১০ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৩:৪১

বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু নেতাজির, দাবি ব্রিটেনের ওয়েবসাইটের

অনলাইন ডেস্ক

বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু নেতাজির, দাবি ব্রিটেনের ওয়েবসাইটের

তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেই বিমান দুর্ঘটনাতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ‘মুত্যু হয়েছিল বলে দাবি করেছে ব্রিটেনের একটি ওয়েবসাইট। তাদের দাবি, নেতাজির অন্তর্ধান নিয়ে ১৯৫৬ সালে শাহনওয়াজ খানের নেতৃত্বে গড়া তিন সদস্যের অনুসন্ধান কমিটির কাছে বিমান দুর্ঘটনার বিবরণ দিয়েছিলেন ৪ জন ‘প্রত্যক্ষদর্শী’। তাঁদের সেই বয়ান এবং ব্রিটেনের দু’টি গোয়েন্দা রিপোর্ট উদ্ধৃত করে ওয়েবসাইটটির দাবি, ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট বিমান দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়েছিলেন নেতাজি। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। খবর এবেলার।

মৃত্যুর আগে নেতাজি সুভাষচন্দ্র ‘শেষ কথা’ কী বলেছিলেন, তাও প্রকাশ করেছে ওয়েবসাইটটি। বিমানে ছিলেন সুভাষ চন্দ্রের সহযাত্রী তথা এডিসি কর্নেল হাবিবুর রহমান। তাঁর সাক্ষ্য অনুযায়ী, তাইপেই থেকে বিমানটি ৩০-৪০ মিটার ওড়ার পরই হাবিবুর বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। রানওয়ে থেকে কিছুটা দূরে সেটি মুখ থুবড়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই বিমানের সামনের অংশে আগুন ধরে যায়।

হাবিবুরের ভাষ্য, বিমানের মূল দরজায় প্রচুর জিনিসপত্র এবং প্যাকেট রাখা ছিল বলে সেখান দিয়ে বের হওয়া যাচ্ছিল না। নেতাজি আগুনের উপর দিয়েই বাইরে বেরিয়ে যান। এতে তার জামাকাপড়ে আগুন ধরে যায়। চুলও কিছুটা পুড়ে যায়। আমি নেতাজিকে শুইয়ে দিয়ে তার জামা খুলে দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম।

হাবিবুরের আরও বলেন, সুভাষ চন্দ্র বুঝে যান তিনি আর বাঁচবেন না। এ সময় হাবিবুরকে হিন্দিতে তিনি বলেন, ‘‘আপনি দেশে ফিরে সকলকে বলবেন, মৃত্যুর আগে পর্যন্ত আমি দেশ স্বাধীন করার জন্য লড়াই করেছি। ওঁরা যেন এই লড়াই চালিয়ে যান। ভারত একদিন স্বাধীন হবেই। কোন শক্তিই একে পরাধীন করে রাখতে পারবে না।’’

প্রকাশিত নথি অনুযায়ী, ১৮ অগস্ট জাপানি বিমানবাহিনীর একটি বোমারু বিমান সুভাষচন্দ্র এবং আরও কয়েকজনকে নিয়ে ভিয়েতনামের তুরানে বিমানবন্দর থেকে রওয়ানা দেন। আবহাওয়া ভাল থাকায় বিমানচালক সেটিকে সরাসরি তাইপেই নিয়ে যান। ওয়েবসাইটের দাবি, কমিটির কাছে ওই বিমানের যাত্রী মেজর তারো কোনো জানিয়েছিলেন, বিমানের বাঁ-দিকের ইঞ্জিনে সমস্যা রয়েছে বলে তাঁর মনে হয়েছিল। যদিও পরীক্ষা করে তিনি ত্রুটি খুঁজে পাননি।

দুর্ঘটনার পরে নানমনের একটি সামরিক হাসপাতালে সুভাষচন্দ্রকে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানেই তিনি মারা যান বলে দাবি ওয়েবসাইটের। ঘটনার কয়েকদিন পর সুভাষচন্দ্রের ব্যাপারে খোঁজখবর করতে তদানীন্তন ইংরেজ সরকার কয়েকজন গোয়েন্দাকে তাইপে, ব্যাংকক এবং সাইগনে পাঠিয়েছিল। বিমান দুর্ঘটনার খবর নিয়ে তাঁরা ভারতে ফিরে আসেন।

সূত্র: এবেলা

বিডি-প্রতিদিন/১০ জানুয়ারি, ২০১৫/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর