শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
অদ্বৈত মল্লবর্মণ

দরিদ্র জীবনের অকপট ভাষ্যকার

মো. আবদুল মান্নান

দরিদ্র জীবনের অকপট ভাষ্যকার

অদ্বৈত মল্লবর্মণ জম্ন : ১৯১৪-১৯৫১

অদ্বৈত মল্লবর্মণ [১ জানুয়ারি, ১৯১৪-১৬ এপ্রিল, ১৯৫১] খ্যাতিমান বাঙালি ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোকর্ণঘাট গ্রামে এক দরিদ্র ধীবর পরিবারে তার জম্ন। তার পিতা অধরচন্দ্র। শৈশবেই পিতৃ-মাতৃহীন হন তিনি। গ্রামের মালোদের চাঁদার টাকায় তার লেখাপড়ার খরচ নির্বাহ হতো। ১৯৩৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে অবস্থিত অন্নদা উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে কিছুদিন উচ্চ মাধ্যমিক অধ্যয়ন করেন। মেধাবী ছাত্র হওয়া সত্তে¡ও আর্থিক সংকটের কারণে তার পড়ালেখায় ইতি টানতে হয়। ১৯৩৪ সালে কলেজের পড়া ছেড়ে দিয়ে জীবিকা নির্বাহের উদ্দেশে কলকাতায় যান। কলকাতায় মাসিক ‘ত্রিপুরা’, ‘নবশক্তি’, মাসিক ‘মোহাম্মদী’, ‘দৈনিক আজাদ’, নবযুগ, কৃষক ও যুগান্তর পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। আমৃত্যু তিনি এ পদে বহাল ছিলেন। আয় বৃদ্ধির জন্য বিশ্বভারতীর প্রকাশনা শাখায় খণ্ডকালীন চাকরি নেন। ১৯৫১ সালের ১৬ এপ্রিল কলকাতার নারকেল ডাঙ্গার ষষ্ঠীতলা লেনের চারতলার ক্ষুদ্র এক অস্বাস্থ্যকর চিলেকোঠায় অদ্বৈত মল্লবর্মণ পরলোকগমন করেন। তার মৃত্যুর সংবাদ শুনে কথাশিল্পী বিমল মিত্র মন্তব্য করেন, ‘একটা মর্মান্তিক দুঃসংবাদ শুনে আমার নিজের দুর্ভাগ্যও তার কাছে তুচ্ছ হয়ে গেল। শোনলাম অদ্বৈত মল্লবর্মণ আর নেই। সেই ‘তিতাস একটি নদীর নামে’র লেখক। অনেক আর্থিক দুর্গতি আর অনুগত গলগ্রহদের বোঝা শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচতে দেয়নি। বুঝলাম অদ্বৈতবাবু হয়তো গেলেন, কিন্তু বাংলা সাহিত্যের একটি অক্ষয় স্বাক্ষর তিনি রেখে গেলেন তার ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ উপন্যাসে। সাহিত্যের বিচারে কোনটা গিলটি আর কোনটা খাঁটি সোনা? তা বেশির ভাগ পাঠকের কাছেই লেখকের জীবদ্দশায় ধরা পড়ে না, ধরা পড়ে আখেরে, আজ এতকাল পরে ধরা পড়েছে অদ্বৈত মল্লবর্মণের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ সত্যিই ছিল খাঁটি সোনা।’ [সূত্র : বিমল  মিত্র, ‘এক নম্বর বর্মণ স্ট্রিট’, ‘দেশ’ সাহিত্য সংখ্যা ১৩৮১]

মাত্র ৩৭ বছর বয়সে জীবনাবসানের পাঁচ বছর পর প্রকাশিত উপন্যাস ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ উপন্যাস। প্রথমে কলকাতার মাসিক ‘মোহাম্মদী’তে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় এ উপন্যাস। তার অকাল প্রয়াণের পর ১৯৫৬ সালে পুঁথিঘর থেকে উপন্যাস আকারে তা প্রকাশিত হয়। আয়ুষ্কালে জনপ্রিয়তা অর্জনে সক্ষম হননি অদ্বৈত। অবশ্য এর জন্য তার ব্যক্তিগত প্রবণতাকেই দায়ী করেছে অনেক বিশ্লেষক ও সমালোচক। কারণ তিনি নিজে ছিলেন আÍমগ্ন, স্বেচ্ছা নির্বাসিত প্রায় আড়ালে থাকা এক মহৎপ্রাণ নিভৃতচারী। উপন্যাসটি পত্রিকায় প্রকাশের আগে একাধিক প্রকাশকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে তিনি তিতাসের পাণ্ডুলিপি তুলে দিয়েছিলেন পুঁথিঘরের কর্ণধার শ্রী সুবোধ চৌধুরীর হাতে। পাণ্ডুলিপি হাতে নিয়ে সুবোধ বাবু বলেছিলেন, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেনÑ ‘পদ্মা নদীর মাঝি’, মানুষ কি তোমার বই পড়বে? তার উত্তরে অদ্বৈত বলেছিলেন ‘সুবোধ দা, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বড় আর্টিস্ট, মাস্টার আর্টিস্ট, কিন্তু বাউনের পোলা রোমান্টিক। আর আমি তো জাউলার পোলা। (খাঁটি সোনা, তাই ভেঙে গেল, সুবোধ চৌধুরী, চতুর্থ দুনিয়া ১৯৯৪)। নিজের যথার্থ পরিচয় দেওয়ার অসাধারণ সক্ষমতাই এই উপন্যাসের মূল ভিত। উপন্যাসটি প্রকাশের পর এক দশক বলা চলে পাঠক মহলে তেমন উলে­খযোগ্য সাড়া পাওয়া যায়নি।

১৯৬৩ সালে বিখ্যাত অভিনেতা উৎপল দত্তই প্রথম একে মঞ্চে নিয়ে আসেন। মিনার্ভা থিয়েটারে এর শতরজনী মঞ্চস্থ হলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে এ কালজয়ী উপন্যাস এবং এর লেখক অদ্বৈত। তারও এক দশক পরে ১৯৭৩ সালে স্বনামধন্য চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটক কর্তৃক এর চলচ্চিত্রায়নের মাধ্যমে অদ্বৈত মল্লবর্মণ ব্যাপক আলোচিত হতে থাকে। সে সময় থেকে দুই বাংলায় শুধু নয় বাংলা ভাষাভাষী মানুষ এবং বিশ্বব্যাপী এ লেখক তথা উপন্যাসের কাহিনীর প্রতি আকৃষ্ট হতে থাকে। মূলত উপন্যাসটি বাংলা সাহিত্যে শুধু নয়, বিশ্ব সাহিত্যে স্থান পাওয়ার উপযোগী এক অনবদ্য রচনা। কল্পনা বর্ধন এর ইংরেজি অনুবাদ করেন অ জরাবৎ ঈধষষবফ ঞরঃধং নামে। চবহমঁরহ এটি প্রকাশ করে ১৯৯২ সালে। উপন্যাসটি পৃথিবীর অন্যান্য ভাষায়ও অনূদিত হয়েছে। বলা যায়, বাংলা এবং বিশ্ব সাহিত্যে রচিত নদীকেন্দ্রিক উপন্যাসসমূহের মধ্যে ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ উপন্যাসে সবচেয়ে প্রামাণিকভাবে এবং সার্থকভাবে ফুটে উঠেছে নদীকে আশ্রয় করা মানুষের জীবন-মরণ ও তাদের পূর্ব পুরুষদের সংস্কৃতি।

৩৭ বছরের কঠোর দারিদ্র্যপীড়িত জীবন পেয়েছিলেন অদ্বৈত। মাথার ওপর ছিল সবসময় নিঃস্ব, অসহায় আত্নীয়স্বজনের চাওয়া-পাওয়ার প্রবল চাপ। সমাজের প্রান্তিকতম অবস্থানে থেকেই চিরলাঞ্ছিত, চিরবঞ্চিত মানুষের যাপিত জীবন নিয়ে রচনা করেছেন এক কালজয়ী কাহিনী। তার তিতাস কাহিনীকে বলা হয় ব্রাত্যজীবনের এক মহাকাব্য। দারিদ্র্যের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে অকালে জীবনদান করে যাওয়া এক অপরাজেয় কথাশিল্পীর নাম অদ্বৈত মল্লবর্মণ। জানা যায়, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ এর পাণ্ডুলিপি রচনার কাজ শেষ করতেই তাকে কলকাতার যত্ন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে আসতে হয়েছিল। পাণ্ডুলিপি তৈরি করতে তাকে রাতের পর রাত জেগে থাকতে হয়েছিল। ততক্ষণে মৃত্যুও তাকে গ্রাস করে নিয়ে যায় গহীন অন্ধকারের অদৃশ্য ছায়ায়।

সাহিত্যের সব অঙ্গনেই তার বিচরণ ছিল। উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ, নিবন্ধ, অনুবাদ-সাহিত্য, লোকসংগ্রহ এবং কবিতা সর্বত্রই তার একটি স্বতন্ত্র ও নিজস্ব স্টাইল ছিল। অনাহার, অর্ধাহারকে নিত্যসঙ্গী করে সৃষ্টিশীল কাজে নিজেকে মগ্ন করে রাখারও বিরল নজির স্থাপন করেন অদ্বৈত। জীবনকাল স্বল্প হওয়ায় তার সাহিত্যকীর্তি খুব বেশি না হলেও যতটুকু ছিল তা মানুষের প্রাণের স্পন্দনে পূর্ণ ছিল এবং তার ভাষা ও প্রকাশ ভঙ্গির মৌলিকতায় বলিষ্ঠ রূপে পাঠকচিত্তে সহজেই প্রবেশ করত। ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ উপন্যাসের মূল বিষয় হলো এ নদীর তীরে বসবাসকারী মালো সম্প্রদায়ের জীবনের রোজনামচা। তাদের আছে ঘাটে বাঁধা নৌকা, মাটিতে ছড়ানো জাল, উঠানের কোণে গাবের মটকি, চরকি, সুতা কাটার জিনিস, জাল বোনার সরঞ্জাম ইত্যাদি। এসব নিয়েই মালোদের সংসার। মালোদের লোকায়ত জীবনের একটি পরিপূর্ণ চিত্রও ফুটে ওঠে অদ্বৈতের কাহিনীতে। উপন্যাসের ভিতরে গিয়ে দেখা যায়, চরিত্রগুলোর যেসব নাম তিনি দিয়েছেন সেগুলো মনে হয় যেন তার শৈশবের, তার কৈশোরের আপন বন্ধু-বান্ধব, জ্ঞাতিগোষ্ঠী যেমন সুবল, কিশোর, অনন্ত, তিলক মাঝি, বাসন্তী, বনমালি ওরা সবাই তার নিকটজন। সবাই আপনজন ছিল বলেই তার পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠেছিল দলিত মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রাম নিয়ে এমন মহাকাব্য রচনা করা।

তিতাস কাহিনীতে ছড়িয়ে আছে তৎকালীন পূর্ব বাংলা তথা ত্রিপুরার লোক-সংস্কৃতির নানা উপাদান। ধর্ম-কাহিনী ও কল্পকাহিনী শুনে গ্রামের সাধারণ মানুষ বিমোহিত হয়। কাহিনীর মাঝেই রয়েছে নয়াকান্দা গ্রামে কিশোর-সুবল-তিলক এসে রাতে বসে ধর্মকথার আসরে। তারা দেহতত্ত¡, প্রেমতত্ত¡, গুরুতত্ত¡ ইত্যাদি শুনতে পছন্দ করে। এমন অসংখ্য ছড়া, ধাঁধা, সংগীত, সুর, পালাগান, লোক উপাদানে ভরপুর অদ্বৈতের এ তিতাস আলেখ্য। লোক সাহিত্যের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো ধাঁধা। ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ উপন্যাসে পাত্রপাত্রীরা ধাঁধা বলে। তিতাস পাড়ের মানুষেরা যুগ যুগ ধরে এ সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখে।

অদ্বৈত মল্লবর্মণকে নিয়ে গত ৬৫ বছরে অর্থাৎ ১৯৫১ সালের পর থেকে হিসাব করলে এ দেশে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়নি। তবে যেহেতু অদ্বৈতের জম্নস্থান পূর্ব বাংলার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোকর্ণ ঘাট গ্রামের উদ্বাস্তুদের বেশির ভাগই দেশভাগের সময় ত্রিপুরায় গেছেন সেহেতু ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ৫০ বছর পর সেখানকার বামফ্রন্ট সরকারের তফসিলি জাতি কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী অনিল সরকারের উদ্যোগে সেখানে ব্যাপকভাবে অদ্বৈত চর্চা শুরু হয়। তার ব্যক্তিগত প্রয়াসেই অদ্বৈতকে এ অঞ্চলে আলোচিত ও আলোকিত করে তুলে। ত্রিপুরায় তার নামে প্রতি বছর মেলা, নাটক মঞ্চায়ন, সেমিনার, স্কুল, পাঠাগার, নানাবিধ পদক-পুরস্কার ঘোষণা করে। বলা যায়, তারা ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ উপন্যাসসহ অদ্বৈতের সমগ্র সাহিত্যকর্মকে আধুনিকতার স্পর্শে সজীব করে তুলে। আজও বাংলা ভাষার  অন্যতম পৃষ্ঠপোষক, ধারক-বাহক ত্রিপুরার মানুষকে বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো যায়।

অধ্যাপক শান্তনু কায়সার অদ্বৈতের জীবনীকার হিসেবে একাধিকবার পুরস্কৃত হয়েছেন। তিনি বাংলা একাডেমিসহ দেশে-বিদেশে তার চর্চার ক্ষেত্রকে প্রসারিত করে চলেছেন। যদিও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোকর্ণঘাট গ্রামে গিয়ে অদ্বৈতের পৈতৃক ভিটেবাড়ি খুঁজে পাওয়া আজ সম্ভব নয়। বিগত ২০১২ সালে দীর্ঘকাল পরে তার গ্রামের বাড়িটি চিহ্নিত করে তথায় স্থাপন করা হয় তার একটি আবক্ষ ভাস্কর্য। ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি তার জম্নদিন উপলক্ষে ভাস্কর্যটি উম্মোচন করার জন্য দেশের খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক হাসনাত আবদুল হাইকে আমন্ত্রণ জানান তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মান্নান। মূলত জেলা প্রশাসকের উদ্যোগেই অদ্বৈতকে নিয়ে প্রথম এই প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। গোকর্ণঘাটে তার জম্নশতবার্ষিকী উদযাপন অর্থাৎ ২০১৪ খ্রি. থেকে প্রতি বছর জানুয়ারি তিন দিনব্যাপী ‘অদ্বৈত মেলা’র আয়োজন করে আসছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস আবৃত্তি সংগঠন নামে একটি স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন। সংগঠনটির পরিচালক মুনির হোসেনের উদ্যোগে এ কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। এদের স্বতঃস্ফ‚র্ত আয়োজনের মাধ্যমে এ যাবৎ ‘অদ্বৈত সম্মাননা’ প্রদান করা হয় অধ্যাপক শান্তনু কায়সার, মো. আবদুল মান্নান ও কবি জয়দুল হোসেনকে। এখন সময় এসেছে। তিতাস কাহিনী ও জীবনের গল্প সম্পর্কে আমাদের নতুন প্রজম্নকে জানাতে হবে। তিতাস কাহিনীর মাধ্যমে জানা যাবে এ জনপদের অতীত ইতিহাস, সভ্যতা, কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের চালচিত্র তথা শ্রেণিবিভক্ত সমাজের জীবনাচার।

স্বল্পকালীন জীবনে অদ্বৈত মল্লবর্মণ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেন। এ ছাড়াও তিনি বহু শিশুপাঠ্য কবিতাও রচনা করেছেন। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তার লেখা বেরুলেও চলি­শের দশকে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখের পাশাপাশি বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত ‘এক পয়সায় একটি’ গ্রন্থ সিরিজ আকারে লিখে তিনি বিশেষভাবে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিতাস একটি নদীর নাম তার স্মরণীয় উপন্যাস। তার রচিত গ্রন্থসমূহ হচ্ছেÑ তিতাস একটি নদীর নাম (উপন্যাস), এক পয়সায় একটি (গ্রন্থ), সাদা হাওয়া (উপন্যাস), সাগরতীর্থে, নাটকীয় কাহিনী, দল বেঁধে (গল্পগ্রন্থ), রাঙামাটি ও জীবনতৃষ্ণা (অনুবাদ : লাস্ট ফর লাইফ)।

সর্বশেষ খবর