শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

দেশের সংবাদপত্রের প্রাণ বাংলাদেশ প্রতিদিন

মো. আইয়ুব খান,সভাপতি, বাংলাদেশ সংবাদপত্র এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

দেশের সংবাদপত্রের প্রাণ বাংলাদেশ প্রতিদিন

দেশের সংবাদ শিল্পে শতাধিক পত্রিকা নিয়মিত থাকলেও এই শিল্পে এখনো প্রাণ আছে শুধু বাংলাদেশ প্রতিদিনের জন্য। বাংলাদেশ প্রতিদিন ও কয়েকটি পত্রিকা ছাড়া বাকিগুলো পত্রিকা আছে নামের। বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকা যখন পাঠক হকারের কাছে পায় না, তখন আর কোনো পত্রিকা নিতে আগ্রহী হয় না। বাংলাদেশ সংবাদপত্র এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মো. আইয়ুব খান এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন। চট্টগ্রামের রাউজানের পাঠানপাড়ার বাসিন্দা আইয়ুব খান ১৯৯০ সাল থেকে আছেন সংবাদপত্রের সঙ্গে। বর্তমানে তাঁর সঙ্গে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় কাজ করছেন ৩৫ জন সাব-এজেন্ট ও সিটিতে কাজ করছেন প্রায় ৩০০ হকার।

১৯৯০ সালে চট্টগ্রাম নগরীর কে সি দে রোডের মেসার্স নিউজ একাডেমিতে চাকরি নেন। সেই থেকে কাজ করে আসছেন সংবাদপত্রের সঙ্গে। কাক ডাকা ভোরে পাঠকের হাতে পত্রিকা পৌঁছে দিয়ে পেয়েছেন মনের তৃপ্তি। ২০১৪ সালে মেসার্স নিউজ একাডেমির পুরো দায়িত্ব নেন নিজ কাঁধে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আছেন তিনি। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যক পত্রিকা বিক্রি করে আসছেন তিনি। বর্তমানে পত্রিকার এজেন্টদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সংবাদপত্র এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক আইয়ুব খানের সন্তানরা বেশ মেধাবী। বড় মেয়ে পড়ছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে, মেজো মেয়ে পড়ছেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ছোট ছেলে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে। জীবনের বাকিটা সময়ও চান সংবাদপত্রের সেবা করে। আইয়ুব খান বলেন, অনলাইনের এই যুগে দেশের সংবাদপত্র শিল্পের যে অবস্থা তা নিরসনে জনকল্যাণমূলক সংবাদ পরিবেশন জরুরি। অনলাইন সংবাদমাধ্যমের কারণে দিনের খবর দিনেই মানুষ পেয়ে যাচ্ছে। প্রিন্ট পত্রিকায় কাল যেটা প্রকাশ হবে, তা আজকে অনলাইনে পেয়ে যাচ্ছে পাঠক। যার কারণে প্রিন্ট পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশনে কৌশলগত পরিবর্তন আনতে হবে। অনিয়ম, দুর্নীতি ও সাদাকে সাদা বলার সাহস নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করলেই পাঠক প্রিন্টে থাকবে।

তিনি বলেন, ৩৪ বছর ধরে সংবাদপত্রের সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে প্রিন্ট পত্রিকার বাজার খারাপ অবস্থা। প্রতিদিনই প্রিন্ট পত্রিকার গ্রাহক হারাচ্ছি আমরা। পত্রিকার মালিক, সম্পাদক, সাংবাদিক, এজেন্ট ও হকার সবাই মিলে আসলে একটি সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া দরকার, পাঠকদের আকৃষ্ট করার জন্য। অন্যথায় সংবাদপত্র শিল্প থেকে হার্ড পত্রিকা হারিয়ে যাবে। বর্তমান অনলাইনের যুগে হার্ড কপি পত্রিকা টিকে থাকাটা অনেক চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জের এই যুগে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও আসল খবর যদি লিখতে পারে তাহলে এখনো হার্ড কপি পত্রিকার ভবিষ্যৎ এখনো আছে। বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে আজকে পত্রিকার মধ্যে আসল খবরটা প্রকাশ করতে পারছে না বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন এখন সংবাদপত্র শিল্পের মূল একটি স্তম্ভ। এটি এখন বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রচারিত পাঠকপ্রিয় একটি দৈনিক। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি দৈনিক। বাংলাদেশ প্রতিদিন ১৪ বছর ধরে সত্য ও সাহস নিয়ে লিখেছে, আগামীতেও এই সত্য ও সাহস নিয়ে লেখা অব্যাহত থাকবে। ১৪তম বর্ষপূর্তিতে বাংলাদেশ প্রতিদিন পরিবারের সবার প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

সর্বশেষ খবর