শিরোনাম
রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিশ্বসেরা দ্বীপ শহর

সমগ্র বিশ্বে লাখ লাখ দ্বীপ রয়েছে। আর ‘পৃথিবী’ নামক গ্রহের মহাসাগরগুলোতেই ভেসে আছে ২ হাজারেরও বেশি দ্বীপ। এসব দ্বীপে আবার গড়ে উঠেছে অসংখ্য ছোট-বড় শহর। যেগুলোর তাপমাত্রা, জলবায়ু এবং ঐতিহ্য সর্বদা পর্যটকদের টানে। জেনে নেওয়া যাক বিশ্বসেরা কয়েকটি দ্বীপ শহরের খবর...

বিশ্বসেরা দ্বীপ শহর

ঐতিহাসিক ছোট ছোট রাস্তা এবং গলির শহর ক্রোয়েশিয়ার ট্রোগির

প্রাচীন বন্দরনগরী হলো আজকের ক্রোয়েশিয়ার ট্রোগির

ক্রোয়েশিয়ার ঐতিহাসিক বন্দরনগরী ট্রোগির। মধ্যযুগীয় অসংখ্য স্মৃতি ধরে রাখার কারণে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ শহরটি বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হয়ে ওঠে। এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণ হলো- ঐতিহাসিক পুরাতন শহর। যা ছোট এই দ্বীপে অবস্থিত। দুটি সেতুর মাধ্যমে এখানে পৌঁছানো যায়। ক্রোয়েশিয়ার দ্বীপ ট্রোগিরের ইতিহাস দেখতে যেতে হবে খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে। এই শহরে রয়েছে গ্রিক, রোমান এবং ভেনিসিয়ান সংস্কৃতির প্রভাব। গোটা শহরের প্রায় প্রতিটি কোণে দেখার মতো কিছু রয়েছে। ১৩ থেকে ১৬ শতাব্দীর মধ্যে ট্রোগিরের আকর্ষণীয় ভবনগুলো তৈরি করা হয়। এসব মধ্যযুগীয় স্থাপনা এবং রাস্তাগুলো অনেকটা টাইম ট্রাভেলা হিসেবে কাজ করে। তাই তো শহরের ছোট ছোট রাস্তা ও গলির রাজ্যে যে কেউ হারিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু প্রকৃতির এত কাছাকাছি হারিয়ে গেলে খুব একটা মন্দ হবে না। পথে ট্রোগিরের মানুষের সাধারণ জীবনযাপনও পর্যটকদের মাঝে এনে দেবে মুগ্ধতা।

 

প্রাচীন সময়ের ছাপ এখনো বহন করছে বিশ্ব ঐতিহ্যের শহর মোজাম্বিক

পূর্ব আফ্রিকার রাজধানী শহর ছিল আজকের মোজাম্বিক

দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক। আজকের মোজাম্বিক শহরেরও রয়েছে বিশাল ইতিহাস। ৪০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পর্তুগিজরা এখানে শাসনকার্য চালিয়েছিল। ১৯৭৫ সালে মোজাম্বিকরা পর্তুগিজদের হাত থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে। মূলত পর্তুগিজদের উপনিবেশ থাকার সময় পূর্ব আফ্রিকার রাজধানী ছিল মোজাম্বিক। এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপের ভ্রমণকারী এবং ব্যবসায়ীদের অন্যতম বন্দরনগরী ছিল আজকের মোজাম্বিক শহর। যা তৎকালীন শহরটিকে বৈচিত্র্যময় এবং প্রাণবন্ত মহানগরে পরিণত করে। সে সময়ের ছাপ এখনো লেগে আছে শহরে। সেই সঙ্গে আছে ষোড়শ শতাব্দীর বেশ কিছু বিহার। দরিদ্র দেশ হলেও মোজাম্বিকের পর্যটন খাত বেশ ক্রমবর্ধমান। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য মোজাম্বিকের এই ছোট্ট সুন্দর শহরটি। দ্বীপ শহরটি সমগ্র বিশ্বে চিংড়ি রপ্তানির জন্য বিখ্যাত। এ ছাড়াও আশপাশের অসংখ্য বার এবং নাইট ক্লাবের পর্যটকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। 

 

বহু সংস্কৃতি এবং দুঃসাহসিক কার্যকলাপের আবাসস্থল

আমুদে ও খামখেয়ালির শহর ‘কি ওয়েস্ট’

জানা গেছে, ছোট ‘কি ওয়েস্ট’ দ্বীপটি আমেরিকার অন্যান্য পর্যটন শহরের তুলনায় অনেক বেশি লেখককে অনুপ্রাণিত করেছে...

‘কি ওয়েস্ট’, আমেরিকার দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্লোরিডার জনপ্রিয় পর্যটননগরী। যদিও ফ্লোরিডার চেয়ে ছোট শহরটি কিউবার কাছাকাছি অবস্থিত। যেখানে আগত দর্শনার্থীরা নিজেদের খামখেয়ালি মতো চলাফেরা করতে পারেন। অর্থাৎ ফুরফুরে মেজাজে ঘুরে বেড়ানোর স্বাধীনতা আছে এখানে। কেউ বাধা দেওয়ার নেই। আমেরিকার সর্বশেষ দক্ষিণের শহরটি চমৎকার সার্ফিং, প্রাণবন্ত নৈশজীবন, সৈকত, ওভারসিজ হাইওয়ে, ঐতিহাসিক স্থান এবং স্থাপত্যের জন্য বিখ্যাত। এখানে রূপকথায় শোনা রাজপ্রাসাদ যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে টিনের ছোট ছোট বাড়িঘরও। শহরের প্রতিটি রাস্তার পাশে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে পামগাছ। শতাব্দী থেকে শতাব্দীপ্রাচীন রাজপ্রাসাদ, ডুভাল স্ট্রিট, যে কোনো জায়গায় দোকান, বার এবং ক্যাফেগুলো আগত দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে। এটি মূলত বহু সংস্কৃতির আবাসস্থল। জনপ্রিয় এই শহরটি মজাদার সব রন্ধনশিল্প এবং ভ্রমণবিলাসীদের দুঃসাহসিক সব কার্যকলাপের জন্য বিখ্যাত। শহরজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পানশালা, ঔপন্যাসিক আর্নেস্ট হেমিংওয়ের স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছে এসব জায়গা।

 

এক সময়ের উজ্জ্বল নগরীর নীরব সাক্ষী হয়ে আছে জার্মানির লুবেক

মধ্যযুগের রাজধানী হিসেবে পরিচিত ছিল জার্মানির লুবেক

লুবেক ট্রেভ নদীর তীরে গড়ে ওঠা শহর। একে সব হ্যানসেটিক শহরের রানি বলা হয়। যা স্থানীয়দের কাছে বাল্টিক সমুদ্রবন্দর হিসেবে পরিচিত। জার্মানির উত্তরে শহরটির অবস্থান। ১১৪৩ সালে লুবেক সমুদ্রবন্দর  প্রতিষ্ঠা করা হয়। যা ছিল বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রথম দিকের বিখ্যাত বন্দরগুলোর একটি। জলে ঘেরা সাতটি টাওয়ার, পাঁচটি প্রধান গির্জাসহ শহরটি ১ হাজার বছরেরও বেশি অসংখ্য ঘটনাবহুল ইতিহাসের সাক্ষী। মধ্যযুগের রাজধানী হিসেবে যে ঐতিহ্য ছিল শহরটির তা কিছুটা ম্লান হয়েছে বটে কিন্তু এখনো আবেদন হারায়নি ট্রেভ নদীর তীরে গড়ে ওঠা এই শহর। যেন এক উজ্জ্বল সময়ের নীরব সাক্ষী। কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বন্দরটি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়। আজও এর পথে-প্রান্তরে মধ্যযুগীয় পরিবেশ, ঐতিহাসিক এবং তৎকালীন সংস্কৃতির আধিপত্য বিস্তর। যেমন- গথিক, রেনেসাঁ, বারোক, ক্লাসিস্ট ভবন, সরু গলি ও রাস্তা, গির্জা এবং মঠ তৎকালীন ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।

 

মালদ্বীপের রাজধানী ‘মালে’, একে ঘিরেই সমগ্র দেশের ব্যবসাবাণিজ্য

পর্যটকদের আনাগোনাই দ্বীপ শহরটির সৌন্দর্য

দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের রাজধানী মালে। সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য, নীল সমুদ্র এবং তালগাছের বিশাল সমারোহের কারণে শহরটি একটি অবশ্য-দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। শহরটি একদিকে ঐতিহাসিক স্থাপত্য এবং অন্যদিকে নীল ও সবুজে আবৃত। রাজধানী ঘিরেই পরিচালিত হয় পুরো দেশের ব্যবসাবাণিজ্য ও রাজনীতি। মানুষের চাপ বাড়ছে শহরটির ওপর। আর তাই গত ২০ বছরে এর জনসংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ব্যস্ততাই এই দ্বীপের সৌন্দর্য। মালের রাস্তার দুই পাশের রঙিন বাজারগুলো পর্যটকদের আকর্ষণ করে। জাতীয় জাদুঘরে গিয়ে দেশটির সমৃদ্ধ ঐতিহ্য সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যায়। সুন্দর সুন্দর দ্বীপ, মনোমুগ্ধকর সৈকত এবং পাঁচতারকা রিসোর্ট থাকায় দ্বীপ শহরটি সমগ্র বিশ্বের ভ্রমণপ্রিয় মানুষের ছুটি কাটানোর জন্য আদর্শ। সাদা বালির সৈকত, স্বচ্ছ পানি এবং নীল আকাশ এমনকি নারিকেল, সুপারি গাছসহ অসংখ্য গাছগাছালির জন্য মালদ্বীপের ‘মালে’ শহরটি বিখ্যাত।

 

নরওয়ের ট্রমসো শহরকে বলা হয় ইউরোপের প্যারিস

পুরনো বাড়িগুলো জানান দেয় শহরের বয়স

নিশীথ সূর্যের দেশ নরওয়ের ট্রমসো প্রাকৃতিকভাবে অপরূপ সৌন্দর্যের অধিকারী। যেখানে শহুরে ভাব থাকলেও মেরু অঞ্চলের সৌন্দর্য একই...

আর্কটিক হলো মেরু অঞ্চল। যার সব সৌন্দর্য নিয়ে আছে ট্রমসো নগরী। নরওয়ের ট্রমসো নগরীতে শহুরে ভাব থাকলেও মেরু অঞ্চলের সৌন্দর্য একই রকম। আর্কটিক সার্কেলের ২১৭ মাইল উত্তরে অবস্থিত হওয়ায় উত্তরের আলো দেখার জন্য ট্রমসোকে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শহরটিতে কানাডা, আলাস্কা, সাইবেরিয়ার মতো অতিরিক্ত ঠান্ডাও থাকে না, আবার আইসল্যান্ডের মতো ঝোড়ো বাতাসও থাকে না। তাই সহনীয় পরিস্থিতিতে আরামে উপভোগ করা যায় এই প্রাকৃতিক আশ্চর্য। নরওয়ের ট্রমসাভায়া শহরের জন্য অঞ্চলটি পৃথিবীজুড়ে বেশ বিখ্যাত। আর হবেই না কেন! এই শহরের শেষ মাথায় উঁচু পাহাড়, মাঝখানে বিশাল বড় হ্রদ। আর চারপাশ ঘিরে রয়েছে নদী। উত্তরের প্যারিস বলা হয়ে থাকে নরওয়ের ট্রমসো শহরকে। এ ছাড়াও কাঠের তৈরি অনেক পুরনো বাড়িঘর যেন শহরটির বয়স মনে করিয়ে দেয়। পোলার সেন্টার আর পোলার মিউজিয়াম পাবেন এখানে। এর সঙ্গে আছে ওয়্যার লিফটের সুযোগ। যার মাধ্যমে পর্যটকরা চমৎকার অ্যাডভেঞ্চারাস সময় কাটাতে পারেন।

 

অপরূপ সৌন্দর্যের মেক্সিকালটাটানকে বলা হয় মেক্সিকোর ভেনিস

অ্যাজটেক সম্প্রদায়ের হাত ধরে এই শহরের গোড়াপত্তন

মেক্সিকালটাটান উত্তর আমেরিকার দক্ষিণের দেশ মেক্সিকোর একটি দ্বীপ। যা অ্যাজটেক সভ্যতার উৎস হিসেবেও পরিচিত। প্রচলিত আছে, একাদশ শতাব্দীতে অ্যাজটেকরা এই শহরের গোড়াপত্তন করেছিল। অর্থাৎ এখান থেকেই মেক্সিকান জাতিগোষ্ঠীর জন্ম। প্রাচীন অ্যাজটেকদের সংস্কৃতির প্রভাব এখানে ভীষণভাবে দৃশ্যমান। স্থানটির ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য স্বীকৃতিস্বরূপ মেক্সিকালটাটান এক অনন্য উদাহরণ। এখানকার বাড়ি এবং হস্তশিল্প সমগ্র বিশ্বে সমাদৃত। কেননা, এই বাড়িগুলোও অ্যাজটেকদের ঐতিহ্য বহন করে আছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- টালি দিয়ে তৈরি বাড়ির ছাদ। এ রকম সারি সারি বাড়ি দাঁড়িয়ে আছে শহরজুড়ে। অপরূপ সৌন্দর্যের জন্য এই শহরকে বলা হয় মেক্সিকোর ভেনিস। মূলত শহরের অদ্ভুত রাস্তাগুলোর জন্য মেক্সিকালটাটান ‘মেক্সিকান ভেনিস’ নামে পরিচিতি পেয়েছে। বৃষ্টির দিনে পথের হদিস থাকে না। তখন নৌকা ভাসে শহরের রাজপথে।

 

পৃথিবীর সবচেয়ে জনাকীর্ণ দ্বীপ কলম্বিয়ার সান্তা ক্রুজ দেল আইস্লোট

কলম্বিয়ার এই দ্বীপের আয়তন মাত্র আড়াই একর

সান্তা ক্রুজ দেল আইস্লোট ক্যারিবীয় সাগরের কলম্বিয়ান উপকূলের ছোট্ট একটি দ্বীপ। যা পৃথিবীর অন্য কোনো দ্বীপের মতো নয়। জানা গেছে, অতীতে জনবসতিহীন দ্বীপপুঞ্জটি ছিল সুরক্ষিত ম্যানগ্রোভ, প্রবাল প্রাচীর, রঙিন পাখি এবং সামুদ্রিক কচ্ছপের আবাসস্থল। বলা হয়- সান্তা ক্রুজ দেল আইস্লোট পৃথিবীর সবচেয়ে জনবসতিপূর্ণ দ্বীপ। যার আয়তন মাত্র আড়াই একর কিন্তু এখানে বসবাস করে ১ হাজার ২০০ মানুষ। এক শতাব্দীরও বেশি আগে এই দ্বীপে জেলেরা বসতি স্থাপন করে। বছরের পর বছর ধরে তাদের পরিবার বৃদ্ধি পেতে থাকে। যাদের বেশির ভাগই দ্বীপ ছেড়ে যায়নি। কথিত আছে, বাসিন্দারা মাত্র ছয়টি ভিন্ন উপাধি বহন করে। সবুজ, হলুদ এবং নীল রঙের ঘরগুলোয় বাসিন্দারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম বসবাস করে আসছে। এখানে হাসপাতাল, নর্দমা ব্যবস্থা, পুলিশ বা বিদ্যুৎ নেই। আছে একটি গির্জা, স্কুল, বেশ কয়েকটি দোকান এবং রেস্তোরাঁ। এখানে কোনো সহিংসতা, অপরাধ বা কুসংস্কার নেই। তবু সব সময় প্রাণবন্ত এই দ্বীপ।

 

কয়েক শতাব্দীর বেশি পুরনো জার্মানির লিনদাউ বেশ শান্ত প্রকৃতির শহর

সমুদ্রকে ঘিরে আজকের বন্দরনগরী লিনদাউ

কয়েক শতাব্দীর পুরনো লিনদাউ জার্মানির লেক কনস্ট্যান্সের একটি দ্বীপ। যা মাত্র ৭০ হেক্টরজুড়ে অবস্থিত। এর মূল ভূখণ্ডে রয়েছে লেক সাইড এলাকা। এর আশপাশের রাস্তাগুলোয় হাঁটতে হাঁটতে আকাশটাকে অনেক কাছের মনে হবে। সমুদ্রকে কেন্দ্র করে বন্দর গড়ে উঠেছে। অসংখ্য ক্যাফে বন্দরনগরীর সামুদ্রিক কার্যক্রম দেখার জন্য আদর্শ জায়গা। শত ব্যবসায়িক ব্যস্ততার মাঝেও আশ্চর্য শান্ত একটা রূপ রয়েছে লিনদাউয়ের। যেখানে আছে পুরনো ভবন, প্রাণবন্ত স্ক্যায়ার বা গোলচত্বর এবং স্থানীয় গলিপথ। আর সবকিছুই লেক কনস্ট্যান্সের পরিবেশকে আরও বেশি প্রাণবন্ত করে তুলেছে। যা বরাবরই আগত পর্যটকদের বেশ রোমাঞ্চিত করে। লিনদাউয়ের বারোকে রয়েছে বিখ্যাত সিটি মিউজিয়াম, যেখানে প্রায়শই শিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন হয়। আছে লিনদাউ থিয়েটার, যেখানে নানা প্রদর্শনীর আয়োজন হয়ে থাকে। এটি পাপেট অপেরার আবাসস্থলও। যা এই অঞ্চলের বাইরে খ্যাতি অর্জন করেছে।

 

দক্ষিণ ব্রাজিলের আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত ফ্লোরিয়ানোপোলিস

একটি দ্বীপেই ৪২টি সমুদ্রসৈকত!

ফ্লোরিয়ানোপোলিস একটি বন্দর শহর যা সান্তা ক্যাটারিনা ইস্তাদো (রাজ্য) কিংবা দক্ষিণ ব্রাজিলের রাজধানী হিসেবে পরিচিত। শহরটি ব্রাজিলিয়ানদের কাছে সপ্তাহান্তের অবসর উদযাপনের ‘সেরা স্থান’। এ কারণে শহরটিকে বলা হয় দক্ষিণ ব্রাজিলের মানুষদের ‘আবাসস্থল’। যা প্রাচীন এবং আধুনিকতার সংমিশ্রণে তৈরি এক মেগাসিটি। অনেকে ফ্লোরিয়ানোপোলিসকে ব্রাজিলের ‘ম্যাজিক দ্বীপ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই দক্ষিণ আমেরিকান পর্যটকরা অন্তত একবার হলেও ব্রাজিলের ফ্লোরিয়ানোপোলিসে বেড়াতে যেতে চাইবেন। আর যাবেই না কেন? এই একটি দ্বীপেই রয়েছে ৪২টি সৈকত! আর রয়েছে বনভূমি। ঐতিহাসিক স্থানগুলোর মধ্যে আছে- ১৬ শতকের পুরনো ঔপনিবেশিক দুর্গ। এককথায় দক্ষিণ ব্রাজিলের ফ্লোরিয়ানোপোলিস শহরটি তার নিখুঁত সমুদ্রসৈকত, চমৎকার সার্ফিং, আধুনিক পার্ক, মজাদার সামুদ্রিক খাবার এবং কেনাকাটার জন্য বিখ্যাত।

 

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর