দেশের সংবাদ শিল্পে শতাধিক পত্রিকা নিয়মিত থাকলেও এই শিল্পে এখনো প্রাণ আছে শুধু বাংলাদেশ প্রতিদিনের জন্য। বাংলাদেশ প্রতিদিন ও কয়েকটি পত্রিকা ছাড়া বাকিগুলো পত্রিকা আছে নামের। বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকা যখন পাঠক হকারের কাছে পায় না, তখন আর কোনো পত্রিকা নিতে আগ্রহী হয় না। বাংলাদেশ সংবাদপত্র এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মো. আইয়ুব খান এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন। চট্টগ্রামের রাউজানের পাঠানপাড়ার বাসিন্দা আইয়ুব খান ১৯৯০ সাল থেকে আছেন সংবাদপত্রের সঙ্গে। বর্তমানে তাঁর সঙ্গে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় কাজ করছেন ৩৫ জন সাব-এজেন্ট ও সিটিতে কাজ করছেন প্রায় ৩০০ হকার।
১৯৯০ সালে চট্টগ্রাম নগরীর কে সি দে রোডের মেসার্স নিউজ একাডেমিতে চাকরি নেন। সেই থেকে কাজ করে আসছেন সংবাদপত্রের সঙ্গে। কাক ডাকা ভোরে পাঠকের হাতে পত্রিকা পৌঁছে দিয়ে পেয়েছেন মনের তৃপ্তি। ২০১৪ সালে মেসার্স নিউজ একাডেমির পুরো দায়িত্ব নেন নিজ কাঁধে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আছেন তিনি। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যক পত্রিকা বিক্রি করে আসছেন তিনি। বর্তমানে পত্রিকার এজেন্টদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সংবাদপত্র এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক আইয়ুব খানের সন্তানরা বেশ মেধাবী। বড় মেয়ে পড়ছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে, মেজো মেয়ে পড়ছেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ছোট ছেলে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে। জীবনের বাকিটা সময়ও চান সংবাদপত্রের সেবা করে। আইয়ুব খান বলেন, অনলাইনের এই যুগে দেশের সংবাদপত্র শিল্পের যে অবস্থা তা নিরসনে জনকল্যাণমূলক সংবাদ পরিবেশন জরুরি। অনলাইন সংবাদমাধ্যমের কারণে দিনের খবর দিনেই মানুষ পেয়ে যাচ্ছে। প্রিন্ট পত্রিকায় কাল যেটা প্রকাশ হবে, তা আজকে অনলাইনে পেয়ে যাচ্ছে পাঠক। যার কারণে প্রিন্ট পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশনে কৌশলগত পরিবর্তন আনতে হবে। অনিয়ম, দুর্নীতি ও সাদাকে সাদা বলার সাহস নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করলেই পাঠক প্রিন্টে থাকবে।