বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

ব্যয়বহুল যত বিয়ে

ব্যয়বহুল যত বিয়ে

বিয়ে শব্দে জড়িয়ে আছে আবেগ আর সুখানুভূতি। দিন ধার্য করে পরিচিত পরিজনদের উপস্থিতিতে দুজনে একসঙ্গে চলার প্রতিজ্ঞা করা। অনেকেই চান বিয়ের অনুষ্ঠান হোক সবচেয়ে  বেশি স্মরণীয় ও নানা আনুষ্ঠানিকতায় সংজ্ঞায়িত। আর তাই পাত্র-পাত্রীর পক্ষ থেকে খুলে বসতে হয় খরচের খাতা। সে খরচ হতে পারে খুব সামান্য অথবা বিশ্ব রেকর্ডধারীও

 

অমিত ভাটিয়া ও ভানিশা মিত্তাল

৬৬ মিলিয়ন ডলার

ভারতীয় স্টিল ইন্ডাস্ট্রির রাজা লক্ষ্মী মিত্তালের একমাত্র মেয়ের বিয়ে, আনুষ্ঠানিকতায় যেন কমতি না থাকে! তাই তো নিজের সন্তানের বিয়ে উপলক্ষে বেছে নেন ফ্রান্সের প্যালেস অব ভার্সাই, ভক্স-লে-ভিকোমতে এবং জার্ডিন দে তুইলেরির মতো দৃষ্টিনন্দন স্থান। ২০০৪ সালে ভানিশা মিত্তাল ও অমিত ভাটিয়ার বিয়ের আয়োজনে গান পরিবেশন করেন পপ স্টার কাইলি মিনোগ। গোটা বিশ্ব থেকে ১ হাজার অতিথি এসেছিলেন। ছয় দিনের আনুষ্ঠানিকতায় অতিথিরা মেতেছিলেন নানা আয়োজনে। অতিথিদের জন্য ছিল প্যারিস- লে গ্র্যান্ড-এ ফ্লাইট টিকিট এবং পাঁচতারকা হোটেলে থাকার ব্যবস্থা। অতিথিদের আনা-নেওয়ার জন্য ১২টি বোয়িং বিমান।

অতিথিদের জন্য ছিল ভারতীয় শেফদের রান্না করা শতাধিক পদের খাবার। বিশাল আয়োজনে এই বিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে রেকর্ড গড়ে। দেশ-বিদেশের অতিথির পাশাপাশি অংশ নেন শাহরুখ খান, ঐশ্বরিয়া রাই, অক্ষয় কুমার, রানি মুখার্জি, জুহি চাওলা এবং সাইফ আলি খানের মতো বলিউড সুপারস্টার। বাগদান থেকে বিয়ে; আয়োজনে খরচ হয় ৬৬ মিলিয়ন ডলার। এত আয়োজন আর ব্যয়বহুল বিয়ে হয়েছে ঠিকই- তবে তা বেশিদিন টেকেনি। ২০১৩ সালে এই দম্পতির সম্পর্কে চিড় ধরে। ২০১৪ সালে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।

 

প্রিন্স চার্লস ও লেডি ডায়ানা

৪৮ মিলিয়ন ডলার

১৯৮১ সালের ২৯ জুলাই যুক্তরাজ্যের রাজা প্রিন্স চার্লস ও লেডি ডায়ানা বিয়ে করেছিলেন। তাদের বিয়ের কয়েক দশক পেরোলেও আজও সেই বিয়েকে ব্যয়বহুল বিয়ের তালিকার শীর্ষে রাখা হয়। ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলো এই বিয়েকে ‘রূপকথা’ বলে আখ্যায়িত করেছিল। রাজকীয় বিয়েটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল যুক্তরাজ্যের লন্ডনের সেন্ট পলস ক্যাথেড্রালে। মোট ৩৫০০ জন অতিথিকে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সারা বিশ্বের ৭৫০ মিলিয়ন মানুষ বিয়ের অনুষ্ঠানটি টেলিভিশন সম্প্রচারে দেখেছিলেন। লেডি ডায়ানা ৪৬ হাজার ৭৮৫ ডলার মূল্যের আইভরি সিল্ক গাউন পরেছিলেন। প্রিন্সেস ডায়ানার ২৫ ফুট লম্বা গাউনে ১০ হাজার মুক্তায় আচ্ছাদিত ছিল।

মজার বিষয় হলো- নব দম্পতিকে মোট ২৭টি কেক উপহার দেওয়া হয়েছিল। বিয়েতে প্রায় ৪৮ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছিল। মুদ্রাস্ফীতির হিসাবে যা আজকের দিনে ৭০ থেকে ১১০ মিলিয়ন ডলার। যাই হোক বিয়েটি প্রিন্স চার্লস ও প্রিন্সেস ডায়ানার সঙ্গে অন্যান্য মানুষও উপভোগ করেছিল। তবে রাজকীয় এই দম্পতির বিচ্ছেদ ঘটে ১৯৯৬ সালে। এর এক বছর পর ডায়ানা তার ছেলেবন্ধুর সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।

 

ম্যাডেলিন ব্রকওয়ে ও জ্যাকব ল্যাগ্রোন

৫৯ মিলিয়ন ডলার

গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে এই বিয়েকে ‘ওয়েডিং অব দ্য সেঞ্চুরি বা ‘শতাব্দীর বিয়ে’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন ম্যাডেলিন ব্রকওয়ে এবং জ্যাকব ল্যাগ্রোন। জমকালো বিবাহের আয়োজন করা হয়েছিল প্যারিসের ভার্সাই প্রাসাদে। ম্যাডেলিন ব্রকওয়ে এবং জ্যাকব ল্যাগ্রোনের এই বিয়েতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৫৯ মিলিয়ন ডলার। সব অতিথির আনা-নেওয়ার জন্য ছিল ব্যক্তিগত বিমান। যার মাধ্যমে অতিথিদের অনুষ্ঠানস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথিদের মাতিয়ে রেখেছিলেন জনপ্রিয় ব্য্যন্ড দল- ম্যারন ৫। বর-কনে উভয়ই পরেছিলেন দামি পোশাক। ম্যাডেলিন, ডিওর হাউট কউচার গাউনে কনে সেজেছিলেন। অপেরা ডি প্যারিসের ডিজাইন করা সিঁড়ি, টেবিলস্কেপ, প্যাস্টেল এবং ম্যারি ডাগে হাতে আঁকা চীনামাটির বাসন প্রাচীন ফরাসি শিল্পকলার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। ম্যাডেলিন ব্রকওয়ের পরিবারের গাড়ির ব্যবসা রয়েছে। আর সম্প্রতি ল্যাগ্রোনের বিরুদ্ধে তিনজন পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। ফৌজদারি মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে পাঁচ বছরের জেল বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হতে পারে।

 

প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডলটন

৩৪ মিলিয়ন ডলার

ব্রিটিশ রাজপরিবারের আরেকটি ব্যয়বহুল বিয়ের পাত্র-পাত্রী প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডলটন। যারা ইংল্যান্ডের ভবিষ্যতের রাজা ও রানী। এই দম্পতি এখন প্রিন্স এবং প্রিন্সেস অব ওয়েলসের উপাধিতে রয়েছেন। ২০১১ সালে রাজকীয় এই বিয়েটি সম্পন্ন হয়েছিল। বিয়েতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৩৪ মিলিয়ন ডলার, যা একে এখন পর্যন্ত ব্যয়বহুল বিয়ের তালিকায় রেখেছে। বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইংল্যান্ডের লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে। রাজকীয় সব রীতিনীতি অনুসরণ ও অতিথি আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে বিয়েটি অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৩ সালে উইলিয়াম ও কেটের পরিচয়। দীর্ঘ ৯ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেমকাহিনীর পরিণয় ঘটে বিয়ের মাধ্যমে। সারা বিশ্বের ১৯০০ অতিথি বিয়ের আয়োজনে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ১৮৮টি দেশের ১৬০ মিলিয়ন দর্শক সরাসরি টেলিভিশনে দেখেছিলেন। ব্রিটেনের পাশাপাশি কানাডা ও কমনওয়েলথ দেশগুলোও ভবিষ্যৎ রাজা-রানীর বিয়ের অনুষ্ঠান উদযাপন করেছিল। জনপ্রিয় পপ গায়ক গায়ক এলি গোল্ডিং প্রিন্স উইলিয়ামের বিয়ের আয়োজনে পারফর্ম করেছিলেন। ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত রাজকীয় এই বিয়েটি ৭২ মিলিয়ন স্ট্রিমিং নিয়ে ‘একক অনুষ্ঠানের সর্বাধিক লাইভ স্ট্রিম’-এর জন্য ২০১২ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অর্জন করে।

 

প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল

৬৩ মিলিয়ন ডলার

২০১৮ সালে প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল বিয়ে করেছিলেন। তাদের এই বিয়ে সম্ভবত ব্রিটিশ রাজনীতিতে বেশ বদল আনতে পারে। পেশায় একজন আমেরিকান অভিনেত্রী এবং কৃষ্ণাঙ্গ হয়েও ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য হন মেগান মার্কেল। যাই হোক ৬০০ জন রাষ্ট্রীয় অতিথির সামনে উইন্ডসরের সেন্ট জর্জ চ্যাপেলে প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেলের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। বিয়েতে রাজপরিবারের সদস্য, রাজনীতিবিদ এবং অসংখ্য হলিউড তারকাসহ অগণিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন। রাজকীয় এই বিয়েতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৬৩ মিলিয়ন ডলার। কনে হিসেবে মেগান গিভেঞ্চির ক্লেয়ার ওয়েটের ডিজাইন করা একটি সিল্ক অর্গানজা গাউন বেছে নিয়েছিলেন। হোয়াইট গোল্ড এবং হীরার অলঙ্কারে নববধূকে সাজানো হয়েছিল। রাজকীয় এই বিয়ের অনুষ্ঠানে দুটি জনপ্রিয় ব্যান্ড দল, একটি অর্কেস্ট্রা দল পারফর্ম করেছিলেন।

 

প্রিন্স ফিলিপ ও লেটিজিয়া অরটিজ

৫৪ মিলিয়ন ডলার

২০০৪ সালে স্প্যানিশ বংশোদ্ভূত লেটিজিয়া অরটিজ স্পেনের উত্তরাধিকারী প্রিন্স ফিলিপের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। মাদ্রিদের আলমেডুনা ক্যাথেড্রালে রাজকীয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছিল। প্রায় ২৫ মিলিয়ন দর্শক টেলিভিশনে বিয়ের অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। ১ হাজার ২০০ জনের বেশি অতিথি এই জমকালো বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। বিয়েতে ৩৬টি রাজপরিবার এবং রাষ্ট্রপ্রধানরা আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রিন্সেস অরটিজ ৮ মিলিয়ন ডলারের গাউনে উপস্থিত হয়েছিলেন। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা উদ্যাপনের জন্য তৎকালীন সরকার এবং রয়্যাল হাউস যৌথভাবে ২৮ থেকে ৫৪ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছিল।

 

ব্রাহ্মণী জনার্ধন ও রাজীব রেড্ডি

৭৪ মিলিয়ন ডলার

সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভারতীয় বিয়েগুলোর মধ্যে এটি একটি। বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং বলিউড তারকাসহ ৫০ হাজার আমন্ত্রিত অতিথির উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়েছিল ব্রাহ্মণী জনার্ধন ও রাজীব রেড্ডির বিয়ে। খনি ব্যবসায়ী ও প্রাক্তন রাজনীতিবিদ গালি জনার্ধন রেড্ডির মেয়ে ব্রাহ্মণী রেড্ডি। অনুষ্ঠানেই ব্রাহ্মণী প্রায় ২.৩ মিলিয়ন ডলার মূল্যের লাল ও সোনার কাঞ্জিভরম শাড়িতে নজর কেড়েছিলেন। বিয়েতে মোট খরচ হয়েছিল ৭৪ মিলিয়ন ডলার। বেঙ্গালুরুর একটি বিশাল প্রাসাদে পাঁচ দিনের আয়োজনে হয়েছিল এই বিয়ে। নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ৩ হাজার নিরাপত্তাকর্মী এবং ৫০০ বাউন্সার। অতিথিদের জন্য ভাড়া করা হয়েছিল বিলাসবহুল হোটেল।

 

ইশা আম্বানি ও আনন্দ পিরামল

১০০ মিলিয়ন ডলার

আয়োজনের বৈচিত্র্য ও ব্যয়ের নিরিখে মুকেশ আম্বানির মেয়ে ইশা আম্বানির বিয়ে অন্য সব বিয়েকে ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৮ সালে কোটিপতি ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানির মেয়ে ইশা আম্বানি এক জমকালো অনুষ্ঠানে আনন্দ পিরামলকে বিয়ে করেন। বিয়ের অনুষ্ঠান উদয়পুর, লেক কোমো, ইতালিতে এবং শেষ পর্যন্ত আম্বানি পরিবারের মুম্বাইয়ের বাড়িতে হয়। একটি ডোলস অ্যান্ড গাবানা বাক্সে বিয়ের আমন্ত্রণপত্র অতিথিদের পাঠানো হয়েছিল। বিয়েপূর্ব অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেছিলেন পপ তারকা বিয়ন্সে। ফেভারিট শান এবং প্রীতমের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি অনেক শিল্পী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেন। বিয়েতে মোট খরচ হয়েছিল প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার।

 

প্রিভা সাদকে ও বিক্রম সাত্তাল

২০ মিলিয়ন ডলার

ভারতীয় আরেকটি ব্যয়বহুল বিয়ে হয় বিক্রম ছাত্তাল ও প্রিভা সাদকের। বিয়েতে খরচ হয় ২০ মিলিয়ন ডলার। বিক্রম ছাত্তালের বাবা নিউইয়র্কের হোটেল ব্যবসায়ী ও জেট সেটিংস-এর হোটেলিয়ার। প্রিভা সাদকে হলেন মডেল, অভিনেত্রী ও বিনিয়োগকারী। ২০০৬ সালে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আনুষ্ঠানিকতা হয়েছিল ভারতের তিন শহর মুম্বাই, উদয়পুর এবং দিল্লিতে। ভারতের ইতিহাসে এটি সম্ভবত দ্বিতীয় ব্যয়বহুল বিয়ে। বিক্রম-প্রিভার বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। এ ছাড়াও অনেক নামিদামি লোকজন অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ১০ দিনের আনুষ্ঠানিকতায় দেশ-বিদেশের ৬০০ অতিথি অংশ নিয়েছিলেন। তাদের আনা-নেওয়ায় ব্যবহার করা হয় প্রাইভেট বিমান।

 

হুয়াং জিয়াওমিং ও অ্যাঞ্জেলা ইয়েং

৩১ মিলিয়ন ডলার

বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিয়েতে নাম লেখান সিনেমা জগতের দুই শিল্পী। একজন হংকংয়ের মডেল, অভিনেত্রী ও গায়ক অ্যাঞ্জেলা ইয়ুং। যিনি ‘অ্যাঞ্জেলাবেবি’ নামে বেশি পরিচিত। অন্যজন চীনের অভিনেতা  হুয়াং জিয়াওমিং। ২০১৫ সালে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন। ক্যাভারনস সাংহাই কনভেনশনাল সেন্টারে সম্পন্ন হয়েছিল বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা। বিয়েপূর্ব ফিল্ম মেকিংয়ের স্থান হিসেবে এই দম্পতি বেছে নিয়েছিলেন ভালোবাসার নগরী প্যারিস। বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য ‘অ্যাঞ্জেলাবেবি’ একটি ক্রিশ্চিয়ান ডিওর গাউন পরেছিলেন। ফোর্বসের মতে, পোশাকটি তৈরি করতে পাঁচ মাস সময় লেগেছিল। হংকংয়ের বড় বড় সেলিব্রেটিসহ মোট ২ হাজার অতিথি বিয়ের আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন। ১০ ফুট লম্বা বিয়ের কেক ছিল বিয়ের অন্যতম আকর্ষণ। বিয়ের অনুষ্ঠানটি লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়েছিল। বিশাল আয়োজনে বিয়ে করা সত্ত্বেও ব্যাপক জনপ্রিয় এই দম্পতি অবশেষে ২০২২ সালে আলাদা হয়ে যান।

সর্বশেষ খবর