বুধবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

লড়াই হবে রাঙ্গা-বাবলুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

লড়াই হবে রাঙ্গা-বাবলুর

নির্বাচন সামনে রেখে আলাপ-আলোচনা ও প্রচারণায় তুঙ্গে রংপুর-১ আসন। এ আসনে (গঙ্গাচড়া-আংশিক সিটি) মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, ঐক্যফ্রন্টের শাহ মো. রহমত উল্লাহ,  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোক্তার হোসেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ইশা মোহাম্মদ সবুজ এবং স্বতন্ত্র সি এম সাদিক ও আসাদুজ্জামান বাবলু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

২০১৪ সালের নির্বাচনে এখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হন বর্তমান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা। এবারও লাঙল প্রতীক নিয়ে তিনি মহাজোটের প্রার্থী। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে অন্যতম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু। মহাজোট থেকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হয়ে মোটরগাড়ি প্রতীকে নির্বাচন করছেন তিনি।

বিএনপি ও জামায়াতের অবস্থান গঙ্গাচড়ায় ততটা সুদৃঢ় নয়। সাংগঠনিক দুর্বলতা ও নেতৃত্বহীনতায় বিএনপি প্রায় ‘উধাও’। এ আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থী পাননি মনোনয়ন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনয়ন দিয়েছে নাগরিক ঐক্যের শাহ রহমত উল্লাহকে; যার তেমন পরিচিতি নেই, ভিত্তিও নেই। ফলে বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীরা হতাশ। এ অবস্থায় গঙ্গাচড়ার ভোটারদের অভিমত, ভোটের লড়াইয়ে এগিয়ে আছেন রাঙ্গা ও বাবলু। দুই প্রার্থীর মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতারও আভাস পাওয়া গেল নানা শ্রেণির মানুষের কথায়। গঙ্গাচড়ার বিভিন্ন লোক জানায়, উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত সাত ইউনিয়নের ৩৩টি চরাঞ্চলের মানুষ নির্বাচনের ফলাফলে গড়ে দিতে পারে ব্যাপক পার্থক্য। আর এসব চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের কাছে বাবলুর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগত্য লক্ষণীয়। জয়রামওঝা চরের বাসিন্দা কেরামত আলী। নির্বাচন প্রসঙ্গ উঠতেই তার এক কথায় জবাব, ‘হামার এলাকার ছাওয়া (সন্তান) বাবলু। এবার সে রাঙ্গাকে কাহিল করি ফেলাইবে।’ অন্যদিকে শংকরদহ চরের বাসিন্দা ইসহাক আলী বলছিলেন, ‘নাঙ্গলই তো হামার মার্কা। ভোট তো এবারও রাঙ্গা পাস করবে।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর