২৫ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:৫৮
লকডাউনের অভিজ্ঞতা

কোন রকমে পালিয়ে বাঁচলাম সেখান থেকে

কোন রকমে পালিয়ে বাঁচলাম সেখান থেকে

বাইরের বিকেলটা আজ হলদেটে আর বিষন্ন। আজ প্রায় দশ দিন পর বাইরে গেলাম জরুরি কাজগুলো সারতে। দশ দিনে অনেক পার্থক্য চোখে পড়লো। এমন দেশ আমি আগে কখনো দেখিনি। বাজার করে বের হতেই, এতগুলো ক্ষুধার্ত মুখ আমার সামনে হাত বাড়িয়ে দিল। আমি প্রচণ্ড রকম অপ্রস্তুত,  আমাকে সাহায্য করতে গার্ড এসে বললো আপনি টাকা দিয়ে দেন আমি ভাগ করে দেই সবাইকে। কোন রকমে পালিয়ে বাঁচলাম সেখান থেকে।

রিক্সায় আসতে আসতে ফুটপাতে বসা অতি বৃদ্ধ একজন দূর থেকেই হাত বাড়াচ্ছে। বুথ থেকে বের হতেই চা দোকানওয়ালা আকুতি করে বলছে উনার সব কলাগুলো কিনে নিতে। বাসার নিচের ভিখারি মহিলাটা দেখলেই বলে, ভাত খাবো। ডাবওয়ালা বলছে, আপা এতদিন পরে নামলেন, বুড়া সবজিওয়ালা বলছে আরেকটু বেশি দিয়ে দেই সবজি৷

আমার টেইলার্স এর দাদা বলছে, সব জামা বানায় ফেলছি, এসে দিয়ে যাই। কক্সবাজারের বাড়িওয়ালা বলছে, যা পারেন দিয়েন খুব দরকার। পরিচিতদের মধ্যে কারো কারো গত মাসেই শেষ বেতন ছিল, অফিস থেকেই বলে দিয়েছে... এমন আরও কত কি...

আমার প্রচণ্ড মাথা ব্যথা। বাবার কথা খুব মনে পড়ছে... বড় ভালো মানুষ ছিলেন। এই জন্যই বোধ হয় আল্লাহ এই কষ্ট উনাকে আর দেখতে দিলেন না। নিয়ে গেলেন তার কাছে...

মেঘনা

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

সর্বশেষ খবর