বিশ্ব ব্যাপী যে কোন মহামারী স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায়, জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং এমনকি শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে চলমান করোনাভাইরাস মহামারী পৃথিবীতে একই রকম পরিবর্তন আনতে পারে বলে ধারনা করা যায়।

করোনাভাইরাস মহামারীটির সাথে ইউরোপের ষষ্ঠ এবং চতুর্দশ শতাব্দীর মাঝামাঝি প্লেগের মহামারী, আমেরিকাতে ষোড়শ শতাব্দীর গুটি মহামারী এবং ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু মহামারীর সাথে মিল রয়েছে। তবে স্বাস্থ্যসেবা এবং মানব সভ্যতার বিকাশের বর্তমান স্তর বিবেচনা করে, অনুমান করা যায় যে আমরা অন্য সময়ের তুলনায় কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবকে দ্রুত অতিক্রম করব।

“আসন্ন সময়ে, ধারণা করা যায় যে সমাজের বিশ্বাস অর্জনকারী ক্যারিশম্যাটিক নেতারা বিশ্ব রাজনীতির শীর্ষে থাকবেন এবং জাগতিক সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন। তবে ভাইরাসটি চীন থেকে উদ্ভূত হওয়া এবং এশিয়া থেকে পুরো পৃথিবী ছড়িয়ে পড়ার মতো বিষয়গুলি নির্দিষ্ট কিছু লোক ও জাতিকে ক্ষুব্ধ করে তুলবে যার ফলাফল বিছিন্নভাবে বিদ্বেষ  ছড়াবে।

ব্যবসায়িক জীবন, প্রযুক্তি এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে বিশেষীকরণের প্রয়োজনের প্রভাবে, মানবতার একটি নির্দিষ্ট অংশ, বিশেষত উন্নত দেশগুলিতে এবং কিছু উন্নয়নশীল দেশগুলিতে, ইতিহাসের মাধ্যমে অর্জন করা ইতিবাচক অভ্যাস এবং দক্ষতা হারাবে যা শুধু সময়ের ব্যাপার। 

এর প্রভাবে বাড়বে বর্ণ বৈষম্য, বিশ্ব অর্থনীতিতে আসবে অমূল পরিবর্তন সেই সাথে অর্থনৈতিকভাবে চীনা শ্রমমূল্যের ব্যয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ এবং রোবোটিকস, অটোমেশন এবং থ্রিডি প্রিন্টিংয়ের ক্ষেত্রে যেমন অগ্রগতি হয়েছিল, তেমনি রাজনীতি ও অর্থনীতিতে ভাটা পড়বে। এক্ষেত্রে  লাভজনকতা হ্রাস পাবে, তবে সরবরাহের স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।

লেখক: পর্তুগাল প্রবাসী

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা