সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

অন্যরকম উৎসর্গপত্র

অন্যরকম উৎসর্গপত্র

► দারুচিনি দ্বীপ

মা মণি নোভা আহমেদ

এই উপন্যাসের পাণ্ডুলিপির প্রথম পাঠিকা নবম শ্রেণির বালিকা আমার বড় মেয়ে নোভা আহমেদ। সে বই শেষ করেই আমাকে বলল, আমার যখন একুশ বছর বয়স হবে তখন কি তুমি আমাকে এই বইয়ের নায়িকার মতো একা একা সেন্ট মার্টিন আইল্যান্ড যেতে দেবে? আমি বললাম- না।

সে কঠিন গলায় বলল, তাহলে তুমি এই বইয়ে মিথ্যা কথা কেন লিখলে? আমি তার অভিমানী চোখের দিকে তাকিয়ে বলতে বাধ্য হলাম- আচ্ছা যাও, তোমাকেও যেতে দেব।

 

চলে যায় বসন্তের দিন

আমার একটি খুব প্রিয় গান আছে, গিয়াসউদ্দিন সাহেবের লেখা ‘মরণ সংগীত’- ‘মরিলে কান্দিস না আমার দায়’। প্রায়ই ভাবি আমি মারা গেছি, শবদেহ বিছানায় পড়ে আছে, একজন কেউ গভীর আবেগে গাইছে- ‘মরিলে কান্দিস না আমার দায়...’

‘নক্ষত্রের রাত’ নামের ধারাবাহিক নাটকের শুটিং ফ্লোরে আমি আমার ইচ্ছা প্রকাশ করলাম। এবং একজনকে দায়িত্ব দিলাম গানটি বিশেষ সময়ে গাইতে। সে রাজি হলো। উৎসর্গ পত্রের মাধ্যমে তাকে ঘটনাটি মনে করিয়ে দিচ্ছি। আমার ধারণা সময় এসে গেছে।

মেহের আফরোজ শাওন

 

এই মেঘ, রৌদ্রছায়া

ছবি পাড়ায় আমার ছোট্ট একটা অফিস আছে। সেই অফিসে রোজ দুপুরবেলা অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ উপস্থিত হয় এবং হাসিমুখে বলে, ভাত খেতে এসেছি। সে আসলে আসে কিছুক্ষণ গল্প করার জন্য। ইদানীং মাহফুজ খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। দুপুরবেলা তাঁর হাসিমুখ দেখতে পাই না। মাহফুজ কী জানে, প্রতিদিন দুপুরে আমি মনে মনে তাঁর জন্য অপেক্ষা করি?

 

রূপার পালঙ্ক

একবার একজন লেখক আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। আমাদের তিন কন্যা যে যেখানে ছিল, লেখকের নাম শুনে উড়ে চলে এলো। আমার মেজো মেয়ে বলল, এতো বড় লেখকের সামনে সে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না। তার না-কি পা ঝিমঝিম করছে। আমি তখন লেখককে দেখছিলাম না, মুগ্ধ হয়ে আমার তিন কন্যার উচ্ছ্বাস দেখছিলাম।

সেই লেখকের নাম-

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

সর্বশেষ খবর