রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা
চট্টগ্রাম

লাখো বইয়ের গুটিকয়েক পাঠক

আজহার মাহমুদ, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারে বই আছে ১ লাখ ১০ হাজার। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) পাবলিক লাইব্রেরিতে আছে প্রায় ৪৫ হাজার বই। দেড় লক্ষাধিক বই থাকলেও নেই পাঠক। চসিকের লাইব্রেরিতে দিনে ১০-২০ জনের মতো পাঠক আসে। এদিকে সংস্কার কাজের কারণে বিভাগীয় গ্রন্থাগারে বই পড়া বন্ধ। লাইব্রেরিগুলোতে পাঠকের আনাগোনা কমে গেছে। নগরীর নন্দনকানন এলাকায় ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত বিভাগীয় গণগ্রন্থাগার দীর্ঘদিন ধরে মুসলিম হলে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। ২০১৯ সালে এখানে ২৮১ কোটি টাকায় চট্টগ্রাম সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ শুরু হলে লাইব্রেরির বইপত্র সদরঘাট এলাকায় ভাড়া করা ভবনে স্থানান্তরিত হয়। প্রায় চার বছর এই গ্রন্থাগারে বই পড়া বন্ধই ছিল। গত জুনে কালচারাল কমপ্লেক্সের কাজ শেষ হলে বইসহ লাইব্রেরি এখানে স্থানান্তর করা হয়। চলতি বছরের মধ্যে গণগ্রন্থাগার চালু করতে চায় কর্তৃপক্ষ। গ্রন্থাগারগুলোতে একসঙ্গে ৮০০-৯০০ পাঠক বই, পত্রিকা পড়তে পারবেন। বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারের প্রিন্সিপাল লাইব্রেরিয়ান ও উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ জানান, এখানে ১ লাখ ৩০ হাজারের মতো বই থাকলেও ভবন নির্মাণের জন্য বইগুলো সরাতে গিয়ে কিছু বই নষ্ট হয়েছে। নতুন করে কিছু বইয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখানে লেখক, গবেষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, প্রতিবন্ধীসহ সবার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা সংবলিত পাঠকক্ষ তৈরি করা হয়েছে। এদিকে চট্টগ্রামের লালদীঘির পাড়ের চসিক পাবলিক লাইব্রেরিতে বই পড়ার আসন আছে ৬০টি। লাইব্রেরিতে গিয়ে দেখা যায়, পাঠক আছেন মাত্র দুজন। একজন মধ্যবয়সী, অন্যজন শিক্ষার্থী। ১৯০৪ সালে আন্দরকিল্লায় চিটাগাং মিউনিসিপ্যাল লাইব্রেরি নামে প্রতিষ্ঠিত হয় এই লাইব্রেরি। ২০২০ সালে লালদীঘির পাড়ে নতুন ভবন তৈরি হলে লাইব্রেরির কার্যক্রম শুরু হয়। লাইব্রেরির তত্ত্বাবধায়ক রিয়াদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থাকলেও পাঠকের সংখ্যা সীমিত। সকাল ও দুপুরে কিছু শিক্ষার্থী আসেন। বিকালের দিকে কিছু বয়স্ক পাঠক আসেন। কেউ কেউ পত্রিকা পড়তে আসেন।

সর্বশেষ খবর