শিরোনাম
শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
যুদ্ধ সাংবাদিকতা

ফিলিস্তিন যুদ্ধ ও এ কালের যুদ্ধ সাংবাদিকতা

মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি

ফিলিস্তিন যুদ্ধ ও এ কালের যুদ্ধ সাংবাদিকতা

বিশ্বের বুকে যুদ্ধ হয়নি বা হচ্ছে না এমন কোনো তারিখ নেই ক্যালেন্ডারের পাতায়। এসব যুদ্ধের প্রভাব অধিকাংশ ক্ষেত্রে দুটি পক্ষ বা দুই দেশের গন্ডি পেরিয়ে আঞ্চলিক এমনকি বৈশ্বিক আঙিনায়ও উত্তাপ ছড়ায়। উদাহরণস্বরূপ সাম্প্রতিক ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কথা বলা যায়, যার প্রভাবে বিশ্বের প্রায় সব দেশের অর্থনীতিই কোনো না কোনোভাবে ঝাঁকুনি খেয়েছে। তাই যুদ্ধের খবর প্রায়ই প্রাধান্য দেন গণমাধ্যমের নেপথ্যের কারিগররা। যুদ্ধকালে অনেক ক্ষেত্রে গণমাধ্যম এমনই জনমত সৃষ্টি করে যে, তা যুদ্ধের গতিপ্রকৃতিতেও পরিবর্তন ঘটায়। তাই যুদ্ধের সংবাদ প্রতিনিয়ত পড়তে হয় যুগপৎ সরকার এবং মিডিয়া হাউসের সেন্সর, সেলফ সেন্সর কিংবা এজেন্ডা সেটিংয়ের কবলে।

 

অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের মতো গণমাধ্যম তথা মিডিয়াও আজ আমাদের জীবনের নিত্যপ্রয়োজনীয় উপাদানে পরিণত হয়েছে। ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের পিএসজি কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের দুই অধ্যাপক ও গবেষক ড. কে লোকেশ্বরী ও ড. ঐশ্বরিয়া এস এস ২০২০ সালের এক গবেষণায় দেখিয়েছেন কীভাবে গণমাধ্যম আজ আমাদের দেহ ও সমাজে অক্সিজেনের মতো অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। মূল কারণ হিসেবে তাঁরা মনে করেন, এ যুগের মানুষ এখন কেবল নিজের চরকায় তেল দিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে চায় না। সবার খবরাখবর ও অন্য সব ধরনের তথ্য জানতে চায় এবং সে তথ্য ব্যবহার করতে চায় নিজের স্বার্থে বা প্রয়োজনে। তাই গণমানুষের চাহিদা মোতাবেক এ তথ্যের জোগান দিতে খবরের সন্ধানে ছুটে বেড়ান গণমাধ্যমকর্মীরা। তাঁদেরই কেউ যখন বিনোদন জগতের রঙিন আলোর নিচে আলোকিত কিংবা খেলার মাঠে উল্লাসে আলোড়িত হন, ঠিক তখনই অকুতোভয় আরেকদল জীবনের মায়া বিসর্জন দিয়ে ছুটে বেড়ায় যুদ্ধ ক্ষেত্রে বা সংঘাতপূর্ণ এলাকায়।

বিশ্বের বুকে যুদ্ধ হয়নি বা হচ্ছে না এমন কোনো তারিখ নেই ক্যালেন্ডারের পাতায়। এসব যুদ্ধের প্রভাব অধিকাংশ ক্ষেত্রে দুটি পক্ষ বা দুই দেশের গন্ডি পেরিয়ে আঞ্চলিক এমনকি বৈশ্বিক আঙিনায়ও উত্তাপ ছড়ায়। উদাহরণস্বরূপ সাম্প্রতিক ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কথা বলা যায়, যার প্রভাবে বিশ্বের প্রায় সব দেশের অর্থনীতিই কোনো না কোনোভাবে ঝাঁকুনি খেয়েছে। তাই যুদ্ধের খবর প্রায়ই প্রাধান্য দেন গণমাধ্যমের নেপথ্যের কারিগররা। যুদ্ধকালে অনেক ক্ষেত্রে গণমাধ্যম এমনই জনমত সৃষ্টি করে যে, তা যুদ্ধের গতিপ্রকৃতিতেও পরিবর্তন ঘটায়। তাই যুদ্ধের সংবাদ প্রতিনিয়ত পড়তে হয় যুগপৎ সরকার এবং মিডিয়া হাউসের সেন্সর, সেলফ সেন্সর কিংবা এজেন্ডা সেটিংয়ের কবলে। কখনো কখনো এ নিয়ন্ত্রণ এমন পর্যায়ে যায় যে, ২০০২ সালে টেক্সাসের ম্যাক স্কুল অব বিজনেস পরিচালিত গবেষণামতে সংবাদকর্মীদের সংগৃহীত ৭৫ শতাংশ সংবাদই কখনো আর জনসম্মুখে আসে না। এ প্রবণতার বিপরীতে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সরাসরি বা লাইভ সম্প্রচার। তবে যুদ্ধ ক্ষেত্রে বা সংঘাতময় এলাকা থেকে এমন লাইভ সম্প্রচারের চড়া মূল্য দিতে হয় মিডিয়া কর্মীদের।

দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, সাম্প্রতিক ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে সংবাদ ও তথ্যের সন্ধানে ছুটে চলা সংবাদকর্মীরা নিজেরাই সংবাদের শিরোনাম হয়ে চলেছেন। বরাবরই সংবাদকর্মীরা শারীরিক ও মানসিক আক্রমণ, ভীতিকর পরিস্থিতি এমনকি গুম ও মৃত্যুর শঙ্কা মোকাবিলা করেই সংবাদ সংগ্রহ ও মিডিয়ায় প্রচার করেন। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনিসেফ) সাম্প্রতিক জরিপে দেখিয়েছে, পৃথিবীর বুকে প্রতি চার দিনে একজন সাংবাদিক হত্যার শিকার হন। সংস্থাটির তথ্যমতে, ২০২০-এর জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ১৮ মাসে পৃথিবীতে ৮৬ জন সংবাদকর্মীর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়, যা আগের চেয়ে কিছুটা হলেও ভালো ছিল। তবে সব হিসাব যেন পাল্টে দিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ের ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) অতিসম্প্রতি প্রতিবেদনে প্রকাশ করে, ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ পর্যন্ত যুদ্ধে ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরে ২৭ হাজার এবং ইসরায়েলে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে মিডিয়াকর্মী ৮৫ জন। অর্থাৎ প্রতি দুই দিনে প্রাণ হারিয়েছেন একজনের বেশি মিডিয়াকর্মী। প্রাণ হারানো ৮৫ জনের মধ্যে ৭৮ জন ফিলিস্তিনি, চারজন ইসরায়েলি এবং তিনজন লেবানিজ। এর বাইরে গুম হয়েছেন চারজন, বন্দি হয়েছেন ২৫ জন এবং আহত হয়ে হাসপাতালে আছেন ১৬ জন মিডিয়া কর্মী। এ পরিসংখ্যানও পূর্ণাঙ্গ নয় বলে মনে করে বিশ্ব সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট মহল। কারণ ইসরায়েলের উপর্যুপরি বোমা হামলার ফলে ধ্বংস ও স্তূপ হয়ে থাকা ভবনগুলোর নিচে সত্যিকার অর্থে কতজন মিডিয়া কর্মীর দেহ পচে বা গলে গেছে, তা আজও অজানা। হাসপাতালই যেখানে ধ্বংসস্তূপ, সেখানে কজন আহত হয়েছে, তা অনুসন্ধানও অর্থহীন। এমনি এক সময়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বার্তা সংস্থা রয়টার্স (লন্ডন) এবং এএফপিকে (প্যারিস) সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ইসরায়েল মিডিয়া কর্মীদের নিরাপত্তা এমনকি তাদের টার্গেট করা হবে না, এ ধরনের কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারবে না।

এমনি এক প্রেক্ষাপটে জীবন বাজি রেখেই কাজ করে চলেছেন ফিলিস্তিন, লেবাননসহ বেশ কিছু দেশের অকুতোভয় মিডিয়াকর্মী। কোনো প্রতিকূলতাই তাদের দমিয়ে রাখতে পারছে না। একই সঙ্গে নাটকীয়ভাবে উত্থান ঘটেছে সমাজমাধ্যমের। যুদ্ধের শুরুতে বিশ্ববাসীর আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল আলজাজিরার মতো প্রখ্যাত বার্তা সংস্থার সংবাদ ও ভিডিও ফুটেজের সম্প্রচার। আগ্রহ থাকলেও অনেক বড় বড় মিডিয়া হাউসের পক্ষেও অবরুদ্ধ গাজা অঞ্চলে প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি। ঠিক তখনই আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে সমাজমাধ্যম। একসময় গাজার যেসব ব্লগার বা সমাজমাধ্যমের কনটেন্ট ক্রিয়েটররা সেখানকার শিল্প, সাহিত্য, ইতিহাস, সংস্কৃতি এমনকি খাবারদাবার নিয়েও মেতে থাকতেন, তারা প্রত্যেকেই যেন প্রয়োজনের তাগিদে ‘ওয়ার রিপোর্টার’ বা যুদ্ধ সাংবাদিকে পরিণত হয়েছেন। এমনকি শান্তিকালেও একজন সাংবাদিকের জীবনাচার বা কাজের ধরন নিয়ে যাদের কোনো ধারণাই ছিল না, তারাও জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিচ্ছেন কী হয়েছে, হচ্ছে বা হতে পারে। মূলধারার মিডিয়া কর্মীর পাশাপাশি সমাজমাধ্যমের এমন নির্ভীক রিপোর্টার ও কনটেন্ট থিয়েটরদের অবশ্যই মূল্যায়ন করতে হবে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রেক্ষাপটে।

 

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনিসেফ) সাম্প্রতিক জরিপে দেখিয়েছে, পৃথিবীর বুকে প্রতি চার দিনে একজন সাংবাদিক হত্যার শিকার হন। সংস্থাটির তথ্যমতে, ২০২০-এর জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ১৮ মাসে পৃথিবীতে ৮৬ জন সংবাদকর্মীর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়, যা আগের চেয়ে কিছুটা হলেও ভালো ছিল। তবে সব হিসাব যেন পাল্টে দিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ের ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ...

 

মূলধারার গণমাধ্যমের কেউ না হয়েও বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পাওয়া একজন বাই জান আওদা (২৫)। গাজার মেয়েদের কাছে মুষ্টিযুদ্ধ পরিচিত ও জনপ্রিয় করে তুলতে হাতে বক্সিং গ্লাভস পরা হাস্যোজ্জ্বল আওদার ছবি ও ভিডিও ভেসে বেড়াত সমাজমাধ্যমে। কিন্তু এ যেন এখন এক পুরনো গল্প। অতিসম্প্রতি গাজার হাসপাতালের গেট থেকে আওদা বের হওয়ার দুই সেকেন্ড পর ইসরায়েলি বোমার আঘাতে ধ্বংস হয় ওই হাসপাতাল। আর প্রাণ হারায় অসংখ্য চিকিৎসাকর্মী, রোগী ও স্বজন। কেঁদে কেঁদে বর্ণনা করা সে দৃশ্যের মাধ্যমে বিশ্বের বুকে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন আওদা। সমাজমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ফিলিস্তিনি কৌতুকাভিনেতা মাহমুদ শুয়াতারের অনুসারী ছিল প্রায় ৬ লাখ। তাঁর বানানো কনটেন্ট দেখে হেসে লুটোপুটি খেত আরব বিশ্ব। আজ এ কৌতুকাভিনেতার যুদ্ধবিষয়ক প্রতিবেদন ও বর্ণনা মানুষকে কাঁদায়। শুরুর পর থেকে তাঁর যুদ্ধভিত্তিক প্রতিবেদন নিয়মিত দেখছে প্রায় ১০ লাখ অনুসারী বা ফলোয়ার।

আলি নিসমান ছিলেন একজন ফিলিস্তিনি অভিনেতা, সমাজকর্মী ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর। ২০২২ সালেও ‘নাসের গিলবা স্ট্রিট’ চলচ্চিত্র ও ‘স্কাই গেট’ কিংবা ‘আল-রোহ’-এর মতো টিভি সিরিজে তাঁর অনবদ্য অভিনয় সবার প্রশংসা কুড়ায়। ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর তিনি নিয়মিত যুদ্ধবিষয়ক কনটেন্ট দিতে থাকেন বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে। এভাবে ছয় দিন অতিবাহিত হওয়ার পর ফেসবুকে প্রায় ২ লাখ অনুসারীর জন্য ১৩ অক্টোবর তিনি গাজাবাসীর দুর্দশার ওপর একটি হৃদয়স্পর্শী কনটেন্ট প্রচার করেন। এ কনটেন্ট দেখে যারা কাঁদছিলেন, তারা পরবর্তী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিশ্ব মিডিয়ার কল্যাণে জানতে পারেন ইসরায়েলি বোমার আঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন অভিনেতা এবং হালের সমাজমাধ্যমের অনন্য সংবাদকর্মী আলি নিসমান।

গাজায় মূল গণমাধ্যম আলজাজিরার আরবি বিভাগের ব্যুরোপ্রধান ছিলেন ওয়ায়েল আল-দাহদৌহ। ২৬ অক্টোবর তিনি নিজেই গণমাধ্যমের সংবাদে পরিণত হন, যখন তাঁকে ইসরায়েলি বোমার আঘাতে প্রাণ হারানো স্ত্রী আমনা, ছেলে মাহমুদ, মেয়ে শ্যাম ও আদরের নাতি আদমকে কবর দিতে দেখা যায়। এমন করুণ ঘটনাও দমিয়ে রাখতে পারেনি ওয়ায়েল আল-দাহদৌহকে। তিনি ছুটে চলেছেন সংবাদের সন্ধানে।

১৬ ডিসেম্বর গাজার খান ইউনিসে একটি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের দুর্দশার ওপর রিপোর্ট করছিলেন, তখন ওয়ায়েল আল-দাহদৌহর সঙ্গে ছিলেন আলজাজিরারই ক্যামেরাপারসন সামির অবদুকা। ইসরায়েলের নিক্ষেপ করা একটি ড্রোন এ সময় আঘাত হানে সেখানে। ঘটনাস্থলেই দেহের নিম্নাংশে আঘাত পান সামির অবদুকা। আহত হওয়ার পরও ৫ ঘণ্টা বেঁচে ছিলেন। ক্রমাগত রক্ত ঝরলেও ঘটনাস্থলে কোনো অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেয়নি ইসরায়েলিরা। উপযুক্ত চিকিৎসাও মেলেনি আশপাশের কোথাও। ফলে ক্যামেরার আড়ালে থাকা সামির অবদুকা চিরতরে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান।

অন্যদিকে ড্রোনে থাকা তীক্ষè লোহার টুকরো বা স্পিøন্টার আঘাত হানে ওয়ায়েল আল-দাহদৌহর হাতে, যে হাত দিয়ে তিনি আলজাজিরা লেখা প্রিয় মাইক্রোফোন হাতে রিপোর্ট করতেন বছরজুড়ে। ডিসেম্বরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে কাতারে নেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে আবারও ফিরে আসেন নিজভিটায়।

তাঁর বড় ছেলে হামজাও বাবার মতো সংবাদের খোঁজে ছুটে বেড়াতেন। অসাধারণ সব রিপোর্টের কারণে খুব অল্প সময়ে ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুসারীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এ অনুসারীদের হৃদয় ভেঙে দেয় ৭ জানুয়ারি, ২০২৪-এর একটি সংবাদ। দায়িত্ব পালনকালে বোমার আঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন হামজা। ওয়ায়েল আল-দাহদৌহ ও তাঁর আট সন্তানের মধ্যে যাঁরা জীবিত, তাঁরা সবাই আবার ছুটে চলেছেন। বিশ্বকে জানাতেই হবে কি বীভৎস এ যুদ্ধ!

 

লেখক : গবেষক, বিশ্লেষক, কলামিস্ট ও প্রাক্তন শান্তিরক্ষী

সর্বশেষ খবর