শিরোনাম
শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ প্রতিদিন দ্বিগুণের বেশি বিক্রি হয়

মো. ইজাহার আলী, সংবাদপত্র পরিবেশক, যশোর, সভাপতি, সংবাদপত্র এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, খুলনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

বাংলাদেশ প্রতিদিন দ্বিগুণের বেশি বিক্রি হয়

সংবাদপত্র শিল্পে আপনি কত বছর কাজ করছেন?

আমি যশোরে ৬৬ বছর ধরে সংবাদপত্র পরিবেশক হিসেবে কাজ করছি। ১৯৫৮ সালে শুরু। তখন দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক আজাজ ও দৈনিক সংবাদ পত্রিকা বেশি চলতো। ইংরেজি পত্রিকার মধ্যে চলতো অবজারভার আর মর্নিং নিউজ। উর্দু ভাষার পত্রিকা আসতো পাসবান। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আসতো জং এবং ডন। ডন পত্রিকার ইংরেজি ও গুজরাটি সংস্করণ আসতো। সব পত্রিকার দাম ছিল দুই আনা।

সংবাদপত্র শিল্পে বর্তমান চ্যালেঞ্জ নিয়ে আপনার মতামত কী?

সংবাদপত্র শিল্পের এখন শোচনীয় অবস্থা। মানুষের মধ্যে পত্রিকা পড়ার আগ্রহ কমে গেছে। প্রতি মাসেই দুই-তিনজন করে হকার চলে যাচ্ছে। এ মাসেও দুজন হকার চলে গেছে। তারা অন্য কাজ খুঁজছে। পত্রিকার বিক্রি কমে যাওয়ায় ২০০-২৫০ টাকার বেশি আয় করা যাচ্ছে না। এ টাকা দিয়ে এখন সংসার চলে না। বাধ্য হয়ে অন্য কাজ খুঁজছে তারা।

অনেকেই দুইটা করে পত্রিকা রাখতো। একটা বাংলা ও একটা ইংরেজি পত্রিকা রাখতো কেউ কেউ। তারা এখন একটা পত্রিকা রাখছে। অনেকে পত্রিকা রাখাই বন্ধ করে দিয়েছে। বিভিন্ন কারণে এরকম অবস্থা তৈরি হয়েছে। এখন ইন্টারনেটের কারণে পাঠক রাতের মধ্যেই সব নিউজ পড়ে ফেলছে। সকালে পত্রিকা পড়ার আগ্রহ আর থাকছে না। পত্রিকার দাম বেড়েছে অনেক। মধ্যবিত্তের মাসিক খরচ কমানোর প্রথম খড়গ পত্রিকার ওপরই পড়ছে।

এই শিল্প কীভাবে টিকে থাকবে বলে আপনি মনে করেন?

এখন পত্রিকার প্রিন্ট সংস্করণ টিকিয়ে রাখতে হলে অনেকগুলো বিষয় সমন্বয় করতে হবে। হকার এবং এজেন্টরা পত্রিকা বিক্রি করে যাতে সংসার চালাতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। আবার পত্রিকার দাম মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যে রাখতে হবে। বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে হবে। ইন্টারনেট সংস্করণের সংবাদে থাকে না এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রিন্ট সংস্করণে দিতে হবে। এ বিষয়গুলো সমন্বয় করতে পারলে পাঠক পত্রিকা পড়বে।

বর্তমানে এই শিল্পে বাংলাদেশ প্রতিদিনের অবস্থান কী?

পত্রিকা বিক্রি আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেলেও বাংলাদেশ প্রতিদিনের ওপর এর প্রভাব একটু কমই পড়েছে। যশোরে বরাবরের মতো এখনো দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা পত্রিকার চেয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিন দ্বিগুণেরও বেশি বিক্রি হয়। আমার এজেন্সি শিপে বাংলাদেশ প্রতিদিন ২৩০০ থেকে ২৪০০ কপি বিক্রি হয় প্রতিদিন। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা প্রথম আলো বিক্রি হয় ৯২০ কপি। এছাড়া আজকের পত্রিকা ২২০ কপি, নয়াদিগন্ত ১৩৫ কপি, কালের কণ্ঠ ১১৫ কপি, বণিক বার্তা ১০০ কপি, ডেইলি স্টার ১১৫ কপি, আমাদের সময় ৯০ কপি, সমকাল ৯০ কপি, যুগান্তর ৭২ কপি, ইত্তেফাক ৭০ কপি, ইনকিলাব ও জনকণ্ঠ ৫০ কপি করে এবং কালবেলা ৪৫ কপি বিক্রি হয়। যশোর শহরের অন্য আরেকটি এজেন্সি শিপ থেকেও একই রকম বিক্রি হয়। বাংলাদেশ প্রতিদিন দীর্ঘদিন ধরেই তার গ্রহণযোগ্যতা ধরে রেখেছে।

সর্বশেষ খবর