শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার

পাকিস্তান আমলের চেয়ে দেশে এখন সাংস্কৃতিক সংকট প্রকট

বদরুদ্দীন উমর

পাকিস্তান আমলের চেয়ে দেশে এখন সাংস্কৃতিক সংকট প্রকট

বদরুদ্দীন উমর। লেখক-গবেষক ও বামপন্থি রাজনীতিক। জন্ম ১৯৩১ সালের ২০ ডিসেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান শহরে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৩ সালে স্নাতক সম্মান ও ১৯৫৫ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। উমর ১৯৬১ সালে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিপিই ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরে আসেন এবং ১৯৬৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। গভর্নর মোনায়েম খানের স্বৈরতান্ত্রিক আচরণের প্রতিবাদে ১৯৬৮ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন এবং সার্বক্ষণিক লেখালেখিতে আত্মনিয়োগ করেন। বর্তমানে ৯৩ বছর চলছে এই গুণী মানুষটির বয়স। তাঁর সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে তাঁর শিক্ষাজীবন, রাজনৈতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক ভাবনা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- হাসান ইমন

 

প্রশ্ন : ভাষা আন্দোলন নিয়ে আপনার ব্যক্তিগত স্মৃতি জানতে চাই।

বদরুদ্দীন উমর : আমি ভাষা আন্দোলনের নেতা থাকা দূরের কথা কোনো কর্মীই ছিলাম না। আমি ছিলাম প্রত্যক্ষদর্শী ও অংশগ্রহণকারী। কর্মী বা নেতা নয়, সাধারণ অংশগ্রহণকারী। ভাষা আন্দোলন নিয়ে ঢাকা শহরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ-সবখানে আমি ছিলাম। বিশেষ করে ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে পরবর্তী সবকটি প্রতিবাদ অনুষ্ঠানে আমি থাকতাম। কারণ আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। বর্ধমান জেলায় ও এখানে রাজনীতির সঙ্গে আলাদা একটা সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এখানকার অবস্থানের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক ছিল না। এখানে যেন রাজনীতিক পরিচয় হয় সেজন্য বিভিন্ন মিটিংয়ে যেতাম। এখানকার আন্দোলন কী হচ্ছে, আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি কী, লোকেরা কী চিন্তাভাবনা করছে এসব জানার জন্য। তবে ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব পর্যায়ে কোনো ভূমিকা পালন করিনি। আমাকে অবলোকনকারী বলা যায়। ২১-২২ তারিখসহ ফেব্রুয়ারির পরবর্তী দিনগুলোয় সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সব ঘটনায় আমি প্রত্যক্ষদর্শী। তবে ২১ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থান ছিল ভয়াবহ। এ অভ্যুত্থানের মূল শক্তি ছিল পুরান ঢাকার বাসিন্দারা। পুরান ঢাকার হাজার হাজার লোকই মাঠে নেমেছিল। তারাই তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে বড় আন্দোলন করেছিল। তাদের ভয়ে পুলিশ-মিলিটারি তটস্থ ছিল। সব ঘটনায় আমি ছিলাম প্রত্যক্ষদর্শী।

প্রশ্ন : স্বাধীন হওয়ার আগে পূর্ব বাংলার অবস্থা কেমন ছিল?

- পঞ্চাশের দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। ওই সময় ঢাকায় এসেছিলাম। ঢাকায় এসে দেখি রাজনৈতিক দিক থেকে খুব উত্তপ্ত। কিছুদিন রাজনীতি প্রত্যক্ষ করলাম। এরপর ষাটের দশকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করলাম। কিছুদিন চট্টগ্রাম কলেজেও শিক্ষক হিসেবে ছিলাম। তখনকার যে রাজনীতি ছিল, সেটা ছিল পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। পাকিস্তান একটা রাষ্ট্র হলেও পূর্ব পাকিস্তান ছিল পাকিস্তানের একটি অভ্যন্তরীণ কলোনি। কারণ পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের দূরত্ব ছিল ১ হাজার কিলোমিটার। এ দূরবর্তী অঞ্চলে তারা শোষণ, নির্যাতন করত। উদ্বৃত্ত হরণ করত, জনগণের সম্পদ পূর্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে চালান করত। এটাকে অনেকে কলোনি মনে করলেও বস্তুত এটা ছিল আঞ্চলিক শোষণ এলাকা। আঞ্চলিকভাবে এ দেশে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে অনেক বেশি নির্যাতন হতো। দেশের অভ্যন্তরীণ একটি আন্দোলন পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। ওই সময়ের রাজনীতি আর বর্তমান রাজনীতির মধ্যে অনেক পার্থক্য।

প্রশ্ন : স্বাধীনতাযুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা কী ছিল? স্বাধীন হওয়ার পর দেশের অবস্থা কেমন ছিল?

- স্বাধীনতাযুদ্ধে দেশের রাজনৈতিক দলের কারও ভূমিকা ছিল না। খোদ আওয়ামী লীগেরও ভূমিকা ছিল না। যেহেতু আওয়ামী লীগ উৎপাদনশীল অংশের প্রতিনিধি ছিল না। এটি ১৯৪৯ সাল থেকে উকিল, মোক্তার, দোকানদার, সরকারি কর্মচারী, ছাত্র, বেকারদের নিয়ে গঠিত দল। উৎপাদনের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না। তারা প্রথম দিকে ছিল মুসলিম লীগে। পরে আইয়ুব খানের সঙ্গে ছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশে যে সম্পদ ছিল সেটা লুটপাট করেছে। বিশেষ করে যারা উর্দুভাষী ছিল তাদের ওপর ব্যাপক লুটপাট, নির্যাতন ও শোষণ করেছে। তাদের সম্পদ এমনভাবে কেড়ে নেওয়া হলো তারা ফকিরে পরিণত হলো। অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। একই সঙ্গে ওই সময় যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল না, তাদের সম্পদও লুটপাট হলো। সমাজতন্ত্রের নামে শিল্পব্যবসা জাতীয়করণ হলো। এ জাতীয়করণের নামে লুটপাট করা হলো। এটা গোপন ছিল না। তখনকার পত্রিকায় লুটপাটের ঘটনাটি এসেছে। একই সঙ্গে দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় বাম রাজনৈতিক দলগুলো রাশিয়া ও চীনপন্থি ছিল। রাশিয়াপন্থিরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গিয়েছিল। আর চীনপন্থিদের যে দল ছিল তাদের দেউলিয়াপনার শেষ ছিল না। তারা দেশের অবস্থা বিবেচনা না করেই চীনের কথায় এ দেশের লড়াইকে দুই কুকুরের লড়াই বলে নিজেদের কলঙ্কিত করেছে। এভাবে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে দলগুলো বিভক্ত হয়ে বিলুপ্তির পথে। তাদের নেতা-কর্র্মীরা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিলেন। দেশ স্বাধীনের দায়িত্ব ভারতের ওপর ছেড়ে দিলেন। এবং শেষ পর্যন্ত ভারতীয় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ১৬ ডিসেম্বর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। স্বাধীন হওয়ার পরই দেশে লুটতরাজ শুরু হয়েছিল। রক্ষীবাহিনীর নামে একটা বাহিনী তৈরি হলো। যে বাহিনী ব্যাপক হারে গ্রাম ও শহরাঞ্চলে মানুষের ওপর অনেক নির্যাতন করেছে। তাদের ক্যাম্পগুলোয় মানুষকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করেছিল। সেটা তাদের দরকার ছিল না। কারণ ওই সময় আওয়ামী লীগের ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল। কিন্তু তারা সামান্যতম বিরোধিতাও সহ্য করতে পারত না। কেউ সামান্য বিরোধিতা করলেই গ্রেফতার করা হতো। নির্যাতন করা হতো, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হতো।

প্রশ্ন : রাজনীতিতে ছাত্রদের ভূমিকা কেমন?

- পাকিস্তান আমলে ছাত্র আন্দোলনের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। ছাত্রসমাজসহ ছাত্র সংগঠনগুলো রাজনৈতিক চুরিতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। তখন থেকে ছাত্রসমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হয়েছে। তাদের সামনে অনেক সুযোগসুবিধা চলে এলো। তবে আশির দশকে কিছু ছাত্র আন্দোলন ছিল এরশাদকে হটানোর জন্য। রাজনৈতিক দলের পক্ষ হয়ে তারা মাঠে ছিল। ১৯৯১ সালে যখন বিএনপি ক্ষমতায় আসে তখন থেকে ছাত্র রাজনীতি পুরোই পরিবর্তন হয়ে যায়। শুরু হয় হল দখলের রাজনীতি। আমাদের সময় হলে রাজনীতি ছিল মিটিং-মিছিল ও বাক্যবিনিময়। এ রকম নোংরা রাজনীতি ছিল না। বিএনপির শাসনামলে শুরু হলো হল ও ক্যাম্পাস দখল। সেই শুরু। এখন আরও ভয়াবহ। তখনকার রাজনীতির সঙ্গে বর্তমান সময়ের রাজনীতির আরেকটা পার্থক্য হলো, সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন হলেও দলের নেতাদের প্রশাসনের ওপর এত নিয়ন্ত্রণ ছিল না। এখন সরকারি দলের নেতাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে পুলিশ প্রশাসনসহ রাষ্ট্রযন্ত্রের। ফলে তখনকার রাজনীতির সঙ্গে বর্তমান রাজনীতির বিরাট পার্থক্য।

প্রশ্ন : পাকিস্তান আমলে আপনি যে সংস্কৃতির সংকটের কথা লিখেছিলেন, সে সংকট তো আরও বিস্তৃত হয়েছে। এ ব্যাপারে আপনার পর্যবেক্ষণ জানতে চাই।

- তখনকার সংস্কৃতির যে সংকট ছিল তার মূলে ছিল সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রনীতি। পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে বাঙালি সংস্কৃতির একটা প্রতিরোধ। আর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ছিল তার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। তখন যে সংস্কৃতির সংকট ছিল-পাকিস্তানিরা বলত, ‘আমরা মুসলিম’; আর এ দেশের মানুষ বলত, ‘প্রথমত আমরা বাঙালি পরে মুসলমান’। সেই থেকে সংস্কৃতির দ্বন্দ্ব। বাংলাদেশ হওয়ার পর এর একটা অবসান হলো। এ দেশে বাঙালির একটা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলো। এ রাষ্ট্র স্থাপিত হওয়ার পর যে নতুন সংকট দেখা দিল এর সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার কোনো সম্পর্ক নেই। বলা হয়, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা আছে। অথচ এ সাম্প্রদায়িকতা ১৯৪৭ সালে শেষ হয়ে গেছে। হিন্দুদের যে আধিপত্য ছিল সেটা শেষ হয়ে গেছে। তবে বাংলাদেশে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ছাড়া কোনো সাম্প্রদায়িক দল নেই। মুসলমানদের কোনো দল নেই। জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন-এগুলো মৌলবাদী সংগঠন। তারা চায় দেশে ইসলামী আইন কায়েম হোক। তারা সমাজতন্ত্রবিরোধী কিন্তু হিন্দুবিরোধী নয়।

প্রশ্ন : দেশে সাম্প্রদায়িকতা আছে কি?

- ১৯৭২ সালে যে রাষ্ট্র হলো সেখানে শুধু মুসলমান নয়, হিন্দুরাও শাসক শ্রেণিতে রূপ নিল। এ দেশে হিন্দু, সাঁওতাল, গারো, হাজং, মণিপুরিসহ যেসব সংখ্যালঘু সম্প্রদায় রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভালো অবস্থানে হিন্দুরা। কারণ তারা এ দেশের শাসক শ্রেণি। পশ্চিম বাংলায় ৩৫ ভাগ মুসলমান। কিন্তু তাদের জন্য চাকরি হচ্ছে ২ শতাংশ। আর এ দেশে হিন্দুর সংখ্যা ৯-১০ শতাংশ। কিন্তু তাদের চাকরি ১০ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে সচিব, পুলিশসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে কর্মরত রয়েছে। একই সঙ্গে ব্যবসায়ী, ডাক্তার, সংস্কৃতি কর্মীসহ সব জায়গায় তাদের বিচরণ। ভারতীয় টেলিভিশনে কোনো মুসলমানের নাম দেখবেন না। কিন্তু এখানে দেখেন সাংবাদিকতা বা মিডিয়া, শিক্ষকতাসহ সব সেক্টরে তাদের অবাধ বিচরণ। তাহলে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র কোনটা-ভারত নাকি বাংলাদেশ? দেশে ছোটখাটো কোনো কিছু ঘটলে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ হাও হাও শুরু করে। যদিও এগুলো সাধারণ মানুষ করছে না। এগুলো করছে লুটপাটকারীরা। অথচ ভারতে মুসলমানদের ওপর ব্যাপকভাবে নির্যাতন হচ্ছে। এ দেশে হিন্দুদের পরে অবস্থান চাকমাদের। এ সম্প্রদায়ের কিছু লোক সরকারি চাকরিতে রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থায় রয়েছে উর্দু ভাষার লোকেরা। তাদের কোনো চাকরি ও ব্যবসা নেই। উগ্র বাঙালিদের দেশে সবচেয়ে নির্যাতিত হচ্ছে উর্দুভাষীরা। এখন তাদের বলা হয় ক্যাম্পবাসী।

প্রশ্ন : বর্তমান বাস্তবতায় সমাজতন্ত্র নিয়ে আপনার ভাবনা কী?

- বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মানুষ লড়াই করবে সেটা অবাস্তব চিন্তা। যেখানে গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য মানুষ লড়াই করছে, ভোট দিতে পারবে কি না তা নিয়ে লড়াই চলছে; সেখানে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চিন্তা খুব একটা আমল পাবে মনে করার কোনো কারণ নেই। আগে মানুষ সমাজের চিন্তা করত। ঘরে বসে, বাইরে বেরিয়ে কিছু লোক মিলে সংগঠন করে সমাজ প্রতিষ্ঠার চিন্তা করত। এখন এ অবস্থায় সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে এটা ভাবার নয়। আর এখন বাম রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে অনৈক্য সেটা মৌলিক রাজনৈতিক দলের হতে পারে না। এটা এক ধরনের খেয়োখেয়ি বলা যেতে পারে। বাস্তবিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে কোনো সম্পর্ক নেই। জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের মধ্যে ক্ষমতার কোনো লোভ নেই। তাদের মধ্যে কিছু নেতা সরকারি দলের সঙ্গে ইন্ধন দিয়ে চলেন। এদের মেরুদন্ড বলতে কিছু নেই। তবে এ অবস্থায় সমাজতন্ত্র শেষ হয়ে যাবে তা নয়। পুঁজিবাদ দুনিয়ায় টিকে থাকার জন্য আসেনি। আমেরিকা-ইউরোপের দেশগুলোয় পুঁজিবাদবিরোধী সমাজতন্ত্রিক আন্দোলন শুরু হবে।

প্রশ্ন : এখন আপনার বয়স ৯৩ বছর চলছে। দুটি শতাব্দীর পালাবদলের সাক্ষী আপনি। এ দীর্ঘ জীবন কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

- যে জগতে আমি জন্মগ্রহণ করেছি, যাওয়ার সময় অনেক খারাপ একটা দুনিয়া রেখে যাব।

সর্বশেষ খবর