শিরোনাম
রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

পর্যটক নিষিদ্ধ স্থান

আবদুল কাদের

পর্যটক নিষিদ্ধ স্থান

প্রযুক্তির উৎকর্ষে বিশ্ববাসী এখন অসাধারণ এক অধ্যায় পার করছেন। তবু পৃথিবীতে এখনো এমন জায়গাও রয়েছে, যেখানে মানুষের প্রবেশে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এখনো অনাবিষ্কৃত এবং রহস্যেঘেরা স্থানগুলো নিয়ে মানুষের কৌতূহলের কমতি নেই। মূল কথা হলো- পৃথিবীর এসব রহস্যময় গন্তব্য মানুষের কাছে আজও অজানা।  এদের মধ্যে কয়েকটি আবার সামরিক ঘাঁটি আর গুপ্তচরবৃত্তির গোপনীয়তার আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। কয়েকটি জায়গার মেলে না কোনো ব্যাখ্যা। রইল তার বিস্তারিত...

 

ভয় ও আতঙ্কের ভানগড় দুর্গ রাজস্থান, ভারত

রাজস্থানের জয়পুর এবং আলওয়ারের মাঝখানে এক সময় ছিল চমৎকার একটি রাজ্য। নাম ভানগড়, যা এখন সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসাবশেষ। ষোড়শ শতাব্দীতে রাজা মাধো সিং তার কনিষ্ঠ পুত্রের জন্য ১৫৭৩ সালে দুর্গটি নির্মাণ করেছিলেন। একসময় রাজপরিবারের সদস্যদের কোলাহলে মুখরিত থাকত দুর্গটি। লোকমুখে শোনা যাচ্ছে, বর্তমানে দুর্গটি ভূতুড়ে স্থান। এ কারণেই ভানগড় দুর্গে সন্ধ্যার পর প্রবেশ নিষেধ। রাতে এ দুর্গে কেউ প্রবেশ করলে প্রাণ নিয়ে আর বাইরে বের হতে পারেন না। জনশ্রুতি আছে, ১৭৮৩ সালের পর এখানে বসবাসরত মানুষের সংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে। জানা গেছে, রাজ্যটি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কারণ ছিল দুর্গটি ছিল অভিশপ্ত। কথিত আছে, দুই স্থানীয় দুঃসাহসী তরুণও সন্ধ্যা ঘনিয়ে যাওয়ার পর দুর্গের পাচিল টপকে ভিতরে ঢুকেছিল। কিন্তু তারা আর ফেরেনি। তখন থেকে সেই ‘অভিশপ্ত’ দুর্গে পর্যটকদের জন্য রাত কাটানো একেবারেই নিষিদ্ধ হয়ে যায়।

 

নর্থ ব্রাদার্স আইল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্ক সিটি; বিশ্বের বুকে আলো ঝলমলে এক শহর। যেখানে প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক বেড়াতে আসেন। তবে সেখানকার নর্থ ব্রাদার আইল্যান্ডে প্রবেশ নিষিদ্ধ। দ্বীপটি নিউইয়র্ক সিটির অদূরে অবস্থিত। কয়েক বছর আগেও এই দ্বীপে মানুষ বসবাস করত। কিন্তু এখন সেখানে মিলবে কেবলই সুনসান নীরবতা। এখন দ্বীপটিতে কোনো মানুষ পাওয়া যাবে না। জানা যায়, সেখানকার সব ঘরবাড়ি পরিত্যক্ত হওয়ায় পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ সেখানে। কারণ এখানকার স্থাপনাগুলো অত্যন্ত বিপজ্জনক। ভবনগুলোর ভিতরে প্রকৃতি বাসা বেঁধেছে। পরিত্যক্ত কাঠামো এবং ধ্বংসাবশেষ গ্রাস করে চলেছে দ্বীপটিতে অবস্থিত স্থাপনাগুলোকে। জানা গেছে, এক সময় এই শহরটি ছিল কোয়ারেন্টাইন হাসপাতাল। বিশেষজ্ঞদের দাবি, দ্বীপটির অতীতের ইতিহাস মৃত্যু এবং সংক্রামক রোগের সঙ্গে জড়িত। ১৬১৪ সালে এক সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ে এ দ্বীপে। এরপর ১৮৮০ এবং ১৯৪০-এর দশকে এখানে অত্যন্ত সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আলাদা করে চিকিৎসা দেওয়া হতো। আক্রান্তদের মধ্যে যারা মারা যেত তাদের দ্বীপের মর্গে সংরক্ষণ করা হতো। ১৯৫১ সাল থেকে এটি মাদকাসক্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। আরও শোনা যায় দ্বীপটিতে অদৃশ্য আত্মার প্রাদুর্ভাবের কথা। তাদের বিশ্বাস দ্বীপটি জনমানবশূন্য হওয়ার মূল কারণ এটিই। নানা ভৌতিক কর্মকাণ্ডে দ্বীপ ছেড়ে বাসিন্দারা পালিয়ে যান। এরপর বিভিন্ন ভৌতিক ও রহস্যময় কারণে ১৯৬৩ সালে নর্থ ব্রাদার আইল্যান্ড পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে এটি নিউইয়র্ক সিটি ডিপার্টমেন্ট অব পার্কস অ্যান্ড রিক্রিয়েশনের সম্পত্তি হয়ে ওঠে। তারা জায়গাটিকে পাখির অভয়ারণ্য হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন।

 

রহস্যময় রুম থার্টি নাইন উত্তর কোরিয়া

পৃথিবীর মানচিত্রে ছোট্ট একটি দেশ উত্তর কোরিয়া। তবে দেশটি নিয়ে মানুষের কৌতূহলের কমতি নেই। এখানকার একটি গোপন সরকারি ভবন- রুম থার্টি নাইন। সাংবাদিক কেলি ওলসেনের ভাষায়, রুম থার্টি নাইন হলো বিশ্বের সবচেয়ে গোপন রাষ্ট্রের গোপন সংস্থাগুলোর একটি। ১৯৭০ দশকে নির্মিত গোপন স্থাপনাটি ওয়ার্কার্স পার্টি ভবনের ভিতরে অবস্থিত বলে জানা গেছে। কথিত আছে, এটি উত্তর কোরিয়ার গোপন সংস্থার আস্তানা। বলা হয়, এটি উত্তর কোরিয়ার ন্যাশনাল ডিফেন্স কমিশনের চেয়ারম্যান কিম জং উনের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সহজ পথ। ধারণা করা হয়, সুইস ব্যাংকসহ বিশ্বের নামিদামি কয়েকটি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ এখান থেকেই করা হয়। বিশ্বের প্রায় ১২০টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ করার কথাও শোনা যায়। জনশ্রুতি আছে, ভবনটিতে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ মজুদ আছে।

 

লাসকক্স গুহা, ফ্রান্স

গুহাটি দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সের ভিজেয়ার উপত্যকায় অবস্থিত। এখানে আছে প্রাগৈতিহাসিক প্রত্নতত্ত্বের অসংখ্য নিদর্শন। তবে জনসাধারণের এখানে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষেধ। যদিও স্থানটি ভুতুড়ে নয়। গুহার মধ্যে আদিম মানুষের আঁকা দেয়ালচিত্র রয়েছে। সেগুলো যেন নষ্ট না হয়, এ কারণেই প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেখানে। ১৯৪০ সালে এ গুহার গায়ে আদিমানবদের আঁকা প্রায় ১৭ হাজার বছরের পুরনো ছবি আবিষ্কৃত হয়। ধারণা করা হয়, প্রায় ২০ হাজার বছর আগের গুহামানবদের দেয়ালচিত্র রাখা আছে। অতীতে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের লাসকক্স গুহায় থাকা প্রাচীন চিত্রকর্ম দেখতে ভিড় জমাতেন পর্যটকরা। কিন্তু মানুষের নিঃশ্বাস থেকে আসা আর্দ্রতা ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের ফলে চিত্রকর্মগুলোর ক্ষতি হতে শুরু করে।  বর্তমানে এখানে মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। ছবিগুলো নষ্ট হওয়ার ভয়েই গুহাটি গত ৬০ বছর ধরে বন্ধ। লাসকক্স ছবিগুলো আনুমানিক ১৯ হাজার বছর আগের। শত শত আঁকা ও খোদাই করা জীবজন্তুর ছবি মিলেছে এখানে। যার মধ্যে ৬০০ জীবজন্তুকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

 

সম্রাটের সমাধি, চীন

২১০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে চীনের প্রথম সম্রাট কিন শি হুয়াং-এর সমাধিতে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিক বিশ্লেষকদের মতে, ২ হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে একটি পিরামিডের নিচে সম্রাটকে সমাহিত করা হয়েছে। এটি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ আবিষ্কারগুলোর মধ্যে অন্যতম। তবে এটি এখনো ইতিহাসবিদ এবং প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে রহস্যই রয়ে গেছে। সমাধির বিষয়বস্তুর বেশির ভাগই আজও অনাবিষ্কৃত। জানা গেছে, মৃত্যুর পর তার দেহের সঙ্গে ২ হাজার সৈন্যের টেরাকোটার মূর্তিও কবর দেওয়া হয়েছিল। এ রাজার সমাধি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল খুবই গোপন এক স্থানে। কথিত আছে, সমাধিক্ষেত্রে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র সম্রাট কিন শি হুয়াং-এর পরবর্তী জীবনে প্রয়োজন হবে। ১৯৭৪ সালে স্থানীয় কয়েকজন কৃষক হঠাৎই এ রহস্যময় টেরাকোটার সমাধির খোঁজ পান। সম্রাটের শেষ চিহ্ন নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় সমাধিতেও পর্যটকদের প্রবেশ নিষেধ। জনশ্রুতি আছে, এ সমাধির নিচে পানিতে বাস করে মৎস্যকন্যারা।

 

মস্কোর মেট্রোরেল-২ রাশিয়া

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আন্ডারগ্রাউন্ড সিটি মস্কোর মেট্রো-২। এ যেন এক অজানা রাজ্য। শোনা যায়, স্ট্যালিন ক্ষমতায় থাকাকালীন শহরটি তৈরি করা হয়েছিল। এটি নাকি স্টালিনের গোপন স্কেপ রুট (যে গোপন পথ ধরে পালানো যায়)। যদিও ক্রেমলিনের তরফ থেকে কখনোই এর অস্তিত্ব স্বীকার করা হয়নি। রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির প্রজেক্ট ছিল এটি। যার কোড নেম ডি-৬। কথিত আছে, ভূগর্ভস্থ এই রেলব্যবস্থা যাত্রীদের জন্য নয় বরং যুদ্ধের ক্ষেত্রে আশ্রয়ের প্রবেশদ্বার হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। মেট্রো-২ এর কয়েকটি গোপন বাঙ্কার নির্মাণ করা হয়েছিল। ধারণা মতে, মস্কো পৌর সরকারের জন্য এটি তৈরি করা হয়েছিল। শোনা গেছে, সাধারণ মেট্রো থেকে এটি অনেক প্রশস্ত। চার রেললাইনের মেট্রো চলাচল করে মাটির ৫০ থেকে ২০০ মিটার নিচ দিয়ে। মেট্রোটি নাকি সরাসরি ক্রেমলিন ও এফএসবি হেড কোয়ার্টারের সঙ্গে সংযুক্ত।

 

প্যারিসের ক্যাটাকম্ব ফ্রান্স

প্যারিসের রাস্তার পঁয়ষট্টি ফুট নিচে অবস্থিত বিস্ময়কর স্থান ক্যাটাকম্ব। এটি ফ্রান্সের অত্যন্ত রহস্যময় একটি স্থান; যা গোটা শহরের অন্যতম আকর্ষণ। তবে এখানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ। বলা হয়, ক্যাটাকম্বস ডি প্যারিস ৬০ লাখেরও বেশি প্রয়াত প্যারিসবাসীর হাড়ের আবাসস্থল। ১৩০০ শতাব্দীর পর ভূগর্ভস্থ গিরিপথগুলো খনন করে এটি তৈরি করা হয়েছিল। জনশ্রুতি আছে, প্যারিস শহর তৈরিতে এই ক্যাটাকম্বের ভূমিকা অনেক। এক সময় গণকবর দেওয়া হতো এখানে। হাজার হাজার কঙ্কালের খুলি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে প্যারিসের ক্যাটাকম্বের দেয়াল। এ ক্যাটাকম্বের পাশেই ছিল এক সমাধিস্থান। মৃতদেহের ভারে সমাধিস্থানটি ধসে পড়লে এ ক্যাটাকম্বের খোঁজ পায় বিশ্ব। ‘প্লেস দি গ্রেভে’র দাঙ্গায় নিহতদের এখানে কবর দেওয়া হয়েছিল। লোখমুখে প্রচলিত আছে- সপ্তদশ শতকে এ ক্যাটাকম্বের ভিতরে নিখোঁজ হয়ে যান এক ব্যক্তি। যার মৃতদেহ পাওয়া যায় ১১ বছর পর। অষ্টাদশ শতকে রাজপরিবারের সদস্যদের হত্যা করে ফেলা হয়েছিল এখানে। ১৯ শতকের শেষে জায়গাটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। তবে কথিত আছে, ক্যাটাকম্বে অতৃপ্ত আত্মাদের বাস। এ কারণে সেখানে প্রবেশ নিষেধ করেছে সরকার।

 

নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপ, আন্দামান

রহস্যঘেরা নিষিদ্ধ দ্বীপ নর্থ সেন্টিনেল। দ্বীপটি অন্যান্য দ্বীপ থেকে বড়; ম্যানগ্রোভ এবং প্রবাল দ্বারা বেষ্টিত। দ্বীপটি নৈসর্গিক সৌন্দর্যের হলেও এখানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ। এটি বঙ্গোপসাগরের আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত নিষিদ্ধ এবং ভয়ংকর একটি দ্বীপ। ভৌগোলিকভাবে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলোর অন্যতম। এখানে আধুনিক সভ্যতার শেষ যোগাযোগবিহীন উপজাতি সম্প্রদায়ের বসবাস। যাদের বলা হয় সেন্টিনেলিজ। এদের সঙ্গে সমগ্র বিশ্বের কোনো যোগাযোগ নেই। এদের জনসংখ্যা ৩৯ থেকে ২৫০-এর মধ্যে, সর্বোচ্চ ৫০০। দ্বীপটির আয়তন ৭২ বর্গকিলোমিটার এবং কাগজে-কলমে এটির মালিকানা ভারতের। কথিত রয়েছে, সেন্টিনেল দ্বীপের উপজাতির মানুষ নরমাংসভোজী। কোনো বহিরাগত সেখানে গেলেই তাদের এরা তীর ছুড়ে মেরে ফেলে। ধারণা করা হয়, দ্বীপের দুর্গম প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে উপজাতিদের এমন হিংস্র আচরণ। জনশ্রুতি আছে, ২০০৬ সালে তারা দুই জেলেকে হত্যা করেছিল, যাদের নৌকা স্রোতের টানে তীরে চলে গিয়েছিল।

 

স্নেক আইল্যান্ড ব্রাজিল

নাম শুনেই বোঝা যায়, এটি সাপের স্বর্গরাজ্য। কারণ সেখানে রয়েছে অগণিত বিষাক্ত সাপ! একে সাপের বাড়িও বলা হয়ে থাকে। দ্বীপটির আসল নাম ইলহা দ্য কুইমাডা গ্রান্ডে।  তবে লোকমুখে এটি স্নেক আইল্যান্ড নামে পরিচিত। সাও পাওলোর উপকূল থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার (২০ মাইল) দূরে অবস্থিত।  এত দূরে থাকায় সাপগুলো সমুদ্রের প্রবল ঢেউ উপেক্ষা করে সাঁতরে লোকালয়ে পৌঁছাতে পারে না। নির্জন দ্বীপটিতে নিজেকে হারিয়ে ফেলার জন্য আদর্শ স্থান বলে মনে হলেও সত্যটি হলো- কয়েক দশক ধরে এখানে প্রাণঘাতী সব সাপের আবাসস্থল। এক সময় এখানেও মানুষ বসবাস করত। তবে বিষাক্ত সাপের আক্রমণে পরবর্তীতে জনবসতিহীন হয়ে পড়ে। দ্বীপের লাইট হাউসের মেরামতের জন্য মাঝে মাঝে নৌ সেনারা এখানে আসেন। আর গবেষকদেরও এখানে প্রবেশের অনুমতি আছে। মানুষ ও সাপ উভয়কেই সুরক্ষার জন্য এটি করা হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এখানকার প্রতি বর্গ কিলোমিটারে এক থেকে পাঁচটি সাপের দেখা মিলবে। ভাবতে পারেন এ আর এমন কি! তবে লক্ষণীয় যে, এখানে বসবাসকারী সাপগুলো বিশ্বের বিষাক্ত সাপগুলোর মধ্যে অন্যতম। গোল্ডেন ল্যান্সহেড ভাইপার; দৈর্ঘ্যে আধা মিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। সাপটি অত্যন্ত শক্তিশালী, দ্রুত দংশন করতে পারে। এই সাপটির দংশনে মানুষের চারপাশে মাংস অতিদ্রুত নিথর হয়ে পড়ে। এ কারণে ব্রাজিল সরকার স্পষ্টভাবেই দ্বীপটিতে পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

 

চ্যাপেল অব দ্য আর্ক অব দ্য কভেন্যান্ট, ইথিওপিয়া

এই স্থানটিতে ইসরায়েলিদের স্বর্ণে আচ্ছাদিত পবিত্র, গোপন ভান্ডার রয়েছে বলে দাবি করা হয়। জনশ্রুতি আছে, এখানে টেন কমান্ডমেন্টস-এর দুটি পাথরের ফলক- ‘অ্যারনস রড’ এবং ‘পট অব মানা’ রয়েছে। হাজার বছর ধরে মানুষের কাছে অপার রহস্যের বিষয় হয়ে আসছে এই আর্ক অব দ্য কোভেন্যান্ট। একে বলা হয় ঈশ্বরের সিন্দুক। সিন্দুকটির নিচের ভাগে লাগানো হয় চারটি সোনার রিং, যার মধ্য দিয়ে বাবলা গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি এবং সোনায় মোড়ানো দুটি দন্ড প্রবেশ করানো হতো যাতে একে বহন করা যায়। ইহুদিদের প্রাচীন ইতিহাসের বর্ণনা মতে, কেহাথ-এর পরিবার এবং লেভাই নামক গোত্রই এই আর্ক অব দ্য কভেন্যান্ট বহন করত। এই দাবিটি জেরুজালেমের ‘টেম্পল মাউন্টের’। আরেকটি দাবি ইথিওপিয়ান অর্থোডক্স চার্চের। তাদের দাবি- ‘চার্চ অব আওয়ার লেডি মেরি অব জিউন’-এ সংরক্ষিত আছে আর্ক অব দ্য কভেন্যান্ট।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর