর্তন হয় এবং এ ছাড়াও এটি প্রথম শিশুদের চিড়িয়াখানা। ব্রিটেনে অন্যান্য বহু চিড়িয়াখানা আছে কিন্তু কোনোটাই আকার ও প্রাণী প্রজাতির প্রাপ্যতা উভয় দিক দিয়ে লন্ডন চিড়িয়াখানার মতো ব্যাপক নয়। লন্ডনের চিড়িয়াখানায় আপনার সফর শুরু হবে জনপ্রিয় সোবেল প্যাভিলিয়ন হিসেবে পরিচিত বানর এবং বনমানুষের আবাসস্থল থেকে। কাঠবিড়াল,  বানর থেকে গরিলা এবং ম্যাকাও পর্যন্ত সোবেল প্যাভিলিয়ন বেশ জনপ্রিয় এখানে। সোবেল প্যাভিলিয়ন সম্পর্কে সব থেকে আকর্ষণীয় ব্যাপারটি হলো- এখানকার বসবাসকারীদের জন্য  দেওয়া পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রিমাত্রিক স্থান যার ফলে বিশেষ করে শিম্পাঞ্জিরা খুব প্রাণবন্ত ভাবে ঝুলে থাকতে পারে। মাত্র ৩৭ একর জমির ওপর অবস্থিত এ চিড়িয়াখানায় প্রাণীর সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ছাড়িয়েছে ২০ হাজারেরও বেশি। ফলে সংখ্যার দিক দিয়ে এটি পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম চিড়িয়াখানা।

বছরের ৩৬৪ দিনই খোলা থাকে এটি। এই চিড়িয়াখানা স্তন্যপায়ী প্রাণীদের আবাসস্থল যেখানে বিশ্বের সেরা স্তন্যপায়ী প্রাণীদের সংগ্রহ আছে। নিচতলা কেবল দিবালোকের প্রাণীদের জন্য তৈরি; অন্যদিকে বেসমেন্টটি নিশাচর প্রাণীদের জন্য তৈরি। যেমন- তাসমানিয়ান ডেভিল ও বাদুড়। লন্ডনের এই চিড়িয়াখানায় কোয়াল এবং পান্ডাও দেখা যায়। সব মিলিয়ে লন্ডন চিড়িয়াখানা একটি আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান।

 

কলম্বাস চিড়িয়াখানা

কলম্বাস চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ মনে করে কেবল পশুপাখি প্রদর্শন করে অর্থ উপার্জনের জন্যই নয় বরং প্রাণীদের নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টিও চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। আর এটি নিয়ে কাজ করার জন্যও তাদের সুনাম রয়েছে বিশ্বজুড়ে। আমেরিকার ওহিও অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত কলম্বাস চিড়িয়াখানাটি সেখানকার অধিবাসী তো বটেই; গোটা বিশ্বের পর্যটকদের অত্যন্ত আকর্ষণীয় স্থান। এটি আয়তনে ৫৩০ একর। এখানে রয়েছে ৭ হাজারের অধিক প্রাণী। ফলে এই চিড়িয়াখানা আমেরিকার বৃহত্তম চিড়িয়াখানা হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে। উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, মেরু অঞ্চল, এশিয়া, আফ্রিকা আর অস্ট্রেলিয়ার প্রধান জীববৈচিত্র্যপূর্ণ অঞ্চলগুলো থেকে আনা হয়েছে এ প্রাণীগুলো। তবে এখানকার মূল আকর্ষণ মেরুদেশীয় নেকড়ে, আর্কটিক শিয়াল, বাদামি ভাল্লুক, মেরু ভাল্লুক এবং আর ৪০ প্রজাতির বিরল গায়ক পাখি। আয় থেকে পুরোটাই ব্যয় করা হয় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে।

 

স্যান ডিয়েগো চিড়িয়াখানা

স্যান ডিয়েগো চিড়িয়াখানা পৃথিবীর বৃহত্তম চিড়িয়াখানাগুলোর মধ্যে অন্যতম।

ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ডিয়েগোতে অবস্থিত ‘স্যান ডিয়েগো’ চিড়িয়াখানা’ আয়তনে এবং প্রাণীর সংখ্যায় পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম। ১০০ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এই চিড়িয়াখানায় ৬৫০-এর অধিক প্রজাতি আর উপ-প্রজাতির পশুপাখি রয়েছে ৩ হাজার ৭০০-এর অধিক। পাশাপাশি এই চিড়িয়াখানা শিশুদের জন্য একটি অনন্য এলাকা হিসেবে প্রমাণিত। কারণ শিশুদের জন্য এখানে রয়েছে নানা শিক্ষণীয় উপকরণ। অন্যান্য চিড়িয়াখানা শিশুদের মনোরঞ্জনের দিকে সে রকম জোর দেয় না কিন্তু এই চিড়িয়াখানা শিশুদের কথা মাথায় রেখে নিয়েছে নানা রকম ব্যবস্থা; যেখানে শিশুরা আনন্দ নেওয়ার পাশাপাশি শিখতেও পারে অনেক কিছু।

 

টরন্টো চিড়িয়াখানা

টরন্টো চিড়িয়াখানা শুধু প্রাণীর সংখার দিক থেকেই নয় বরং আয়তনের দিক থেকেও পৃথিবী বিখ্যাত। প্রায় ৭১০ একর জমির ওপর স্থাপিত টরন্টো চিড়িয়াখানা কানাডার তো বটেই গোটা বিশ্বেরই অন্যতম বৃহত্তম চিড়িয়াখানা। একে পৃথিবীর সবচেয়ে কম ঘনবসতির চিড়িয়াখানাও বলা হয়। এত বিশাল জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এ চিড়িয়াখানায় প্রাণীর সংখ্যা ৫ হাজার। প্রতি বছর এখানে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ১৩ লাখ মানুষের সমাগম ঘটে। টরন্টো চিড়িয়াখানার মূল আকর্ষণ এখানকার মৃত প্রাণীদের নিয়ে তৈরি মিউজিয়াম।

 

ব্রংক্স চিড়িয়াখানা

পৃথিবীর সবচেয়ে কম প্রাণীর মৃত্যু হারের জন্য ব্রংক্স চিড়িয়াখানা প্রসিদ্ধ। আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ব্রংক্স চিড়িয়াখানাকে বলা হয় পৃথিবীর প্রাচীনতম মেট্রোপলিটন চিড়িয়াখানা। গোটা বিশ্বে মেট্রোপলিটন চিড়িয়াখানাগুলোর মধ্যে এটিই সর্ববৃহৎ। প্রায় ২৬৫ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এই চিড়িয়াখানা।

এটি মূলত চারটি পৃথক চিড়িয়াখানা এবং একটি অ্যাকুয়্যারিয়ামের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে। এখানে মোট পশুপাখির সংখ্যা ৪ হাজারের বেশি। পাহাড়ি চিতা, বাইসন আর হিমালয়ান ভাল্লুকসহ এখানে অনেক প্রাণী রয়েছে।

 

আলিপুর চিড়িয়াখানা

কলকাতার একটি প্রধান পর্যটন কেন্দ্র আলিপুর চিড়িয়াখানা। এটি ভারতের প্রাচীনতম চিড়িয়াখানাগুলোর একটি। ১৮৭৬ সালে এই চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। আয়তন ৪৫ একর। এটি অধুনা-মৃত অদ্বৈত নামক একটি অ্যালডাব্রা দৈত্যাকার কচ্ছপের আবাসস্থল হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে। মৃত্যুকালে এই কচ্ছপটির বয়স ছিল ২৫০ বছরেরও বেশি। এখানে কয়েকটি বন্দি প্রজনন প্রকল্প চালু রয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো- মণিপুর ব্রো-অ্যান্টলার হরিণ প্রজনন প্রকল্প। বিগত কয়েক দশক ধরে আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ছোট খাঁচায় পশুপাখি রাখা নিয়ে সমালোচিত হচ্ছে।                                    

সর্বশেষ খবর