শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা
ষোড়শ মৃত্যুবার্ষিকীর শ্রদ্ধাঞ্জলি

আহমদ ছফার ঢাকা

সলিমুল্লাহ খান

আহমদ ছফার ঢাকা

ছবি : রোহেত রাজীব

‘সরকার প্রায় ত্রিশ বছর ধরে শহরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা— এসব অছিলায় ক্রমাগত বস্তি উচ্ছেদ করে যাচ্ছে। তারপরেও শহরে বস্তির সংখ্যা কমেনি বরং দিন দিন বাড়ছে।’ —আহমদ ছফা

আমাদের দেশের লেখকদের মধ্যে আহমদ ছফার একটি বিশেষ স্থান আছে। সশরীরে জীবিত থাকিতেই তিনি একপ্রকারের কিংবদন্তীতে পরিণত হইয়াছিলেন। তিনি পরলোকে গিয়াছিলেন ইংরেজি ২০০১ সালের ২৮ জুলাই তারিখে। পরলোকগমনের পর— গত ষোল বছরে— তাঁহার চিন্তাধারা নতুন নতুন চিন্তার জন্ম দিয়া চলিয়াছে।

দেশের নতুন বুদ্ধিজীবীরা স্বীকার করিয়া বলিবেন, আহমদ ছফার সহিত তুলনা করা যায় এমন বুদ্ধিজীবী এদেশে খুব কমই জন্মাইয়াছেন। অথচ এই দেশের আর পাঁচ লেখকের মতো তিনিও কবিতা দিয়াই শুরু করিয়াছিলেন। কিন্তু চিরদিন কবিতার মধ্যে পড়িয়া থাকা তাঁহার পক্ষে সম্ভব হয় নাই। ইংরেজি ২০০০ সনের গোড়ার দিকে প্রকাশিত ‘আহমদ ছফার কবিতা’ নামক একটি সংগ্রহ গ্রন্থের ভূমিকাচ্ছলে তিনি একপ্রস্ত কৈফিয়তও লিখিয়াছিলেন : ‘শুধু কবিতা নয়, যে সমস্ত রচনাকে সাহিত্য পদবাচ্য লেখা হিসেবে অনায়াসে চিহ্নিত করা সম্ভব, তার বাইরেও অনেক ধরনের লেখা আমার কলম থেকে জন্ম নিয়েছে। কখনো সামাজিক দায়িত্ববোধের তাগিদ, কখনো একটি নতুন বিষয়ের প্রতি অধিকার প্রসারিত করার প্রয়াস কিংবা কখনো ভেতরের তাপ-চাপের কারণে নতুন নতুন বিষয়ের ওপর আমাকে মনোনিবেশ করতে হয়েছে।’

বর্তমান নিবন্ধে আমিও মন দিতে চাই তাঁহার জীবনসায়াহ্নে মনোনিবেশ করা একটি বিষয়ের দিকে। পরলোকগমনের আগের বছর— মানে ইংরেজি ২০০০ সালের গোড়ার দিকে— আহমদ ছফা ‘বস্তি উচ্ছেদ সম্ভব নয়’ শিরোনাম দিয়া দুই কিস্তিতে একটি প্রবন্ধ অধুনালুপ্ত এক দৈনিকে পত্রস্থ করিয়াছিলেন। ঐ প্রবন্ধযোগে তিনি সরাসরি অভিযোগ করিয়াছিলেন, ‘বর্তমান সরকার [তখন দেশের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার] বস্তিবাসী মানুষের উপর শত্রুরাজ্যের মানুষের মত আচরণ করছে। এটা অন্যায়, এটা জুলুম।’ শুদ্ধমাত্র তাহাই নয়, তাঁহার এই অভিযোগে আরও একটি মাত্রা যোগ হইয়াছিল, ‘এই অন্যায় এবং জুলুমের বিরুদ্ধে এখানে কোন সংগঠিত রাজনৈতিক এবং সামাজিক প্রতিবাদ নেই। এটাই আমাদের রাজনীতির সবচাইতে বড় অপরাধ।’

এই নৈতিক প্রতিবাদ ছাড়াইয়া একটি বৈজ্ঞানিক বিচারও আহমদ ছফা হাজির করিয়াছিলেন। তিনি দেখাইয়াছিলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে প্রতিটি সরকারের আমলেই পর্যায়ক্রমিকভাবে বস্তি উচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলেছে। কিন্তু তারপরেও এ শহরে বস্তিবাসী মানুষের সংখ্যা কমেনি, বরং উত্তরোত্তর বেড়েছে।’ তিনি প্রশ্ন তুলিয়াছিলেন, কেন এই উচ্ছেদ, কি তাহার উদ্দেশ্য? আর সঙ্গে সঙ্গে লক্ষও করিয়াছিলেন, এই উচ্ছেদ প্রক্রিয়াটি সফল হয় নাই। কি কারণে সফল হয় নাই তাহার একটা সহজ সূত্রও তিনি বাতলাইয়া দিয়াছিলেন : ‘কেন [বস্তির সংখ্যা] বাড়ছে আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা খুঁটিয়ে পর্যালোচনা করলে তার কারণগুলো জানা যাবে।’

তিনি ইঙ্গিত করিয়াছিলেন, ‘বস্তি-সমস্যা একা বাংলাদেশের সমস্যা নয়। তৃতীয় বিশ্বের যে সব দেশে দ্রুত নগরায়ন ঘটছে সে সব দেশে পাশাপাশি বস্তিও জন্ম নিচ্ছে। এটা একটা জবরদস্তিমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার এপিঠ এবং ওপিঠ।’ অথচ বস্তি উচ্ছেদ করার সময় দেখানো হইয়াছিল অন্য কারণ। যে সকল কারণ দেখানো হইয়াছিল তাহাদের মধ্যে ছিল শহরের সৌন্দর্যহানির অজুহাত, ছিল শহরে দুষ্কৃতিকারীর সংখ্যাবৃদ্ধি ঠেকানো আর শহরে আইনশৃঙ্খলার ক্রমবর্ধমান অধঃপতন রোধ করা ইতি আদি। এক কথায় শহরকে ভদ্রলোকের বাসযোগ্য করার মহান ব্রত হইতেই এই সকল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হইয়াছিল। কিন্তু আহমদ ছফা সাহস সঞ্চয় করিয়া বলিয়াছিলেন, ‘এগুলো আসল কারণ নয়’। তাঁহার বিচারে বস্তি উচ্ছেদের— বস্তিতে আগুন লাগাইয়া পুড়াইয়া ছারখার করিয়া দেওয়ার— আসল কারণ পাওয়া যাইবে অন্যত্র। তিনি লিখিয়াছিলেন, ‘বস্তিবাসীদের ছেড়ে দেয়া জমিজমা কারা অধিকার করছে, কাদের দখলে যাচ্ছে— সেটাই দেখার বিষয়।’

নবীন বয়সে আহমদ ছফা এক জায়গায়— খুব সম্ভব ‘বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস’ নামক পুস্তিকার ভূমিকায়— লিখিয়াছিলেন, ‘সৎসাহসকে অনেকে জ্যাঠামি এবং হঠকারিতা বলে মনে করে থাকেন, কিন্তু আমি মনে করি সৎসাহস হলো অনেক দূরবর্তী সম্ভাবনা যথাযথভাবে দেখতে পারার ক্ষমতা।’ এই উক্তি ১৯৭২ সালের। আর ২০০০ সালে আসিয়াও সমান সৎসাহসের সহিত তিনি উচ্চারণ করিয়াছিলেন, ‘বস্তির মানুষের ঢাকা শহরে বসবাস করার অধিকার ন্যায়ত রয়েছে।’

ঢাকা শহরের মধ্যবিত্ত শ্রেণীভুক্ত বুদ্ধিজীবীরা হয়তো এই ধরনের উচ্চারণের পরিচয় বিশেষ রাখেন না। তাঁহাদের অনেকেই বলিয়া থাকেন, বস্তিগুলি উচ্ছেদ করাই ভালো, তাহাতেই দেশের মঙ্গল। তাহাতে শহরের চেহারা ভালো দেখায়, রোগবালাই কমিয়া যায়, দেশের ও দশের উন্নতি হয়। কিন্তু কেন এত উজাড়ের সঙ্গীত, এত উচ্ছেদের মহাকাব্য সত্ত্বেও বস্তির সংখ্যা কমে নাই, বরং দিন দিন বাড়িয়াছে সে প্রশ্নের জবাব তাহাদের ঝোলায় নাই। বস্তির জীবন এমন মানবেতর, এত নির্মম, এত কল্পনাতীত, আর অবর্ণনীয়— তবু বছরের পর পর মানুষ কেন দলে দলে বস্তির জীবন বাছিয়া লইতেছে— এই ভদ্রমহোদয়ের সে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিবার অবকাশ খুব অল্পই হয়।

আহমদ ছফার এই প্রশ্নেও একটি সাফ জবাব আছে। তিনি লিখিয়াছেন, ‘শহরগুলো যত প্রসারিত হচ্ছে, অট্টালিকার সংখ্যা যত বাড়ছে, রাস্তাঘাট যত চকচকে এবং সুন্দর হচ্ছে গ্রামাঞ্চলের নিঃস্বতা ও দরিদ্রতা যে পরিমাণে বাড়ছে।’ এই প্রক্রিয়া ইতিহাসের ফলাফল— এ সত্যে সন্দেহ নাই। কেহবা ভুলক্রমে ইহাকে প্রকৃতির অনিবার্য নিয়ম বা নিয়তি বলিয়াও প্রচার করিয়া থাকেন। এই প্রকৃতিরই অপর নাম সচরাচর দেয়া হয় অর্থনীতি। মার্কিনদেশের এক রাষ্ট্রপতি একদা নির্বাচনে পরাজিত হইয়া বলিয়াছিলেন ‘ইট্স দি ইকনমি, স্টুপিড’—অর্থাৎ ‘এই গাধা, আসল কারণ অর্থনীতি, বুঝিলি না!’

আর ইহার সহিত যুক্ত হইয়াছে মানুষের লীলা, যাহার চলিত পরিভাষা ‘রাজনীতি’। গ্রাম হইতে মানুষের সন্তানদের দলে দলে শহরে আসিয়া ভিড় করিবার আরেক কারণ আমাদের এই রাজনীতি বা রাষ্ট্রনীতি। আহমদ ছফা লিখিতেছেন, ‘দরিদ্র-মানুষদের দেখিয়ে প্রতিবছর যে পরিমাণ টাকা আমরা— দান এবং ভিক্ষা ইত্যাদির আকারে— এনে থাকি তার সিংহভাগ এ শহরগুলোর চাহিদা মেটাতে ব্যয় হয়, গ্রামের জীবন-ব্যবস্থা অসহনীয় হয়ে দাঁড়ায়। কিছুসংখ্যক মানুষের পক্ষে গ্রামে জীবনযাপন একেবারে অসম্ভব হয়ে পড়ে। অনিবার্যভাবে তাদের শহরে আসতে হয়।’ যে কাজের আশায় তাহাদের শহরে আসা সে কাজ জোটে না তাহাদের। আর যে গ্রাম হইতে আসা সে গ্রামে ফিরিয়া যাইবারও পথ থাকে না। একদা আহমদ ছফা নিজেই লিখিয়াছিলেন, ‘শিশু কি কখনো যায় মাতৃজরায়নে?’

এই তো গেল জাতীয় অর্থনীতি ও শ্রেণীবিভক্ত রাজনীতির কথা। কিন্তু ন্যায়নীতি বলিয়া একটা কথাও তো আছে। এই প্রশ্নেও আহমদ ছফার যুক্তি অটল : ‘শহরে না এসে বাবা-পিতামহের ভিটিতে জীবন কাটাতে পারলে এ মানুষগুলো নিজেদের ভাগ্যবান মনে করত। কিন্তু সে ভাগ্য নিয়ে তাদের জন্ম হয়নি, তাদের শহরে আসতে হয়। শহরে আসার অধিকার তাদের আছে, তাদের দেখিয়ে যে অর্থ প্রতিবছর আসে তার বিরাট একটা অংশ শহর খেয়ে ফেলে— সুতরাং শহরে যে অর্থনৈতিক কর্মপ্রবাহ চলে তাতে তাদের একটা ন্যায্য হিস্সা রয়েছে। নৈতিক মানদণ্ডে বিচার করলে একথা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।’

যে কেহ জিজ্ঞাসা করিতে পারেন এই নৈতিক মানদণ্ড জিনিশটি ঠিক কি পদার্থ। এই জিজ্ঞাসারও একটা উত্তর আহমদ ছফা দিয়াছিলেন। তিনি স্মরণ করাইয়া দিয়াছিলেন, স্বাধীনতা লাভের তিরিশ বছরের মধ্যে ‘ঢাকা শহরের স্ফীতি একশ গুণকেও ছাড়িয়ে গেছে।’ এই প্রক্রিয়া নির্দোষ ছিল না। একটা প্রমাণের ইশারা আহমদ ছফা করিয়াছিলেন এইভাবে : ‘এরশাদ আমলের ভূমিরাজস্ব মন্ত্রী শেখ শহীদ সংসদে দাঁড়িয়ে একটি কথা কবুল করেছিলেন। সরকার যে সমস্ত জমি ইতিপূর্বে হুকুম দখল করে নিয়েছে শতকরা চুয়ান্ন ভাগ মানুষ সে সকল জমির কোন ক্ষতিপূরণ পায়নি। আর হুকুম দখল করার সময় সরকার জমির যে মূল্য ধার্য করেছিল তা আসল মূল্যের চাইতে অনেক কম। পরে যখন সরকার এই জমি প্লট ভাগ করে বিক্রি করে তখন জমির যা দাম হওয়া উচিত ছিল তার  চাইতে অনেক কমদামে সে জমি সুবিধাভোগী মানুষদের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে। অদ্যাবধি এ পদ্ধতি প্রয়োগ করে গুলশান, বনানী, বারিধারা, উত্তরা— এ সমস্ত এলাকায় বিশেষভাবে রাজনৈতিক অনুগ্রহপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে প্লট বণ্টন করা হয়ে থাকে।’

বস্তি সমস্যার গোড়ায় হাত না দিয়া যে সকল মনীষী শুদ্ধমাত্র বস্তি উজাড় বা উচ্ছেদ করার পরামর্শ দিয়া থাকেন আহমদ ছফা কখনোই তাঁহাদের পাতের লবণ খান নাই। তবে এই মনীষীরা মনে করিতেন তিনি তাঁহাদের বাড়া ভাতে ছাই দিতেছিলেন। তাঁহাদের ভ্রুকুটির মুখে দাঁড়াইয়া তিনি যতদূর পারেন সমস্যার গোড়ায় হাত দিয়াছিলেন। তাঁহার দৃষ্টিতে সমস্যার গোড়া আমাদের জাতীয় রাষ্ট্র-ব্যবস্থায়— বিশেষ বলিতে ভূমি-ব্যবস্থায় পোঁতা। তিনি অকপটে উচ্চারণ করিয়াছিলেন, ‘যে শহরে বিশ লাখ মানুষ বস্তিতে থাকে, দশ লাখ লোক রাস্তায় ঘুমায়, যেই শহরে হাতে গোনা দশ হাজার মানুষ আলিশান জমকালো অট্টালিকা তৈরি করে— তের ভাগ মানুষ হাতে আটাত্তর ভাগ জমি কব্জা করে নেয়— তার চাইতে বড় অন্যায় আর কিছু হতে পারে না। সরকারী এবং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার এই অন্যায় ব্যবস্থাটি তৈরি করা হয়েছে।’ তাঁহার দৃষ্টিতে এই অন্যায় ব্যবস্থার একটা রূপ এইরকম : ‘ঢাকা শহরে জমির পরিমাণ লোকসংখ্যার তুলনায় নিতান্তই স্বল্প। অথচ এখানে এক বিঘা, দুই বিঘা প্লটের উপর বাড়ি তৈরি করে জমির সদ্ব্যবহার রোধ করা হয়।’

সঙ্গত কারণেই তিনি সিদ্ধান্ত করিয়াছিলেন দেশের ভূমি-ব্যবস্থায় একটা বৈপ্লবিক সংস্কার ছাড়া সমস্যার সমাধান হইবে না। কিন্তু সে দিল্লি দূর অস্ত বলিয়া তিনি— বৈপ্লবিক সংস্কারের আশা-ভরসা একপাশে সরাইয়া— শুদ্ধমাত্র একটা মামুলি গণতান্ত্রিক সংস্কারের কথা উঠাইতে চাহিয়াছিলেন। বলিয়াছিলেন, ‘মামুলি গণতান্ত্রিক সংস্কারের প্রশ্ন উঠলেও ঢাকা শহরের ভূমি বণ্টন-ব্যবস্থার মধ্যে একটা চূড়ান্ত ভাঙ্গচুর হওয়া উচিত’। আহমদ ছফার শেষ কথা ছিল এই : ‘বস্তির লোকদের উচ্ছেদ করে ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য করে তোলা কোনদিন সম্ভব হবে না। ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য ঢাকা শহরের ভূমি-বণ্টন-ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন। যে তের শতাংশ মানুষের দখলে আটাত্তর শতাংশ জমি চলে গেছে তার মধ্যে যদি পরিবর্তন আনা সম্ভব না হয় ঢাকা শহর একটি নরককুণ্ডে পরিণত হতে বাধ্য হবে।’

আজিকালি কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী বাহির হইয়াছেন যাঁহারা ভুরি প্রচার করিতেছেন একবিংশ শতাব্দীতে কার্ল মার্কস অপ্রাসঙ্গিক হইয়া গিয়াছেন। ইঁহারা আর আহমদ ছফাকেই বা পাত্তা দিবেন কেন। মাত্র একটা কথা মনে রাখিতে হইবে, কার্ল মার্কস ধনতন্ত্রের উৎপত্তি ও বিস্তার কিভাবে হয় তাহার নিয়মাবলি আবিষ্কার করিয়াছিলেন। সে আবিষ্কার রাতারাতি মিথ্যা হইয়া যায় নাই। আহমদ ছফার লেখা পড়িলেও সেই সত্যই নতুন করিয়া চোখের সামনে হাজির হয়।

২৭ জুলাই ২০১৭


দোহাই

১. আহমদ ছফা, ‘বস্তি উচ্ছেদ সম্ভব নয়’, আজকের কাগজ, ১৪ এপ্রিল ২০০০ এবং ২৮ এপ্রিল ২০০০।

২. আহমদ ছফা, আহমদ ছফার কবিতা (ঢাকা : শ্রীপ্রকাশ, ২০০০)।

৩. আহমদ ছফা, বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস (ঢাকা : প্রকাশ ভবন, ১৩৭৯) ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর