ভারতে বৈবাহিক ধর্ষণকে আইনের নজরে অপরাধ হিসাবে গণ্য করার দাবি বহু দিনের। যদিও গত বছর দেশটির সুপ্রিমকোর্ট একটি মামলার শুনানির সময় এই দাবিকে খারিজ করে দেয়। শীর্ষ আদালতের মতে, পরিবারকেন্দ্রিক ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থায় এই ধারণার সঙ্গে এই ভাবনা খাপ খায় না। শুক্রবার একই সুরে শোনা গেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের গলায়। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসাবে চিহ্নিত করার কোন ইচ্ছাই তাদের আপাতত নেই।
অনিচ্ছুক নারীকে স্বামী যৌনসম্পর্কে বাধ্য করলে তার প্রতিকারের আইন বিশ্বের অনেক দেশেই রয়েছে। এটা স্বাকীর করেই শুক্রবার সংসদে একটি লিখিত আবেদনের জবাব দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী মানেকা গান্ধী বলেন, ভারতে এই ভাবনা কার্যকর করা প্রায় অসম্ভব।
মানেকা গান্ধী বলেন, ‘‘পৃথিবীর বহু দেশ এই সমস্যা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিয়েছে, কিন্তু ভারতের প্রেক্ষাপটের সঙ্গে এই ভাবনা যথোপযুক্ত নয়। বিভিন্ন পর্যায়ে এ দেশে শিক্ষা, নিরক্ষরতা, দারিদ্র, অগুণতি সামাজিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধ, ধর্মীয় ভাবনা, মানসিকতা বিয়েকে পবিত্র একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই প্রাতিষ্ঠানিক ভাবনার সঙ্গে ধর্মীয় সংস্কার এতটাই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে যে বৈবাহিক ধর্ষণের ধারণাটাই এ দেশে অলীক কল্পনা।’’সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
বিডি-প্রতিদিন/১২ মার্চ, ২০১৬/মাহবুব
.jpg?v=1722024607)
