১৯ মার্চ, ২০১৬ ১০:২৫

আফ্রিদিদের কাছে আজ বিরানব্বই বিশ্বকাপের স্মৃতি জাগাতে চান ইমরান

অনলাইন ডেস্ক

আফ্রিদিদের কাছে আজ বিরানব্বই বিশ্বকাপের স্মৃতি জাগাতে চান ইমরান

শনিবার সকালে মুম্বাই থেকে কলকাতা আসার ফ্লাইট টিকিট ভাড়া পৌঁছে গেছে পঁচিশ হাজারে। দিল্লি-কলকাতা আরও বেশি। তিরিশ হাজার টাকা। ভারতের সব তীর্থ শনিবার ইডেন গার্ডেন্স। ইমরান খানের অবশ্য বেশি ভাড়ার সমস্যা নেই। এ দিন তিনি ইসলামাবাদ থেকে উড়ে এসেছেন প্রাইভেট জেটে। শনিবার দুপুরে কলকাতাও আসবেন সেই ব্যক্তিগত বিমানে। ইসলামাবাদ থেকে বিমানে ওঠার আগেই ইমরান জেনে যান, তার বিবাহবিচ্ছিন্না প্রাক্তন স্ত্রী রেহাম খান দিল্লিতেই শহরের অন্য প্রান্তে বক্তৃতা দিতে এসেছেন। এই খবর ইমরানকে উল্লসিত করেছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই। এ দিন দুপুরে দিল্লির পাঁচতারা হোটেলে তিনি পৌঁছনো মাত্র শোভাযাত্রা শুরু হয়ে গেল। চারপাশে অটোগ্রাফ আর সেলফি শিকারি। কফিশপে যখন কথা বলার জন্য ঢুকলেন, সেটা সাইলেন্ট মোডে চলে গেল। বিমানবন্দর থেকে আড়াই ঘণ্টার জ্যামধস্ত ইমরান অবশ্য শুরুর দিকে মেজাজে ছিলেন না। তিক্তভাবে বললেন, দিল্লির ট্র্যাফিকের হাল কী হয়েছে! যেন মনে হল একটা শহর থেকে আর একটা শহরে এলাম। শেষমেশ বললেন দু’দলের ম্যাচ জেতার রোড ম্যাপ কী হতে পারে।

মহেন্দ্র সিংহ ধোনি: আমি ধোনি হলে নিজেকে বলতাম, এটাই তো আমার পরিস্থিতি। এর জন্যই তো আমি এত বিখ্যাত। অন্যরা যে জায়গায় আটকে যায় সেখানে আমি বেরিয়ে যাই। আজ আবার সেই দিন, যে দিন বাকিদের পিছনে ফেলে আমার নার্ভ আমাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

বিরাট কোহলি (ইমরানের জীবনে রোহিত শর্মা বা শেখর ধাওয়ানের অনুপ্রবেশ হয়েছে বলে মনে হলো না): আমি এক এক সময় ভাবি এখন খেললে কোহলিকে কী ভাবে বল করতাম? শুরুর দিকটা মনে হচ্ছিল ওকে ম্যানেজ করতে পারব। এখন যত দেখি মনে হয় যে, ওকে বল করা খুব কঠিন। উইকেটের দু’দিকেই একই রকম সাবলীল ছেলেটা। আর সবচেয়ে বড় গুণ, মেন্টালি খুব ফ্লেক্সিবল। চট করে খেলাটা ঘুরিয়ে দিতে পারে। কোহালি যদি বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকে পাকিস্তানকে শুধু ব্যাট নয়, কোহলির ফ্লেক্সিবিলিটির জন্যও লড়তে হবে।

শহীদ আফ্রিদি: শহীদ দরকার হলে শনিবার যেন ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে তুলে আনে। তিন বা চার, যেখানে ইচ্ছে যাক। আমি ইদানীং ক্রিকেট দেখি না বলে ক্যাপ্টেন্সি কী রকম করছে, বলতে পারব না। কিন্তু এটুকু বলতে পারি ভারত-পাকিস্তান অর্ধেক মাঠে, অর্ধেক মাথায় খেলা হয়। আমি সেই বিরানব্বই ফাইনালের আগে ছেলেদের বলেছিলাম, তোমরা হলে কোণঠাসা বাঘ, ঝাঁপিয়ে পড়ো। আফ্রিদিকে কাল সেই কর্নার্ড টাইগারের গল্পটাই মনে করিয়ে দিতে চাই। আর বলতে চাই, তোমার ভারতে বেশি ভালবাসা পাওয়া মন্তব্য নিয়ে যে বিতর্ক হয়েছে সেটা অর্থহীন। ক্রিকেট অধিনায়ক হিসেবে তুমি দেশের রাষ্ট্রদূত। দু’দেশের সম্পর্ক ভাল করা তো রাষ্ট্রদূতের কাজ। তোমার মন্তব্যকে সেই চোখে না দেখে কেন জলঘোলা হচ্ছে জানি না। মিয়াঁদাদ একটা ট্রিগার হ্যাপি লোক। যা কিছু হল, একটা ট্রিগার টিপে দিল। আমি সেই দলে পড়ি না। শহীদ, এই বিতর্কে আমি তোমার সঙ্গে আছি।

মোহাম্মদ আমির: আমির, শনিবার উইকেট চাই। মেডেন ওভার চাই না। বিরানব্বই বিশ্বকাপের ফাইনালের আগে আক্রমকে বলেছিলাম, ওয়াইড-নো ভেবো না, তোমার কাছে উইকেট চাই। টি-টোয়েন্টি যতই রান বাঁচানোর খেলা হোক, উইকেট নেওয়াটা আজও আসল ব্যাপার। দৌড়াও, রান আপ শুরু করো ব্যাটসম্যানকে আউট করতে। এই অ্যাটিটিউড নিয়ে নামো, ভারত তোমাকে ভয় পাবে।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা


বিডি-প্রতিদিন/ ১৯ মার্চ, ২০১৬/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর