২৪ জানুয়ারি, ২০১৬ ০৯:৩৬

নেতাজির ফাইল প্রকাশের পর উত্তাল ভারতের রাজনীতি

অনলাইন ডেস্ক

নেতাজির ফাইল প্রকাশের পর উত্তাল ভারতের রাজনীতি

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু যুদ্ধপরাধী! তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এটলিকে লেখা এক চিঠিতে এমনটাই নাকি লিখেছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু! আর এই নথি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কংগ্রেসের দাবি চিঠিটি জাল! চিঠিতে নেই নেহরুর কোনো স্বাক্ষরও। তাইওয়ানের তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনাতেই কী নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল? ১৯৪৫ সালের ১৮ অগাস্টের পরও কী জীবিত ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু? বিমান দুর্ঘটনায় সুভাষ চন্দ্রের মৃত্যু হয়েছে এমনটা সম্ভবত বিশ্বাস করতে পারেননি নেহেরু। আর তাই চিঠি লিখে বসেছিলেন তত্কালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্লেমেন্স এটলিকে।

নেতাজি ফাইল প্রকাশ্যে আসায় সামনে এসেছে এমনই একটি চিঠি। আর সেই চিঠি ঘিরেই উত্তাল ভারতের জাতীয় রাজনীতি। ১৯৪৫ সালের ডিসেম্বরে এটলিকে নেহরু লিখছেন, বিশ্বস্ত সূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন, এটলির চোখে যুদ্ধপরাধী সুভাষ চন্দ্র বসুকে রাশিয়ায় প্রবেশের অনুমতি দিয়েছেন জোসেফ স্ট্যালিন স্টালিন। আর এ চিঠি সামনে আসতেই উঠছে একের পর এক প্রশ্ন?

প্রশ্ন ১. সহযোদ্ধা সুভাষচন্দ্র বসুকে কেন 'যুদ্ধপরাধী' বলে উল্লেখ করলেন নেহেরু?
প্রশ্ন ২. কেনই বা তিনি এই নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বললেন এটলিকে?
প্রশ্ন ৩. অগাস্টে বিমান দুর্ঘটনার খবর জানার পরেও ডিসেম্বরে নেতাজিকে নিয়ে এ চিঠি লেখার অর্থ কী?
প্রশ্ন ৪. তাহলে কী নেহেরু বিশ্বাস করতেন নেতাজি বেঁচে আছেন?

আর এই নথিটি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। নেহেরুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। কংগ্রেসের দাবি পুরো চিঠিটাই জাল! পুরোটই বিজেপির নোংরা ষড়যন্ত্র।

প্রসঙ্গত, নথিটিতে জওহরলাল নেহেরুর কোন স্বাক্ষর নেই। চিঠিটির সত্যতা নিয়ে সংশয় সুগত বসুর গলাতেও। সই ছাড়া নেহরুর এই চিঠির ঐতিহাসিক সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। যদিও নেতাজি ফাইল প্রকাশের পর এই নেহেরুর এই চিঠি নিয়েই উত্তাল জাতীয় রাজনীতি।

সূত্র: ২৪ঘণ্টা

বিডি-প্রতিদিন/২৪ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর